শরীর সুন্দর করতে যোগাসন
কেন এটা আঁকি প্রয়োজন
আমাদের জীবনযাত্রা, খাবার, জীবনযাত্রা সব কিছু বদলে দিয়েছে । ক্লান্তি, দুর্বলতা, শরীর-লজ্জা, স্ট্রেস, কম এনার্জি যদি অনুভব করা শুরু করে, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই ।
এই সব উপসর্গ নির্দেশ করে শরীরের পরিষ্কার বা ডিটোক্সিফিকেশন প্রয়োজন । এই যোগগুলো যদি ডায়েট বরাবর করা হয়, তাহলে মনের শান্তি, স্ফূর্ত ও শক্তি পুনরায় নির্বিঘ্নে হতে পারে তাদের সুস্থ ও সুন্দর করে তুলতে ।
১. অ্যালকোহল-সিগারেট, কফি, চিনি নেবেন না ।
২. ভাজা খাবার খাবেন না ।
৩. টাটকা ফল নিন ।
৪. প্রচুর পানি পান করুন ।
পরিষ্কার করার জন্য যোগাসন
পালকি
১. পা ভাঁজ করে এমনভাবে পাশে বসুন যাতে হাঁটুর জয়েন্টও নিতম্ব উচ্চতার সমান হয় ।
২. পিঠ সোজা ও পাকস্থলীর ইনওয়ার্ড রাখুন ।
৩. দু ‘ হাত হাঁটু মুড়ে রাখুন । এই অবস্থায় কিছুক্ষণ থাকুন ।
সাবধানতা: যারা হিপ রিপ্লেসমেন্ট করিয়েছেন বা কম পিঠে ব্যথা পেয়েছেন, হাঁটু বা শিন এই ভঙ্গি করা উচিত নয় ।
উপকারিতা: এই ভঙ্গি করা নিতম্ব শক্তিশালী করে । পিঠ সোজা করে পুষ্টি জোগায় ঠিকই । এই ভঙ্গি শরীর ও মনকে শিথিল রাখে ।
অর্ধবক্র শোষক
১. সুখসানা-তে বসে মাটিতে খেজুর স্থান ।
২. শ্বাস নিন । ডান হাত সোজা উপরের দিকে বাড়াও । আঙ্গুল প্রসারিত করুন ।
৩. শ্বাস বন্ধ করুন । এই অবস্থায় কিছুক্ষণ থাকুন ।
৪. শ্বাস নিন । এ ভাবেই বাঁ হাত সোজা করে স্ট্রেচ করুন ।
৫. হাত ওপরে তুলে এনে কিছুক্ষণ বিরতি দিন ।
সাবধানতা: আপনি যদি অসুস্থতা বা আঘাতজনিত রোগে আক্রান্ত হন তাহলে তা করার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিশ্চিত হোন ।
উপকারিতা: কোমরের রেখার জন্য এই ভঙ্গি খুবই উপকারী । এটি কুঁচকিতে নমনীয়তা আনে এবং কাঁধের ক্র্যাম্প থেকে মুক্ত করে ।
সেমি-ফিশ-রিসিং
১. মাটিতে দুই পা এগিয়ে ছড়িয়ে বসুন ।
২. ডান পা হাঁটুর কাছে বাঁক নিয়ে বাঁ ঊরুর বাইরের দিকে বটক দিকে এগিয়ে যান ।
৩. কনুই দিয়ে বাঁ হাত ভাঁজ করে ডান পায়ের হাঁটুর ওপর স্থাপন করুন ।
৪. ডান হাত মাটিতে যতটা সম্ভব জায়গা করে ।
৫. কিন্তু হাত দিয়ে মাথা ঝুঁকিয়ে দেবেন না । কাঁধ, বুক ও ঘাড় ডানদিকে ঘোরান ।
৬. শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে পেটের ভেতরে করুন ।
৭. এই অবস্থায় কিছুক্ষণ থাকুন । শ্বাস.
৮. ক্রমে আগের পর্যায়ে ফিরে আসা । অন্যদিকে একই কাজের পুনরাবৃত্তি ।
সাবধানতা: হাঁটু এবং হার্নিয়া উচ্চ ব্যথা এবং পেট ব্যথা ভুগছেন, অর্শ্বরোগ রোগী এবং গর্ভবতী মহিলাদের এই ভঙ্গি করা উচিত নয় ।
উপকারিতা: এই ভঙ্গি আব্দুমাল অঙ্গের ম্যাসাজ দেয় । মেরুদণ্ডে নমনীয়তা রয়েছে । নিতম্ব প্রবল ।
কুরুচিকর
১. তাসান-এ দাঁড়াবেন ।
- ডান পায়ের উরুতে (90 ডিগ্রী একটি কোণ তৈরীর) বাঁ পা বাঁক হাঁটু উপর বাঁক.
৩. কাঁধের সমান্তরালে দু ‘ হাত সোজা করে তুলুন ।
৪. হ্যালো-র পোজ-এ হাত মেশান ।
৫. শ্বাস বন্ধ করুন । এই অবস্থায় কিছুক্ষণ থাকুন ।
৬. হাত নামিয়ে আনার সময় শ্বাস নিন ।
সাবধানতা: হাঁটুর ব্যথায় আক্রান্ত মানুষ এই ভঙ্গি করা উচিত নয় ।
উপকারিতা: এই ভঙ্গি একাগ্রতা বৃদ্ধি করে ।
সম্প্রচারক প্যাটিসন
- পা মধ্যে একটি পার্থক্য সঙ্গে সোজা দাঁড়িয়ে. দু ‘ হাত সোজা রাখুন ।
২. ধীরে সুস্থে হাত দিয়ে মাটি স্পর্শ করুন, এগিয়ে চলেছেন । ঝুঁকে যাওয়ার সময় মেরুদণ্ড সোজা রাখুন ।
৩. দু ‘ হাত পা সমান্তরাল ।
৪. এই অবস্থায় কিছুক্ষণ থাকুন । শ্বাস বিরতি.
- উভয় হাত ইনওয়ার্ড এবং বাঁক সরানো.
৬. এক্সহেল । দু ‘ হাত কাঁধের নীচে থাকা উচিত । এই অবস্থায় কিছুক্ষণ থাকুন । শ্বাস বিরতি.
৭. হাত-পা না বাঁক ।
৮. ক্রমে পূর্ব দিকে ফিরে আসা ।
সাবধানতা: ব্যাকপেইন আক্রান্ত ব্যক্তিরা এই ভঙ্গি করা উচিত নয় ।
উপকারিতা: এই ভঙ্গি করা মেরুদণ্ড, পা ও নিতম্ব শক্তিশালী করে ।
পুরসপুত্র
১. দু ‘ পা ছড়িয়ে সোজা সামনে গিয়ে বসুন । দু ‘ পা বিজড়িত ।
২. নিতম্ব থেকে দু ‘ হাত পিছনে নিন ।
৩. হাতের তালু ও অ্যারোসে শক্তির ওপর পুরো শরীর উঠিয়ে ফেলুন ।
৪. শরীরকে সোজা রাখুন । এই অবস্থায় কিছুক্ষণ থাকুন ।
৫. এরপর আগের পর্যায়ে ফিরে যান ।
সাবধানতা: লোয়ার ব্যাক পেন-এ আক্রান্ত মানুষ এই ভঙ্গি করা উচিত নয় ।
উপকারিতা: এই ভঙ্গি শরীর ও মনকে থেকে মুক্ত করে ।