অবাঞ্ছিত শরীরের লোম দূর করবেন কীভাবে

unwanted hair removal treatment in Bengali
unwanted hair removal treatment in Bengali

প্রতিটি মানুষের শরীরের গোটা চামড়ায় চুল থাকে । সকলের সারা শরীর সূক্ষ্ম কাঁদনে ঢাকা । কোথাও এই কান্নাকাটি ঠিকই, কোথাও শক্ত । অনেক সময় এই কঠিন চুল চুলে বদলাতে শুরু করে । এই চুলকে আমরা অবাঞ্ছিত চুল বা অবাঞ্ছিত লোম বলতে পারি । এই চুল দেখতে খারাপ মনে হয়, এবং এটি স্বাস্থ্য দৃষ্টিকোণ থেকে তাদের অপসারণ করা ভাল । আনচেসে বালালো কো হাটেন কে লিয়ে) অবাঞ্ছিত লোম দূর করার জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে যেমন থ্রেডিং, প্লাজিং, ওয়াক্সিং, পসিক স্টোন, হেয়ার রিমুভার ক্রিম, লোশন, রেজার ইত্যাদি ।

অবাঞ্ছিত চুল অপসারণের জন্য কিছু ব্যবস্থা

১. ওয়াক্সিং আপনার হাত-পা নরম থাকলে চুলের বৃদ্ধি ক্রমে কমানোর সেরা উপায় ।

২. ওয়াক্সিং করার আগে ক্লোজিং মিল্ক বা কাঁচা দুধ দিয়ে ত্বক মুছে নিন ।

  1. ওয়াক্সিং জন্য, একটি পরিষ্কার ধোয়া ছুরি সঙ্গে একটি চুল-ফলনশীল দিক একটি গরম মোম চামড়া স্থান এবং একটি পাতলা কাপড় ব্যান্ডেজ টিপে চামড়া বিদ্ধ. এখন মূলের উল্টো দিকে স্ট্রিপ আঁকুন । চুলে ব্যান্ডেজ লেগে থাকবে ।

৪. বাজার থেকে একই রকম সেরা ব্র্যান্ডের ওয়াক্স করে নিন । তাদের গরম জলের পাত্রে বসিয়ে মোম ক্যান গলিয়ে দেওয়া হয় ।

৫. ওয়াক্সিং, শীতে যদি করা যায়, রোদে বসে গরমকালে করুন । অথবা ফ্যানের নিচে বসুন ।

৬. ওয়াক্সিং করার পর ত্বককে গ্রিগে দেখায়, তাই ত্বকে ল্যাজোলিন বা স্কিন ট্যাকিক যুক্ত ক্রিম দিয়ে হালকা মাসাজ করুন ।

৭. মুখে অনেক চুল থাকলে ফেস স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন । বাজারে ফেস স্ক্রুটিও পাওয়া যায় । বাড়িতে ফেস স্ক্রুও করতে পারেন ।

৮. মুখে কালো চুল যদি খুব দৃশ্যমান হয়, তাহলে ব্লিচিং দিয়ে সেগুলিকে সোনালি করে তুলতে পারেন । এটা তোমার মুখের চেহারা কুৎসিত করবে না । ব্লিচিং, আপনার মুখে হোক বা পায়ে, কখনও সূর্যের সংস্পর্শে আসবে না ২৪ ঘণ্টা ব্লিচিং ।

৯. আজ ও কাল একটি আধুনিক পদ্ধতিতেও চলন, ইলেকট্রোলাইসিস হয় । এছাড়া অবাঞ্ছিত লোম থেকে পরিত্রাণ পেতে সাহায্য করতে পারেন । এই পদ্ধতি মেনে দক্ষ বিউটিশিয়ানের সঙ্গে করা চিকিৎসা নিন ।

১০. ওয়াক্সিং করার পর অ্যান্টিসেপটিক লোশন বা ক্রিম প্রয়োগ করতে ভুলবেন না ।

১১. ওয়াক্সিং করার পর অনেক সময় নোংরা কাপড় ত্বকের বাইরে বেরিয়ে আসতে থাকে বলে ফুসকুড়ি সৃষ্টি হয় । এই শস্য যদি ২৪ ঘণ্টা পরে না যায়, তা হলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের কাছে দেখাও ।

১২. ময়দা ও গ্রাম ময়দা দিয়ে কয়েক ফোঁটা লেবু মিশিয়ে মাসাজ করুন । সদ্য বেড়ে ওঠা চুল হবে নরম ও হালকা । শশার রস ব্লিচ হিসেবেও কাজ করে ।

১৩. 250 গ্রাম চিনির মধ্যে তিনটি লেবুর রস বা দুই চা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে বাড়িতে মোম প্রস্তুত করে গলিয়ে নিন । আপনার গৃহস্থালীর মোম প্রস্তুত ।

১৪. প্রায় ৩০ মিনিট কম আঁচে পাঁচ চা চামচ মধুতে এক চা চামচ লেবুর রস রান্না করুন । এটি শিখা থেকে বের করে একটু গিলসিন যোগ করে ঠান্ডা হতে দিন । আপনার মোম প্রস্তুত ।

১৫. ঘরোয়া ওয়াক্স করার আরেকটি পদ্ধতি হল আট ভাগ চিনির সিরাপ তৈরি করে এক একটি পাতিলেবুর রস, এক ভাগ সরষের তেল এবং দু ‘ ভাগ জল মিশিয়ে কম আঁচে প্রায় আধ ঘণ্টা রান্না করুন । যখন সমাধান বাদামি হয়ে যেতে শুরু করে তখন তা শিখা থেকে সরিয়ে গ্লিসারিন ঠান্ডা হতে দিন ।

১৬. যেহেতু ডোমেস্টিক ওয়াক্স সম্পূর্ণ নিরাপদ, তাই এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না । ওয়াক্সিং করার পর উষ্ণ জল দিয়ে হাত-পা ভাল করে ধুয়ে নিন । কাজুবাদাম/কাজুবাদাম অলিভ অয়েল নিন ।

১৭. ওয়াক্সিং করতে ইচ্ছে না করলে বিউটি পার্লারে গিয়ে থুরালিং থেকেও চুল সরিয়ে নিতে পারেন ।

১৮. রাজাকারদের ছাড়া বগলের লোম দূর করার সবচেয়ে ভালো উপায় হল ওয়াক্সিং । এতে চুলের বৃদ্ধির সম্ভাবনা কমে । ওয়াক্সিং করলে ত্বক শুষ্ক ও ফুলে যায়, নারকেল তেল হালকা করে মেশান ।

১৯. ঠোঁটে চুল বেশি থাকলে থরামিং থেকে নিয়মিত চুল সরান ।

২০. ঠোঁট ও নিচের ঠোঁটের লোম দূর করতে বেসন, সরষের তেল, এক চিমটি হলুদ ও কাঁচা দুধ মেশান, তারপর চুল দূর হবে এবং বাড়তে থাকা চুল হালকা হবে রঙে ।

২১. গ্রাম ময়দা আধা চা-চামচ হলুদ ও সরষের তেল মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন । শুকিয়ে গেলে হালকা করে ঘষুন । এরপর কুকুন পানি দিয়ে গোসল করে নিন । নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল কমবে ।

অবাঞ্ছিত লোম দূর করে ত্বককে পরিষ্কার করে দেখায় । গ্রীষ্মকালে অ্যালার্জি বা ফুসকুড়ি হওয়ার ভয় থাকে না ।