চোখে ব্যথার কারণ ও লক্ষণ
চোখ শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা আমাদের জীবন এবং প্রকৃতির বিভিন্ন রং দেখতে, সামঞ্জস্য ও সামঞ্জস্য করতে সাহায্য করে । চোখ খুব নরম, তাই তাদের সাবধানে সজ্জিত করা উচিত । অনেক সময় রাতে ঘুম বেশি হয়, দিনের পর দিন ঘুমানো, চোখে-মুখে ঝাড়বাতি, গরম সূর্যালোকে জল দিয়ে মাউথওয়াশের ধোয়া, সূক্ষ্ম চিঠি পড়া, মিহি করে কাজ করা, দীর্ঘ সময় ধরে দূর বস্তু দেখা বা পুষ্টিকর খাবার চাওয়া-পাওয়া পর্যন্ত চোখে ব্যথা সৃষ্টি হয় ।
একইভাবে ধূপ, ঠান্ডা বাতাস, সময়মতো ঘুম না হওয়া, যুদ্ধের বেগ বন্ধ করা, বেশি সময় ধরে কান্নাকাটি করা, মাথায় আঘাত লাগা, বেগ বন্ধ হওয়া, প্রকৃতির বিরুদ্ধে খাওয়া বা রোদে অথেস্ট করা এবং ঠান্ডা জলে প্রবেশ করা এমনকী চোখে ব্যথা হতে পারে ।
চিকিত্সাও
১. আমলকি: আমলকি চোখের জন্য খুবই উপকারি একটি ফল । চোখ ব্যাথা হলে আমলা, হররা ও বাহেরা (ত্রিফলা) গুঁড়ো করে রাতে মাটির পাত্রে ভিজিয়ে রাখুন । সকালের দিকে এই জল দিয়ে চোখ ধোয়া চোখকে সুস্থ রাখে এবং চোখের সমস্ত যন্ত্রনা থেকে মুক্ত করে । সকাল-সন্ধ্যা জলে আমলকির রস মিশিয়ে খেলে চোখের ব্যথার কারণ হয় না । এই রস নিয়মিত মাতাল হলে অন্যান্য চোখের রোগ থেকেও উপকার মেলে ।
২. গাজর: একটি সূক্ষ্ম টুকরা গাজর চোখের উপর প্রয়োগ করে চোখের কষ্ট বন্ধ করতে পারে ।
৩. বেল পাতা: আঙুরলতার পাতা বেঁটে, রস সরিয়ে নিয়ে একটি সূক্ষ্ম কাপড়ের মধ্যে ফিল্টার করে, এবং ক্ষরণ করে এক বা দুই ফোঁটা ফোঁটা চোখের ব্যথা বন্ধ করে দেয় । আঙ্গুর পাতার পাতা একটি ঔষধি উপাদান যা চোখের ব্যথা, বেদনা এবং শূল সারিয়ে তোলে ।
৪. নারকেল: ২৫ গ্রাম নারকেল শুকিয়ে গিয়ে 60 গ্রাম চিনি প্রতিদিন যোগ করলে তা চোখে ব্যথার কারণ হয় না ।
৫. কাজুবাদাম: রাতে কাজুবাদাম ভিজিয়ে, সকালে পিষে নিন এবং তার উপরে এক গ্লাস গরুর দুধ খান । চোখে যে কোনও ধরনের ব্যথা, সেরে যাবে ।
৬. আম: আম ব্যবহার করলে চোখের ব্যথা দূর হয় ।
৭. ডালিম: ডালিম পাতা গুঁড়ো করে একটা কেক বানিয়ে, রাতে চোখের দিকে বাঁধা ।