জনম কুণ্ডলি মিলন কি বায়জে রক্ত পরীক্ষা করহাঁ

Should Match blood rather than kundli
Should Match blood rather than kundli

রাশিফল পরিবর্তে রক্ত পরীক্ষা-বিবাহের আগে রক্ত পরীক্ষা পরিচালনা উভয় পক্ষের জন্য উপকারী সময় বিপদ এড়াতে.

সম্প্রতি একটি সংবাদপত্র একটি বিবাহের বিজ্ঞাপনে গিয়েছিল, এটা ছিল তার ধরনের একটি বিশেষ বিজ্ঞাপন । কারণ এ ধরনের বিজ্ঞাপনে সাধারণত সবকিছু থাকত-মুসলিম মেয়ের মর্যাদা, গদি, চেহারা, শিক্ষা, আয় ইত্যাদি । আত্মারাম ঘর থেকে কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না এবং যৌতুকের দাবিও ছিল না । কিন্তু বিজ্ঞাপনটি বিয়ের চরিত্রের জন্য নির্দিষ্ট বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল, এটাই ছিল তাঁর রক্তের গ্রুপ । সে কারণেই আমার দৃষ্টিতে এই বিজ্ঞাপনটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল । বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মেয়ের রক্তের গ্রুপ চেক নথির সঙ্গে ফলা ঠিকানার সঙ্গে যোগাযোগ করুন ।

রক্তের গ্রুপ ম্যাচিং ছিল ব্র্যান্ড নতুন, এবং বিয়ের বিজ্ঞাপন সত্যিই অনন্য ছিল.

রহস্য খুঁজে বের করতে, আমি একজন গাইনোকোলজিস্টের সাথে দেখা করলাম, যিনি বিশ্বাস করেন যে বিয়ের আগে একটি ছেলে ও একটি মেয়ের রক্তের গ্রুপ বিয়ের পর এড়ানো যায় । মানুষ সচেতন হলে ভাল হবে ।

বিয়ের পর নতুন জীবনে জোড়া ধাপ বিয়ে । অনেক সময় নতুন জীবনের পর ফ্যামিলি প্ল্যানিং চলাকালীন রক্তের গ্রুপ নিয়ে অনেক সমস্যা হয় ।

আজকাল সেক্স ছাড়াও আরও অনেক কারণে এইচআইভি এবং হেপাটাইটিস বি সংক্রমণের সংখ্যাও আমাদের সমাজে বাড়ছে । একই সঙ্গে বহু মহিলা ও পুরুষও যৌন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন । এক্ষেত্রে বিয়ের আগে উভয় পক্ষের জন্য বিশেষ রক্ত পরীক্ষা জরুরি । যাতে কোনও দল ঠকে না যায় বা পরে কোনও অনুশোচনা না হয় ।
আরএইচ ফ্যাক্টর কি হবে

এইচ আই ফ্যাক্টর গর্ভাবস্থা এবং প্রসবের সময় অনেক সমস্যার একমাত্র কারণ । আমাদের রক্তে লোহিত কণিকা অনেক ক্যাটাগরির হয়-এ, বি, ও ও এবি । আমাদের রক্তে দু ‘ টি গ্রুমও রয়েছে – নেগেটিভ ও পজিটিভ ।

1940 সালে ল্যান্ডস্টেইনার ও ভিনর নামে দুই বিজ্ঞানী মানুষের রক্তকোষে অ্যান্টিজেনের উপস্থিতির কথা শনাক্ত করেন । রিসার্চ বানর, রেড মাউথ বানরদের মধ্যে অ্যান্টিজেন আগেই শনাক্ত হয়েছিল । এই বানরদের নামে অ্যান্টিজেনের নাম ছিল রিকাস । রিকাস অর্থাৎ আরএইচ ফ্যাক্টর । যাদের রক্তে এই আছে তাদের রক্তের গ্রুপ পজিটিভ বলা হয় এবং যাদের তা নেই তাদের নেগেটিভ ব্লাড বলা হয় ।

বেশির ভাগ মানুষের রক্তে রহাসিস অর্থাৎ আরএইচ ফ্যাক্টর রয়েছে । এর মানে বেশির ভাগ মানুষই পজিটিভ ব্লাড গ্রুপ । মাত্র ৫% মানুষের রক্তে অ্যান্টিজেন নেই অর্থাৎ আরএইচ ফ্যাক্টর । যাদের রক্তে এই ফ্যাক্টর নেই তারা স্পষ্টত নেগেটিভ গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত ।

স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের মতে, উভয় স্ত্রী উভয়ের রক্তের গ্রুপ আরএইচ নেগেটিভ বা উভয়ই আরএইচ পজিটিভ । সমস্যা না থাকলেও স্বামী টার্স ও তার স্ত্রী পজিটিভ । সমস্যাটি ঘটে যখন স্বামীর একটি আরএইচ পজিটিভ থাকে এবং স্ত্রীর একটি আরএইচ নেগেটিভ থাকে । এর ফলে সৃষ্ট সমস্যা তাদের জন্য় শিশুদের জন্য ।

কারণ আরএইচ নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপের সঙ্গে মায়ের রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ বা পজিটিভ হতে পারে । নেগেটিভ হলে এখানে কোনও সমস্যা নেই, কারণ মায়ের রক্ত শিশুকে রক্ত দেয় । যাইহোক, শিশুর রক্তের গ্রুপ পজিটিভ হলে, শিশুর আরএইচ পজিটিভ রক্ত অমরা মাধ্যমে মাসিক রক্ত বিনিময়ের সময় মায়ের আরএইচ-নেগেটিভ গ্রুপে বিক্রিয়া করে । ইমিউন অ্যান্টিবডি প্রস্তুতির জন্য এই প্রতিক্রিয়ার ফলাফল ।
গর্ভের শিশু কখন ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে?

এই অ্যান্টিবডি অতিরিক্ত পরিমাণে উৎপন্ন হলে শিশুর জন্য বিপজ্জনক হতে পারে । এর ফলে রক্তে উপস্থিত হিমোগ্লোবিনের ক্ষতি হয় এবং রক্তে বিলিরুবিনের পরিমাণ বেড়ে যায় । এর ফলে শিশুর মধ্যে জন্ডিস হতে পারে । আমাদের দেশে গর্ভে শিশুর মধ্যে প্রায়ই জন্ডিসের ঘটনা দেখা যায় । গর্ভে থাকা শিশুর জন্ডিস অনেক ক্ষেত্রেই শিশুর মৃত্যুর কারণ খুঁজে পাওয়া যায় । না হলে গর্ভে থাকা শিশুর মস্তিষ্কে এর দারুণ প্রভাব পড়ে ।

তবে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে এর সমাধান হয় । স্ত্রীর আরএইচ নেগেটিভ ও স্বামীর আরএইচ পজিটিভ হওয়ার আগে প্রসবের সময় এমন কোনও সমস্যা হতে পারে । কিন্তু জন্মের সময় দ্বিতীয় সন্তান ঝুঁকির মধ্যে থাকার ভয় থাকে । যাইহোক, যদি আরএইচ নেগেটিভ গ্রুপ মায়েদের একটি এইচ. টি পজিটিভ থাকে, তাহলে প্রসবের 72 ঘন্টা আগে মায়ের কাছে অ্যান্টি-ডি (Rho) ইমিউনগ্লোবুল ইনজেকশন দেওয়ার ঝুঁকি ঠেকানো যায় । এই সমস্যার সমাধান করে প্রতিটি ডেলিভারির সময় আরএইচ নেগেটিভ মাকে এই প্রদান করে ।

তবে এমন মায়ের গর্ভধারনের 8-9 মাসে, পরোক্ষ অ্যানিগ্লোবুলিন (কোওবস) পরীক্ষার মাধ্যমে ডাক্তাররা মায়ের শরীরে কোনও অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে কি না, তা দেখতে । যদি তাই হয়, প্রসবের 35 এবং 38 সপ্তাহের মধ্যে সেকসপিয়র বা অন্য কোনও উপায়ে ব্যবস্থা করা হয় ।

প্রথম ডেলিভারির সময় ঝুঁকি মাত্র ৩০% । এর কারণ, মায়ের আরএইচ নেগেটিভ রক্ত আরএইচ পজিটিভ কুসের মধ্যে অন্তত ২ বার মায়ের রক্তের সংস্পর্শে আসার জন্য প্রয়োজন হয় অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার । মায়ের শরীরে প্রথমে অ্যান্টিজেন সংস্পর্শে আসে এবং তার সঙ্গে পরিচিত হয় ।

কিন্তু যদি আগেই গর্ভপাত করানো হয়ে থাকে, তাহলে বিপদের সম্ভাবনা থাকে । উল্লেখ্য, চিকিত্ সা বিজ্ঞান অত্যাধুনিক হয়ে উঠেছে এবং এমন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সাহায্য করতে পারে এটা স্বস্তিদায়ক ।