নিজের মনের কথা অযোধ্যা মামলার উল্লেখ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । মোদী বলেন, 2010-এর সেপ্টেম্বরে এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় সচিত্র জানিয়েছিল, দেশের একতা ও অখণ্ডতার জন্য সমাজ কী ভাবে সজাগ হয়েছে ।
দেশের একতা ও অখণ্ডতার জন্য অযোধ্যায় সমাজ সজাগ বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী-মোদী ।
অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ-রামআমানদীর মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের শুনানি শেষ হয়েছে । শুধুমাত্র নভেম্বরেই এই মামলার রায় দিতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তখন অযোধ্যা মামলার কথা তাঁর মনে উল্লেখ করেন । মোদী বলেন, 2010-এর সেপ্টেম্বরে এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় সচিত্র জানিয়েছিল, দেশের একতা ও অখণ্ডতার জন্য সমাজ কী ভাবে সজাগ হয়েছে ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের ঐক্য ও সম্প্রীতির জন্য আমাদের সমাজ সবসময়ই সজাগ থেকেছে । আমার মনে আছে, এলাহাবাদ হাইকোর্ট যখন 2010-র সেপ্টেম্বরে রাম মন্দির নিয়ে তার রায় পৌঁছে দেয়, তখন নানা মানুষ মাঠে আসে । কিছু বাগাড়ম্বর আর বিগশব্দ শুধু সেল্ফ গ্লেজের জন্য চলেনি । পাঁচ থেকে দশ দিন ধরে এই সব চলেছিল, কিন্তু যখনই এই সিদ্ধান্ত এসেছে, তখনই দেশ এক সুখকর পরিবর্তন অনুভব করল ।
সব সিদ্ধান্ত নিয়ে সংযত বিবৃতি দিয়েছেন-মোদী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাম মন্দির নিয়ে যখনই সিদ্ধান্ত হয় 2010, রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, সব সম্প্রদায়, সাধু ও সুশীল সমাজের মানুষ অত্যন্ত ভারসাম্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন । বিচার বিভাগের গর্বের মর্যাদা দিয়েছেন । দেশ কত বড়, সেদিকে আমাদের নজর দেওয়া উচিত ।
সুপ্রিম কোর্টে 40 দিন একটানা শুনানির পর অযোধ্যা মামলা নিয়ে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ তার রায় সংরক্ষিত করেছে । এই বেঞ্চে বিচারপতি এস এ বোবডে, জাস্টিস ধনাজে ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি অশোক ভূষণ ও বিচারপতি এস আব্দুল নাজিরের সমন্বয়ে গঠিত হয় ।
তিন দল-সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখাড়া ও রাম লালা-র মধ্যে অযোধ্যায় 2.77 একর বিতর্কিত জমির সমান বণ্টনের নির্দেশ এলাহাবাদ হাইকোর্টের 2010 সেপ্টেম্বরের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা ১৪টি আবেদন শুনেছে সুপ্রিম কোর্টের একটি ফাইভ-প্রড বেঞ্চ । প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৭ নভেম্বর । আশা করা যায় ১৭ নভেম্বরের আগেই অযোধ্যা মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে ।