চন্দ্রযান-২: চাঁদ যখন কক্ষপথে জায়গা করে নিল, তখন ভারত ও চিনের চাঁদ মিশনের মুখ-মুখ

isro and china orbitor moon mission in Bengali
isro and china orbitor moon mission in Bengali

চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নেমে পড়েছে বিক্রম ল্যান্ডার । ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরোর (ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন-ইসরো) বিজ্ঞানীরা এখনও বিক্রম ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন । মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা (নাসা)-ও সাহায্য করছে সাহায্য করছে ইসরোর এই কাজ । নাসা তাদের তিনটি ডিপ স্পেস অ্যান্টেনা সেন্টার সক্রিয় করেছে ।

অন্যদিকে, ইসরো তার ডিপ স্পেস নেটওয়ার্কও ব্যবহার করছে । তবে এ ক্ষেত্রে এখনো চীনের নাম কোনো জায়গা থেকে আসেনি । এবার চাঁদের কক্ষপথে ভারত ও চিন মুখোমুখি এল ।

চাঁদের কক্ষপথে ভারত ও চিনের মধ্যে এই মুখ থুবড়ে পড়ল না লাদাখ ও অরুণাচল প্রদেশ দু ‘ টোই । এই বৈঠকে বসেছিল চন্দ্রযান-২র অরবিটার এবং চিনা অরবিটার কাইকিয়াও । 2018 সালের ২০ মে চাঁদে তার মুন মিশন চাঙ-৪ পাঠিয়েছিল চীন ।

2018-৭ ডিসেম্বর চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করে চাকাই-৪-এর ল্যান্ডার ও রোভার । দু ‘ জনেই সে সময় এখনও চাঁদের পৃষ্ঠে । তবে তার অরবিটার কুইনও চাঁদের চারপাশে চক্কর কাটছে । কাইকিয়াও একই কাজ করছে আমাদের চন্দ্রযান-২ অরবিটার । অর্থাত চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে পৃথিবীতে ছবি ও তথ্য পাঠানো ।

লুvid স্কট টাইলি ১২ সেপ্টেম্বর টুইট করেন, যাতে তিনি লেখেন, চন্দ্রযান-২ ও চিনের কুইনস-এর অরবিটার কীভাবে একে অপরের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে আসে । প্রায় ১২ মিনিট বৈঠক চলে । এরপর দুজনে নিজ নিজ ক্লাসে ঘুরে যান ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পর চাঁদের পৃষ্ঠে একটি ল্যান্ডার রোভার ল্যান্ড করে তৃতীয় দেশ চীন । চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে ভন কারমেন ক্রেনেও চিন তাদের ল্যান্ডার রোভার অবতরণ করেছিল ।

চাঁদের সন্ধ্যায় উঠছেন, এখন বিক্রম ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করা প্রায় কঠিন

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা (এলআরও)-এর চন্দ্র রিকনিসেন্স অরবিটার (এলআরও) ১৭ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার চাঁদের পাশ দিয়ে যাবে বিক্রম ল্যান্ডার । এতে চন্দ্র রিকনকনডেন্স অরবিটার বিক্রম ল্যান্ডার সম্পর্কে কোনও নতুন তথ্য দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে । Aajtak.In-র সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রকল্প বিজ্ঞানী নোনা ই পেট্রো মার্কিন মহাকাশ সংস্থার নাসা-র চান্দ্র রিকনিসেন্স অরবিটার (এলআরও) বলেন, চাঁদের পথে ।

আমাদের এলআরও-এর ছবি নেবে বিক্রম ল্যান্ডার, কিন্তু ছবি যে স্পষ্ট হয়ে আসবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই । কারণ, সন্ধ্যার সূর্যালোক কমে গিয়ে চাঁদের পৃষ্ঠে উপস্থিত কোনও বস্তুর স্পষ্ট ছবি তুললে তা হবে এক কঠিন কাজ । কিন্তু যা ছবি আসুক, আমরা সেগুলি ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরোর সঙ্গে শেয়ার করব ।

NASA-র তিনটি ডিপ স্পেস নেটওয়ার্ককে অ্যান্টিক মেসেজ পাঠাচ্ছে বিক্রম ল্যান্ডার

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা (নাসা)-ও তার ডিপ স্পেস নেটওয়ার্কের তিনটি কেন্দ্র থেকে চন্দ্রযান-২র অরবিটার এবং ল্যান্ডারের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগের চেষ্টা করছে । এরা হল স্পেনের তিন কেন্দ্র-মাদ্রিদ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় গোল্ডস্টোন এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা ।

এই তিনটি স্থানে শক্তিশালী অ্যান্টেনা চন্দ্রযান-২র অরবিটার সংস্পর্শে এলেও, সেই মেসেজগুলো বিক্রম ল্যান্ডারের কাছে পাঠানোর কোনও জবাব নেই । তবে চন্দ্রযান-২র অরবিটার এই মেসেজ পায় সাড়া ।