জিডিপি ১ বছরে ৫ লক্ষ কোটি শক্তিশালী হবে, সরকারের স্বপ্ন কি পূরণ হবে?

india economic slowdown forecast in bengali
india economic slowdown forecast in bengali

জিডিপি বৃদ্ধির প্রজেক্টটি কমিয়ে দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক । আরবিআই এক সময়ে এই পদক্ষেপ নিয়েছে, যখন সরকার $5,000,000,000,000 অর্থনীতিকে গুরুত্ব দিচ্ছে ।
জিডিপি বৃদ্ধির হিসেব কমিয়ে দিল আরবিআই: জিডিপি বৃদ্ধির হিসেব কমায় আরবিআই ।

আরবিআই জিডিপি বৃদ্ধির চিত্র 0.8 শতাংশ করে কেটে নেয়: সরকার $5,000,000,000,000 অর্থনীতির লক্ষ্যভেদে চাপ দিচ্ছে 2025

চলতি অর্থবর্ষের জন্য ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির প্রজেক্টটি কমিয়ে দিয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক । নতুন আরবিআই-এর সমীক্ষা অনুযায়ী, চলতি আর্থিক বছরের 2019-20 জিডিপি প্রজেক্টটি কমে হবে 6.1 শতাংশ । এর আগে আরবিআই জিডিপি বৃদ্ধির জন্য 6.9 শতাংশ হারে প্রকল্প নিয়েছিল । মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে আরবিআই প্রক্ষিপ্ত জিডিপি গ্রোথ ফিগার 0.8 শতাংশ কেটে নিয়েছে । আরবিআই-এর প্রজেক্টটি যদি বাস্তবে পরিণত হয়, তা হলে কেন্দ্রে মোদী সরকারের পক্ষে বিপত্তি কিছু কম নয় ।

বস্তুত, $5,000,000,000,000-2025 (প্রায় 350 লক্ষ কোটি টাকা) অর্থনীতির লক্ষ্যমাত্রাকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার । এ লক্ষ্য অর্জনে সরকারকে শতকরা হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধির গতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে । এ ছাড়া এই লক্ষ্য অর্জনে টাকার শক্তিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে । যত শক্তিশালী হবে রুপো, ততই দেশের জিডিপি বেড়ে যাবে ।

এটা উদাহরণ দিয়ে বোঝা যাক

আমরা জিডিপি 2017 ও 2018-এ জিডিপির তুলনা করি । ভারতের বার্ষিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি FY2017 দশমিক 6.7 শতাংশ হারে মুষড়ে পড়েছিল । এর উপর ভিত্তি করে দেশের জিডিপি $2,652,250 মিলিয়ন ডলার (188,000,000-এর কাছাকাছি) । বিশ্ব অর্থনীতির উপর নজরদারি করা দেশ অর্থনীতির ওয়েবসাইটের মতে, FY18 সালে ভারতের জিডিপি আনুমানিক $2,716,750 মিলিয়ন ডলার (193,000,000 কোটি এর কাছাকাছি) । অর্থাৎ এক আর্থিক বছরে মাত্র ৫ লক্ষ কোটি টাকার কাছাকাছি বেড়ে গিয়েছে দেশের জিডিপি ।

মোদী সরকারে জিডিপি পরিস্থিতি

অন্যদিকে, আরবিআইয়ের আনুমানিক তথ্যের ভিত্তিতে FY17-এ জিডিপি হবে 6.1 শতাংশ । যদি তা হয়, স্পষ্টতই, ফান্ডের ক্ষেত্রে জিডিপি কমে যাবে । লোকসান আরও জটিল করে দিতে পারে ডলার ও টাকার নিয়ন্ত্রণহীন বিনিময় হার । অদূর ভবিষ্যতে টাকার অবমূল্যায়ন হলে তা ডলারের নিরিখে ভারতের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে, কিন্তু ডলারের বিপরীতে যদি টাকার জোগান শক্তিশালী হয়, তাহলে লাভবান হবে ।

জিডিপি ফিগার কী?

যে কোনও দেশের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি হল জিডিপি । এই চিত্রে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং আগামিদিনে অর্থনীতির অভিমুখ দেখা যাচ্ছে । ভারতে জিডিপি প্রতি তৃতীয় মাস অর্থাৎ ত্রৈমাসিক হিসাব করা হয় ।

পৃথক মন্ত্রকের হিসেবের পর সরকারি প্রতিষ্ঠানের সেন্ট্রাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিস (সিএসও) থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয় । এই পরিসংখ্যান প্রধানত আটটি শিল্প ক্ষেত্র থেকে-কৃষি, খনি, উত্পাদন, বিদ্যুৎ, নির্মাণ, বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা ও অন্যান্য পরিষেবা । সিএসও তখন যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তা সরকারি ভাবে মানা হয় ।

আরবিআইয়ের জিডিপি প্রজেক্টটা কী?

অর্থনীতির স্বাস্থ্য দেখেই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক আরবিআই মনিটরিং পলিসি কমিটির বৈঠকে জিডিপি নিয়ে পর্যালোচনা করে । প্রতি দু ‘ মাস অন্তর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় । তিন দিনের এই পর্যালোচনা বৈঠকের পর আরবিআই পেশ করে প্রজেক্টেড জিডিপি-র পরিসংখ্যান ।

জিডিপি নিয়ে আরবিআই-এর প্রক্ষিপ্ত পরিসংখ্যান যদি কম হয়, তা হলে তা কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে সতর্কতা । অর্থাৎ যে সরকার ক্ষমতায় রয়েছে, তারা অর্থনৈতিক ফ্রন্টে কিছু বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে । ক্রমাগত কম জিডিপি-র পরিসংখ্যান জানাচ্ছে যে অর্থনীতি বেশ দুর্বল হয়ে পড়ছে । এতে দেখা যায়, মানুষের খরচ করার অর্থও নেই ।

সারা বিশ্বের রেটিং এজেন্সিগুলোও জিডিপি ভিন্ন মাত্রায় নিরূপণ করে । এই হিসেবের উপর ভিত্তি করে রেটিং এজেন্সিগুলি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আনুমানিক জিডিপি তথ্য হ্রাস বা বৃদ্ধি করে । এই সংস্থাগুলো সাধারণত জিডিপি প্রবৃদ্ধি বর্তমান অর্থনীতির বর্তমান স্বাস্থ্যের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী ৩ আর্থিক বছরের জন্য অনুমান করে ।

সাধারণ মানুষের কাছে জিডিপি-র সংযোগ কী?

জিডিপি-র পরিসংখ্যানেও প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের । জিডিপি-র পরিসংখ্যান ধারাবাহিকভাবে ভাল ভাবে অবস্থান করলে তা দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ । জিডিপি কম হওয়ার কারণে মানুষের গড় আয় কমে যায় এবং মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যায় । পাশাপাশি, নতুন চাকরি তৈরির গতি ধোঁয়াও পায় । অর্থনৈতিক ভাবে ভাল থাকা মানেই ছন্নছাড়া হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় । একই সঙ্গে মানুষের সঞ্চয় ও বিনিয়োগও কমে যায় ।