মুম্বাই ভারতীয় বোলারদের জমকালো বোলিংয়ের ওপর বুধবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে 67 রানে হারিয়ে তৃতীয় ও ফয়সালা হওয়া টি-২০ ম্যাচে সিরিজ 2-1-এর নাম করে ভারত।
সেরা সেমি-সেঞ্চুরি ওপেনার লোকেশ রাহুল (91), রোহিত শর্মা (71) ও অধিনায়ক বিরাট কোহলির (অপরাজিত 70) সঙ্গে ভারতের স্কোর ২০ ওভারে তিন উইকেটে 240, যার জবাবে উইন্ডটেজ টিম ২০ ওভারে আট উইকেটে 173 রান তুলতে পারে।
উইন্ডস-এর পক্ষ থেকে শিমরন হেটমায়ার চতুর্থ ও পাঁচ ছক্কার সাহায্যে ২৪ বল 41 রান করেন এবং অধিনায়ক কিয়েরন পোলার্ড 68 রান দিয়ে পাঁচটি চার ও ছয়টি ছক্কায় 39 বল খেলে ঝড়ো ইনিংস খেলেন। দু ‘ টো শিফটে ম্যাচও জিততে না পারায় ফয়সালার ম্যাচে হার হয়।
ভারতের তরফে দীপক ছার চার ওভারে ২০ রান, পেসার মহম্মদ শামির চার ওভারে ২৫ রান, ভুনেশ্বর কুমার চার ওভারে 41 রান এবং চিনম্যান বোলার কুলদীপ যাদব চার ওভারে দু ‘ উইকেট নেন 45 রান।
এর আগে উইন্ডটেজ টসে জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে আমন্ত্রণ জানায় রাহুল ও রোহিত এই সময়টার সুযোগ নিয়ে। প্রথম থেকেই দুই ব্যাটই। প্রথম উইকেটে 135 রানের জোরালো পার্টনারশিপ গড়েন এই দুই ব্যাটসম্যান। রোহিত 34 বল খেলে ছয়টি চার ও পাঁচটি ছক্কার সাহায্যে 71 স্কোর করে টি-২০ ক্যারিয়ারের ১৯তম অর্ধশতরানটি তুলে দেন।
তবে রোহিত কেরিক উইলিয়ামস বল হাতে হেডেন ওয়ালশকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে হাঁটলেন । প্রথম উইকেট পড়ে যাওয়ার পর উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থ ক্রাটেজ ও দ্বিতীয় বলের উপর অবতরণ করে কিয়েরন পোলার্ড তাঁকে ফিরিয়ে দেন। বিনা হিসাব খুললেন পন্থ। রাহুল তখন বিরাটের সঙ্গে ইনিংস খেলে দু ‘ জনে তৃতীয় উইকেটে 95 রানের বড় পার্টনারশিপ গড়েন।
রাহুল অবশ্য তাঁর সেঞ্চুরি সম্পূর্ণ করতে পারেননি। আউট হন শেলডন কটরেল । 56 বল 91 রান করে একটি ইনিংসে নয়টি চার ও চারটি ছক্কায় রোপণ করেন রাহুল। আজ জোরালো সূচনা দেওয়ার পর ভারতীয় ইনিংসের দায়িত্ব সামলানো অধিনায়ক বিরাট এবং চারটি চার ও সাতটি ছক্কায় মাত্র ২৯ বল খেলে 70 অপরাজিত থাকেন। বিরাট তাঁর টি২০-২০ ক্যারিয়ারের ২৪তম অর্ধশতাব্দীতেও আঘাত হানেন এবং এভাবে দুটি বড় অংশীদারিত্বের সাহায্যে ভারতকে বড় টার্গেট দিতে পেরেছেন।
একটি অ্যাকাউন্ট না খুলেই ভারতের ইনিংসে অপরাজিত থাকলেন শ্রেয়াস আইয়ার। উইন্ডবয়দের পক্ষ থেকে উইলিয়ামস চার ওভারে 37 রান, কোটারিল 40 রান চার ওভারে এবং পোলার্ড দুই ওভারে এক উইকেট নেন 33 রানে ।
উইন্ডটেজ ইনিংসের শুরু থেকেই অনিশ্চিত এবং তাঁর দুই ওপেনার সস্তা হয়ে আউট হয়ে যান। ওপেনিংয়ে তাড়াতাড়ি প্যাভিলিয়নে ফেরার পর হেটমায়ার চেষ্টা করেন উইন্ডটেজ ইনিংস সামলানোর এবং ভারতীয় বোলারদের উপর চাপ সৃষ্টি করার। কিন্তু নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরান যে ক্রিজ থেকে অবতরণ করেন, সেখানে একটি অ্যাকাউন্ট না খুলেই উইন্ডএজ টিমকে বিপদে ফেলে দেন।
ইতিমধ্যে হেটমায়ার তাঁর ইনিংস চালিয়ে যান। ভারতীয় দলের কাছে উত্পাত করলেও, কুলদীপ রাহুল গাঁধীর হাত ধরতে গিয়ে শেষ হয়ে যায় তাঁর ইনিংস। হেটমায়ার করেছেন 41 রান। তিনি টামইয়ের আউটের পর অধিনায়ক কিয়েরন পোলার্ডকে সামনে নিয়ে গিয়ে জামাইকান হোল্ডারের সঙ্গে এগিয়ে যান উইন্ডএজ ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
পোলার্ড ঝড়ো ইনিংস খেললেও অন্য প্রান্ত থেকে তাঁকে সঙ্গ দেওয়ার কেউ ছিল না। মাত্র আট রানে স্কোরে কুলদীপ শিকার হন হোল্ডার। আট রান ইনিংসে একটি স্কোয়ার রোপণ করেন তিনি। পোলার্ড ক্রমাগত বড় শট বানিয়ে ভারতীয় বোলারদের উপর চাপ বাড়িয়ে দিচ্ছিলেন যে তখনই ভুবনেশ্বর পরিবর্ত খেলোয়াড় হিসেবে রবীন্দ্র জাডেজাকে মাঠে ধরা দিয়ে ভারতের কাছে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন। পোলার্ডের উইকেট বাদ দিয়ে দলের স্কোর 141 রান ।
উইন্ডটেজ ইনিংসে হেডেন ওয়ালশের অবদান ১১, হোল্ডার আট, লেন্দাল সিমোন সেভেন, খেরি পিয়ের ছয় ও ব্রেন্ডান কিং পাঁচ রান নিলেও কেরিক উইলিয়ামস ১৩ ও শেলডন কোটারিল চার রানে অপরাজিত থাকেন।