পাগলাটে স্বামী কাটা স্ত্রী সঙ্গে কুঠার, অবস্থা সঙ্কটজনক

eccentric husband cuts wife with axe condition critical
eccentric husband cuts wife with axe condition critical

গাঁধীনগর থানা এলাকার সানডে বাজারের নীচে কোয়ার্টার্সে থাকতেন সিসিএল কর্মী দামোদর রাজওয়ারের বড় মেয়ে শোভা দেবী (35 বছর), স্বামী বিজয় কুমারের হাতে গুরুতর জখম হন তিনি । ঘটনার সময় শোভা দেবী তাঁর মা মহেন্দ্রী দেবীকে সঙ্গে নিয়ে বোকারো কোলিয়ারি হাসপাতালের পিছনে কাঠ আনতে জঙ্গলে গিয়েছিলেন ।

মহন্দ্রী দেবী বলেন, ‘ জামাই ক্ষোভে জঙ্গলে পৌঁছে যায়, তারপর আমার মেয়েকে শপথ করে গলায় দড়ি দিয়ে চেপে ধরে । আমি যখন আমার সাথে অন্য দুই মহিলার সাথে তাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করি, তখন সে একটি পর্দা দিয়ে তাকে গলা টিপে মারতে শুরু করে । গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি । তারপর এক মহিলা জঙ্গল থেকে নেমে দৌড়ে এসে একটি রঙ ও আর্তনাদ করে উঠলেন, তার পর সেখানে মানুষ এলেন ।

গান্ধীনগর পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জ পঙ্কজ কাচচপ, এএসআই সঞ্জয় কুমার সিং ছুটে গিয়ে তথ্য পাওয়ার পর স্বামী বিজয়কে আটক করেন । একইসঙ্গে আহত শোভা দেবীকে সঙ্গে সঙ্গে বোকারো কোলিয়ারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ যেখানে ডাঃ এ ডন, ডক্টর বি সতীশ ও ডক্টর ইরফান তাঁর চিকিৎসা করেন এমন পরিস্থিতির ভয়াবহতা দেখেই তাঁকে ধোবরি সেন্ট্রাল হাসপাতালে রেফার করা হয় ৷ । তাঁর মাথার পিছনে, গলায় গুরুতর চোট রয়েছে এ ছাড়া । চিকিত্সকদের মতে, ঘাড় ও মুখের হাড়ে ফ্র্যাকচার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । আঘাত যথেষ্ট গভীর তাই বিঘ উন্নত চিকিত্সার জন্য পাঠানো হচ্ছে ।

স্বামী বিজয়ের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ করেন স্ত্রী ।
কাসমার ব্লকের বাহাদুরপুরের বাসিন্দা বিজয় কুমার । তিনি জানান, তাঁর ভাই হারু রাজযুদ্ধও গ্রামের প্রধান । বিয়ের কয়েক দিন পর রবিবার বাজার শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন তিনি । গত ১০ বছর ধরে তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান (১০ বছরের ছেলে ও ১২ বছরের মেয়ে) সঙ্গে রয়েছেন শ্বশুরবাড়ির কাছে কোয়ার্টার্স । তিনি প্রাইভেট ডাম্পার হিসেবে কাজ করেন, যার ফলে তিনি প্রায়ই বাড়ি থেকে দূরে থাকেন ।

তিনি বলেন, স্ত্রী প্রায়ই মোবাইলে কারও সঙ্গে কথা বলেন । একমাস আগে শোভা টাটা চলে যান ঝাড়খণ্ড পুলিশে চাকরি করার কথা বলতে । কিছু দিন পরে যখন পৌঁছলাম, দেখলাম, সে এক যুবকের সঙ্গে হাঁটছে । তখন আমি ওকে রবিবারের বাজারে নিয়ে গেলেও মোবাইলে কথা বলে ছেড়ে দিইনি । মোবাইলে তাঁর কণ্ঠও রেকর্ড করেছি । আজ আমি যখন ডিউটি থেকে বাড়ি ফিরে এসেছিলাম, তখন ওকে বাড়িতে খুঁজে পাইনি । মোবাইলে যা রেকর্ড হয়েছে, তার পরে একটি চার্জ করে জঙ্গলের খোঁজ পৌঁছে গিয়েছে বলে শুনেছি ।

শোভনের মা মহেন্দ্রি দেবী বলেন, জামাই সব সময় আমার মেয়েকে মারধর করে অপ্রয়োজনীয় অভিযোগ তুলছে । আজও জঙ্গলমহলে এসে তাঁকে কুঠার দিয়ে আঘাত করে ।