যোগী আদিত্যনাথ এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী গর্জন থেকে রাজনীতির

Yogi Adityanath and Priyanka Gandhi heap up politics in arrogance

জয়পুর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ভারতের উত্তরপ্রদেশে সবচেয়ে বেশি দেখা গিয়েছিল। যারা হিংসা ছড়ায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সিএএ প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে হিংসা ছড়াচ্ছে দুর্বৃত্তরা, মারধর করা হয় পুলিশকে।

২ দিন আগে মেরঠ থেকে পুলিশ তাড়িয়ে দেয় কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে। তারপর থেকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ওপর পাপিষ্ঠ। এরপরই লখনউয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গেও দেখা করতে যান প্রিয়াঙ্কা গান্ধি ৷ এছাড়াও তাঁকে বাধা দেয় পুলিশ৷ এরপরে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী গোটা অভিযোগ জানিয়েছিলেন যোগী আদিত্যনাথকে। উত্তরপ্রদেশে হিংসার পর প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও যোগী আদিত্যনাথের মধ্যে রাজনীতি বজ্রসহ হয়েছে।

কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আজ রাজ্যের যোগী সরকারের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে প্রিয়াঙ্কাকে চিঠি জমা দিয়েছেন রাজ্যপাল।

যোগীর বিরুদ্ধে তোলা বেশ কিছু অভিযোগ —
যোগী আদিত্যনাথের বক্তব্য নিয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, যোগী বলেছেন, তিনি মানুষের উপর প্রতিশোধ নেবেন। প্রথমবারের মতো একজন মুখ্যমন্ত্রী এমন বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, বিজনৌরের দুধ নিতে যাওয়া ছেলেটিকে খুন করা হয়েছে। হাসপাতাল সাহায্য না করায়, পুলিশ বাড়ি কবর দিতে অস্বীকার করে ২০ কিলোমিটারও রাস্তা থেকে চাপা দেয়। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, দারা পুরীকে লখনউয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে তিনি ফেসবুক পোস্ট লেখেন। তাঁরাই পুলিশের ঘর থেকে তাঁদের নিয়ে যান। প্রিয়াঙ্কার আগে সলমন খুরশীদ বলেন, যেখানে মানুষকে হেনস্থা করা হয়েছে, সেখানে তাদের সহযোগিতা ও সমর্থন করবে কংগ্রেস। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের এফআইআর-এ রাখা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ কাজ করছে —
প্রিয়াঙ্কা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশোধের জন্য যে বিবৃতি দিয়েছে পুলিশ। এই প্রথম ইতিহাসে যখন মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশোধের কথা বললেন। প্রিয়াঙ্কা বলেন, উত্তরপ্রদেশের পুলিশ প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করছে। বললেন, যোগীর ঝুলিতে জাফরান, এই জাফরান আপনার নয়। জাফরান দেশের আধ্যাত্মিক বিশ্বাসের প্রতীক। বদলা নেওয়ার জায়গা নেই। কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক বললেন, আমার নিরাপত্তার প্রশ্নটি বড় প্রশ্ন নয়, আলোচনার কোনও প্রয়োজন নেই। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন আমরা বাড়াচ্ছি। হেলমেটের প্রশ্নে তা প্রফেলিভে-র ব্যাপার। তিনি বলেন, নাগরিকত্ব আইন সংবিধানের বিরোধী।