একটি এসজি পিঙ্ক বল প্রস্তুত করতে লাগে 8 দিন

What goes in the making of a brand new pink cricket ball

নয়াদিল্লি। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক দিন-রাতের টেস্টের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে, কিন্তু বিশেষ প্রক্রিয়া ও কমন বলের তুলনায় বেশ কিছু দিনের পরিশ্রমের পর প্রস্তুত থাকা এসজি পিঙ্ক বলের দিকে সবার নজর।

ভারত ও বাংলাদেশ থেকে আসা দলগুলো আগামী ২২ নভেম্বর থেকে ইডেন গার্ডেন্স গ্রাউন্ডে তাদের ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম দিন-রাতের টেস্ট খেলতে নামবে, যা গোলাপী রঙে আঁকা হয়েছে গোটা শহরকে স্মরণীয় করে রাখতে। কিন্তু দিন-রাতের ফরম্যাটে ব্যবহৃত এই গোলাপি বলের পেছনের গল্পও বেশ চমকপ্রদ, যা নিয়মিত কুকাবুরা বলের তুলনায় প্রস্তুতির জন্য প্রায় আট দিন সময় নেয়।

হোয়াইট রঙের কুকাবুরা বল নিয়ে নিয়মিত টেস্ট খেললেও এসজি পিঙ্ক বল নিয়ে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ দিন-রাতের টেস্ট খেলবে আয়োজক ভারতীয় দল। এসজি বল, সানপেরেস গ্রিনল্যান্ড ক্রিকেট বল, ভারতীয় খেলোয়াড়দের খুব পছন্দ এবং ভারতের রঞ্জি ট্রফির মতো ঘরোয়া টুর্নামেন্টও এই এসজি বল নিয়ে খেলা হয়।

1950-এর পর থেকে উত্তরপ্রদেশের মেরঠ-এ এই বল নির্মাণ করছে এসজি ব্র্যান্ড। গোলাপি বল নিয়ে কথা বলা, নিয়মিত বল করার চেয়ে বেশ আলাদা এবং দু ‘ দিনের মধ্যে কমন বল তৈরি হওয়ার সময় এই এক বল প্রস্তুত করতে কারিগর আট দিন সময় লাগে। এই বল প্রধানত মেশিনের পরিবর্তে হাত দ্বারা প্রস্তুত করা হয় এবং এর মধ্যে ব্যবহৃত চামড়া বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়।

বলের ভেতরের অংশ কর্ক ও রাবার থেকে প্রস্তুত করা হয়। এর ওজন 156 গ্রাম এবং 22.5 সেন্টিমিটারের ঘের রয়েছে। বল তিন ধরনের সেলাই হয় যার মধ্যে একটির নাম লিপ সেলাই অথচ বাকি দুজন বলের দুই অংশে রয়েছে মোট 78 সেলাই। দু ‘ টি অংশের সেলাই বোলারদের বল ভাল ধরতে সাহায্য করে শিশির।

গোলাপি বলের রঙ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়, আসলে এই বলগুলো ফ্ল্যাট আলোয় ব্যবহার করা হয়, তাই গোলাপি রংকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলতে ডার্মলি গ্রোগন।

সাধারণ বলের চেয়ে রোগান অবশ্য লাল বলের তুলনায় তাদের আচরণ বদলায় । 60 থেকে 70 মিনিটে সাধারণ লাল বলের উজ্জ্বলতা অক্ষত থাকলেও গোলাপি বলের উজ্জ্বলতা ম্যাচের দুই থেকে তিন সেশনের জন্য অক্ষত থাকতে পারে।

গোলাপি বল তৈরি করতে ব্যবহৃত চামড়া রং করার পাশাপাশি বল তৈরি হওয়ার পরেও এই সব বলের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য এর উপর আরও প্রলেপ দেওয়া হয়। এই বল তৈরির প্রক্রিয়াও প্রায় ৮ দিন লেগে যায়।

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ২২ নভেম্বরের ম্যাচের জন্য মোট ছয় ডজন বা 72 এসজি পিঙ্ক বল সরবরাহ করবে এসজি কোম্পানি, দু ‘ দেশেরই প্রথম গোলাপি বলের ম্যাচ।

তবে মাঠে ব্যবহারের কথা বললেও এই সব বল ঝুলন বেশি সহায়ক বলে মনে করলেও রিভার্স সুইং করা কঠিন। পিচ নিয়েও দিন-রাতের টেস্টের সময় খেলায় বিশেষ প্রভাব পড়বে।

তিন দিনে শেষ হওয়া গোলাপি বলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে প্রথম দিন-রাতের টেস্ট খেলা হয় এবং ব্যাটসম্যান হিসেবে ম্যাচে রান করাটা বেশ কঠিন ছিল। এটা দেখতে হবে যাদের জন্য এসজি পিঙ্ক বল ইডেন গার্ডেনের মাটিতে সহায়ক হবে।