মহিলাদের মধ্যে স্থূলতা চিকিত্সা

আজ স্থূলতা হয়ে উঠেছে জীবনের অভিশাপ । এর ফলে অনেক রোগ অনাহূত হয় । যেমন হার্ট অ্যাটাক, লিভার ফেলিওর, ডায়াবেটিস, শ্বাস-কষ্ট, উচ্চ রক্তচাপ (কখনো কখনও নিম্ন রক্তচাপ), গাঁটে ব্যথা, পক্ষাঘাত, ক্লান্তি, পিঠ ও পায়ের ব্যথা, বন্ধ্যাত্ব, ঋতুপর্ণের আকস্মিক স্টপেজ, কোষ্ঠকাঠিন্য, মাড়ি, কিডনির ব্যথা, মস্তিষ্কের দুর্বলতা, রক্তক্ষয়, অনিদ্রা, ক্যান্সার, এপিডিএস, অর্শ্বরোগ, মাল্টি-মূত্র ইত্যাদি ।

মহিলাদের আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে বলে মনে হয় । 45 বছর পর্যন্ত মৃত্যুর হার দেখা যাচ্ছে । স্থূলতা শুরু হয় শৈশব থেকেই । বোতল থেকে খাওয়াদাওয়া শুরু হয় । প্রথম ২৫ বছর ধরে বাড়ে, তারপর 40 বছর পরেও বাড়ে ।

স্থূলতা কমাতে কিভাবে

স্থূলতা স্থূলত্ব পরিমাপ টেবিল অনুযায়ী সনাক্ত করা উচিত । চামড়া ক্যালবার থেকেও স্থূলতার শতকরা হার সনাক্ত করা যায় । স্থূলতা জীবনে একবার আসে বলে শরীরের নাম নেয় না, আবার চলে গেলেও খাওয়া থেকে ফিরে আসে । স্থূলতা আমাদের কোরের জন্য একটি শাস্তি ।

আপনার কোমর, কব্জি, বুক, নিতম্ব, ঊরু, শিন, গোড়ালি, হাত সব লেস সঙ্গে পরিমাপ করুন । এছাড়াও উচ্চতা ১ মেশিনের থেকে তার ওজন দেখাতেও রাখা হয়েছে । প্রতি মাসে আপনার পরিমাপ ওজন করুন । আপনার প্রত্যাশিত ওজন থেকে ওজন লাভ ২০% স্থূলতা ।

চর্বি বৃদ্ধির কারণ

স্থূলকায় বাবা-মায়ের সন্তানরা প্রায়শই মোটা হয় কিন্তু এই প্রভাব 40%-এ পরিলক্ষিত হতে পারে ।

অলসতা:-বাসে খাওয়া ও থাকা কোলেস্টেরল বাড়ায় । রক্তে গ্লুকোজ প্রভাবিত করার ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে ।
কাজ না করা:-যে নারীরা কিছুই করে না, নড়াচড়া করে না, বসে বা কোনো স্থানে শুয়ে থাকে, বেশি ঘুমান, ওজন বৃদ্ধি করে ।
বেশি খাবার:-বেশি সময় খান, বেশি খাবার খান, ভাজা জিনিস খান, ক্ষুধা ছাড়া খাবেন না, বেশি মিষ্টি খান, আমাদের ঐতিহ্য এত ভুল যে আপনি খুশি হবেন, তারপর মিষ্টি দেবেন । সময় অতিথি আসার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরাও খেতে যাবেন । প্রতিটি উৎসব গার্লিশ ও ডিশ দিয়ে পালিত হয় এবং খাওয়ার জন্যও ফ্যাসিটিসেস রাখা হয় ।
গ্ল্যান্ডকুলার ফেলিওর:-পিটুইটারি, থাইরয়েড এবং রিওনাল গ্রন্থিগুলির ম্যালকার্যকারিতা তাদের হরমোনকে ভারসাম্যহীন করে তোলে এবং স্থূলতা বাড়ে । স্থূলতা বিশেষ করে থাইরয়েড ডিফর্মেশন দ্বারা সৃষ্ট ।
ডায়াবেটিস:-যেসব নারী ডায়াবেটিস মেলিটাস আছে তারা ভয়ে চলে যান ।
বাচ্চা হওয়ার পর:-নারীরা যখন 40 দিনের জন্য কিছুই করে না এবং ভালো করে খায়, তখন শরীর যে বেড়ে ওঠে তা স্বাস্থ্যের লক্ষণ বলে বিবেচিত হয় । একে গর্ভধারণের বেধ বলা হয় ।
প্রেম না পাওয়া:-হতাশা, ক্রোধ, ভালোবাসার অভাব চরিতার্থ করতে বেশি খাবার খাওয়া হয়, যার ফল হয় স্থূলতা । এটি একটি মনস্তাত্ত্বিক কারণ ।
দারিদ্র, লাঞ্ছনা ও বোরদরাজ্য:-এই কারণগুলি স্থূলতার গোপন কারণও বলে মনে করা হয় । ক্ষুধার্ত খাবার পেলে সে প্রথমে তৃপ্তি করে পুরনো হিসাবের বন্দোবস্ত করতে চায় । একইভাবে এটি অন্য কারণেও প্রযোজ্য ।
গর্ভনিরোধক বড়ি খাওয়া:-বিয়ের পর গর্ভনিরোধক বড়ি খেলে শরীরের ভার বাড়তে দেখা গিয়েছে ।
অন্য কারণ: ধূমপান, মানসিক চাপ-কমানোর ওষুধ, নেশার ওষুধ, ক্যান্সার ও মূত্রনালীর সমস্যা, শৈশবে মেয়েদের বেশি ডায়েটিং স্থূলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ।

পেটের চর্বি কমানোর উপায়

তিন থেকে চারটি বিষয় মূলত ফ্যাট লোকসানে হয়-সঠিক ডায়েট, যোগাভ্যাস, ব্যায়াম, শরীরকে সচল রাখা এবং পাতলা অনুভূতি ।

পরিশোধন কার্যক্রম:-কুজল, বাঁকু অজু ও ডুশ ।

কুজল: শৌচ করার পর উভিডু করে বসে পান 4-5 গ্লাস উষ্ণ, বিশুদ্ধ জল, ছবিতে দাঁড়িয়ে, ছোট জিভ দুটো দিয়ে নাড়া, বাঁ হাতের পেটের উপর তিনটি আঙুল এবং মুখের মধ্যে হাতের দু ‘ টি আঙুল । জল বেরিয়ে আসবে । জল না ছাড়ার আগ পর্যন্ত সোজা হয়ে দাঁড়াবেন না, মুখ থেকে আঙুলও সরানো হয় না । পরিশেষে একটি কপাল প্রাণায়ম সঞ্চালন । অনেকে শাভাসানের মধ্যে শুয়ে থাকেন ।

অন্যান্য ব্যায়াম:-জগিং, সাইক্লিং, নাচ, সাঁতার, নাকাল গ্রাইন্ডার, দড়ি জাম্পিং, স্কেটিং, 10-100 পর্যন্ত ধোয়া । একটি হাঁটু বুকে সংযুক্ত করতে নিতম্বের উপর হাত স্থাপন.
সূর্যের মুদ্রা:-নাম-পরিচয় ভাঁজ করুন । ৮ মিনিট ধরে আঙুলের সঙ্গে চেপে রাখলে স্থূলতা কমবে, কমবে ওজন ।
ডায়েট কন্ট্রোল:-ডায়েটিং করলে প্রথমে প্লেট জুড়ে স্যালাড খান । পাশাপাশি ইবাগল জলের হুকের মধ্যে ভিজিয়ে নিয়ে আধ ঘণ্টা আগে খাবারের সঙ্গে খান । এতে পেট পরিপূর্ণ ভরে যাবে । খিদে পাবে না । সামান্য খাবারও আছে । লুব্রিকেশন ও কার্বোহাইড্রেট কমানো । একই ভাবে প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল সল্ট গ্রহণ করে রাখুন । ডায়েটিংয়ের ঘাটতি হলে ক্ষতিকর হতে পারে ।

অন্তর্মুখ:-সরসদৃশ দুধ, ঘি, তেল, মাখন, মাংস, ডাম্পলিং, সিঙ্গাস, গোটা, চকলেট, ভাজা আলু, ভাত, মিষ্টি আলু, টিউটোমুল দিয়ে দিন ।
সাবধানতা জরুরি

স্থূলতা এড়ানোর গুরুত্বপূর্ণ টিপস

125 গ্রাম জল ও অল্প মধু দিয়ে ২৫ গ্রাম লেবুর রস মিশিয়ে দিন সন্ধেবেলা ।
5-6 পাতা চিবিয়ে মুখে আঙ্গুর দিয়ে অল্প জল পান করুন ।
এক গ্লাস জলে ৪ টেবিল চামচ ভিনিগার খালি পেটে পান করলে কুঁচকি স্থূলতা দূর হবে ।
ভিটামিন বি১ খাওয়ার ফলে থাইরয়েড ত্রুটি দূর হবে, চর্বি বাড়বে না ।
১০ সেকেন্ডে ৩০ বার আঙুলের ডগা ও ইনডেক্স ফিঙ্গার দিয়ে আপনার ওপরের ঠোঁটের ওপরের ঠোঁট থেকে মুখ ও নাকের মাঝের অংশ ম্যাসাজ করুন । এমনটা করলে খাওয়ার ইচ্ছা কমবে ।
দুঃখের মধ্যে বেশি খেতে ইচ্ছা হলে হাতের ছোট্ট আঙুলে নখের মূল পাশে বাইরে ম্যাসাজ করে দু ‘ টি আঙুল দিয়ে কব্জির উপর ছোট্ট আঙুলটা ম্যাসাজ করুন (আঙুল উঁচিয়ে) ।