জন্ডিসের জন্য ঘরোয়া প্রতিকার

কারণ এবং জন্ডিসের লক্ষণ

লিভার ফাংশন খারাপ হলে জন্ডিস হয় । এই রোগে পিত্তথলি ভাল ভাবে শোষিত হয় না । লিভারের কর্মে উদ্ভূত রোগ, চোখের ক্ষতি, দুর্বলতা, তৃষ্ণা, চোখের বৃত্ত ফুলে যাওয়া, ঘাম হওয়া বন্ধ হওয়া, অ-হজম খাবার, জ্বর, কানের শব্দ এবং শরীরে হলুদ সহ অনেক লক্ষণ সৃষ্টি করে । এই রোগে রোগীর সারা শরীর হলদে হয়ে যায় । তাই তো জন্ডিস রোগ হিসেবে পরিচিত । এই রোগটি অত্যধিক অ্যালকোহল গ্রহণ, টক পদার্থ খাওয়া, মাটি খাদ্য, নোংরা পানি পান, ইনসিভ পদার্থ এবং অত্যধিক সঙ্গমের কারণে সৃষ্ট হয় ।
জন্ডিস হলে চিকিৎসা

১. আখ: জন্ডিস রোগীরা আখ খাওয়া ও আখ রস পান করা থেকে অনেকটাই লাভবান হন । সকালে নিয়মিত আখ চুম্বন করার জন্য রোগীর জন্য জন্ডিস প্রয়োজন । আখ রসের সঙ্গে যব পানি ব্যবহার করলে জন্ডিস দ্রুত নিরাময় হয় ।

২. কাজুবাদাম: 5-6 কাজুবাদাম, 2-3 ছোট এলাচ এবং রাতে দুটি স্পর্শ ভিজিয়ে রাখুন । তারপর তাতে সকালে মিহি করে পিষে নিন এবং রোগীর সঙ্গে মিশশ্রী ও মাখন মেশান । এতে জন্ডিস অনেক আরাম দেবে ।

৩. গাজর: গাজর খেলে জন্ডিস প্রতিরোধ করে । কোনও রোগের ক্ষেত্রে রোগী গাজরের জুস বা মিশ্রণ তৈরি করে খুব তাড়াতাড়ি আরাম পাবেন ।

৪. আদা: আদার সঙ্গে আদার রস নিলে উপকার পাওয়া যায় ।

৫. তরমুজ: তরমুজ খাওয়া জন্ডিস রোগীদের জন্য উপকারী ।

৬. ইমলি: জন্ডিস হলে রোগীর তেঁতুল দিয়ে জল দেওয়া উচিত । এতে অনেক সুবিধা দেয় ।

৭. পেঁপে: পেঁপে লিভারের ক্ষমতা দেয়, তাই জন্ডিস গ্রাস করতে বিশেষ উপকারী ।

৮. তাল: তাল দিয়েও লিভারকে শক্তি দেয় । এটি জন্ডিসে খাওয়া উচিত ।

৯. কমলা: কমলার ব্যবহার জন্ডিসে খুবই উপকারী ।

১০. বিটরুট: বিটরুট খাওয়া এই রোগকে অনেকটা স্বস্তি দেয় ।

১১. মুনক্কা: যখন জন্ডিস হয় তখন মুনকেলকে বেশি করে ব্যবহার করুন । দিনে 10-15 বার, মুক্কা মুখে লাগিয়ে ধীরে সুস্থে চুষে রাখুন । এতে এই রোগ অনেকটা উপশম দেবে ।

১২. ডালিম: ডালিম দিয়ে চিনি যোগ করে তা দূর করুন ।

১৩. আমলকি: অ্যাভলস বেঁটে এবং মাস্কারা-এর মতো চোখে খাঁটি মধু ও গৈরিক হলুদের সঙ্গে মিশিয়ে ।

১৪. বেল: আঙুরলতার নমুনা থেকে 50 গ্রাম রস সরিয়ে নিয়ে সকাল-সন্ধ্যায় এক গ্রাম গোলমরিচের গুঁড়া ও পান করলে দারুন উপকার পাওয়া যায় ।