চোসিনের জন্য ঘরোয়া প্রতিকার

Special home remedies for cholera in bengali
Special home remedies for cholera in bengali

কারণ এবং চোসিনের লক্ষণ

কলেরা একটি গুরুতর সংক্রামক রোগ যা প্রায়ই মহামারী হিসাবে ছড়িয়ে পড়ে । সাধারণত গ্রীষ্মের মরসুম শেষে বা বর্ষার আগে এই মহামারী ছড়ায় । সময়মতো চিকিৎসা না করালে রোগটি খুব মারাত্মক প্রমাণিত হয় । এই রোগ ছড়ায় মাছি । রোগের প্রাথমিক ক্ষেত্রে, রোগীর তীব্র বমি এবং ডায়রিয়া হয় এবং ধীরে-একটা জ্বর হয়ে যায় যা দ্রুত বৃদ্ধি পায় । রোগীর পেট ও ইন্ট্রা-পেটে তীব্র মোচড় ও অস্বস্তি থাকে । তৃষ্ণা বেশি এবং ঘাম আরও বেশি ।
চোইন এর চিকিত্সা

১. লেবু: গরম পানিতে লবণ ও চুন দিয়ে রোগীকে খাওয়ান । জল দেওয়ার পর তা সম্ভব হয় রোগীর বমি হতে পারে, কিন্তু ঘাবড়ে যাবেন না । এই জল আবার আনুন রোগীর কাছে । তারপর যখন বমি হয়, তখন তার মানে এই লেবু জল পান করে বমি না হওয়া পর্যন্ত রোগীর বমি হয়, জল ঝরিয়ে রাখুন । এতে রোগীর পেট পরিষ্কার থাকবে এবং আরাম হবে । রোজই লেবু-কলেরা রোগের প্রাদুর্ভাব হয় । লেবু কেটে তা গরম করে চিনি দিয়ে চুষে নিন । এতে রোগীর উপকার হবে । চিনির সঙ্গে পেঁয়াজের রস ও লেবুর রস মিশিয়ে রোগীকে জাল দিয়ে খাওয়ান । রোগীর অর্ধেক অংশ মিশিয়ে লেবুর রস, একটি অংশ, গ্রিন পেপারমিন্ট ও পেঁয়াজের রস মিশিয়ে নিন । প্রতিদিন যখন চোক হয় তখন লেবু আচার দিয়ে রোগীকে খাওয়ান । এতে রোগের সংক্রমণ কমে যায় । এমনকি কলেরা ছড়িয়ে পড়লে প্রতিদিন লেবু আচার খাওয়া উচিত ।

২. নারকেল: রোগীর নারকেলের জল পান থেকে অনেক আরাম পাওয়া যায় । যখন চোত আছে তখন রোগী যখন বমি পাচ্ছে, তখন নারকেলের জল খাওয়ানো বন্ধ করে দেয় । যদি 2-3 ফোঁটা লেবুর রসও নারকেলের জলে ঢালা হয়, তাহলে চটজলদি উপকার পাওয়া যাবে । এই সমাধান পান করলে রোগীর শরীরে তরল উপাদানের অভাব দেখা দেয় । শরীরে যখন জলের অভাব থাকে, তখন নারকেলের জল অল্প করে রোগীকে খাওয়ানোর জন্য ব্যবহার করা উচিত । জায়ফল: ঠান্ডা জলে গুলে জায়ফল দিয়ে রোগীর তৃষ্ণা নিভিয়ে দেওয়া হয় ।

৩. আম: ২৫ গ্রাম আমন্ড তাজা পাতা মিহি করে ঘষে নিয়ে এক গ্লাস জলে শাঁস ফোড়ন দিন এবং রোগীকে দিনে দু ‘ বার ড্রেন করুন ।

৪. আদা: আদার রস দিয়ে রোগীকে অল্প কিছুদিনের মধ্যে রাখুন । এতে তাকে আরাম দেবে ।