ত্বক ও চুলের চিকিৎসা

নিম প্রাচীন কাল থেকেই ঔষধি গুণ সমৃদ্ধ বলে বিবেচিত হয়ে আসছে । এছাড়াও নিম সম্পর্কে একটি সম্পূর্ণ বলা আছে যে ‘ নিম খাওয়া এবং বড়দের শেখানো ‘ প্রাথমিকভাবে তিক্ত এবং মিষ্টি পরে অনুভূত হয় ।

হ্যাঁ, নিম সম্পর্কে বলা হয় কারণ নিম খুব তেতো স্বাদ পেলেও স্বাস্থ্য বা স্বাস্থ্য সব দিক থেকেই আমাদের জন্য খুব উপকারি । নিম পাতা হোক, বার্কস হোক বা বীজ, নিম গাছের সবকিছুই আমাদের জন্য খুবই উপকারী । নিম পরিবেশের জন্য খুব ভাল বলেও মনে করা হয় ।

নিম পাতা পরিবেশ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করতে বলা হয় । তাই তো আমাদের অবশ্যই নিম খাওয়া উচিত । নিমের তেতো স্বাদ আছে, তাই মানুষ সরাসরি নিম খেতে বা ব্যবহার করতে অসম্মত হয় ।

নিম সরাসরি ব্যবহার করতে না চাইলে নিম পাউডার ব্যবহার করুন । যদিও এটি স্বাদতেও তেতো, তবে নিম পাউডার ব্যবহার করা একটু সহজ ।

অনেক চিকিৎসা আছে যেখানে নিম পাউডারের ব্যবহার বেশি কার্যকরী । তাই আজ আমরা জানিয়ে দেব নিম পাউডারের কথা, এর উপকারিতা কী । তাই আসুন জেনে নেওয়া যাক নিম পাউডারের উপকারিতা ।

দাঁতের সমস্যায় কার্যকর

আমরা সবাই জানি দাঁতের জন্য নিম খুবই উপকারী । আপনি অবশ্যই কিছু সময়ে নিম ডাগুন দিয়ে ব্রাশ বি করেছেন । বয়স্ক মানুষেরা আরও বলেন, নিম আমাদের দাঁতের জন্য যথেষ্ট ভালো । পিরিয়রিয়া, টুথ ওয়ার্ম ইত্যাদির মতো সাধারণ দাঁতের সমস্যা দূর করতে ব্রাশ করার পর দাঁতের উপর নিম পাতার পেস্ট বা পাউডার লাগিয়ে রাখুন, তা ঘুমানোর আগে কখনও রোজ দাঁতে পোকা হবে না ।

পেটে পোকা দূর

অনেক বেশি চিনি খাওয়া অনেক সময় শিশুদের পেটে পোকা-মাকড়ের সমস্যা বাড়ে । সেই সঙ্গে বাচ্চার খাওয়ার ইচ্ছাও মার খায়, সেই সঙ্গে ওজন হ্রাসেও সৃষ্টি হয় । এই ধরনের সমস্যা সামলানোর ক্ষেত্রে নিম খুবই উপকারী । যদি পেটে কৃমি থাকে, খিদে কমে, ওজন কমে, পেটে ব্যথা হয়, তাহলে গুড় দিয়ে এক গ্রাম নিম পাতার গুঁড়ো নিন । পেটের কৃমি থেকেও রেহাই পাবেন ।

ডায়াবেটিসে উপকারি

চিনির অসুস্থতা আজকাল সাধারণ বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয়েছে । প্রত্যেক তৃতীয় ব্যক্তি সুগার নিয়ে অসুস্থ । আজকাল কী করে শিশু ও বৃদ্ধ মানুষেরা এই রোগে আক্রান্ত হয় ।

ডায়াবেটিসে নিম খুব উপকারী হলেও লোকে জানে নিম উপকারী, কিন্তু এ ভাবে ব্যবহার করলে ভাল থাকার জায়গা । ডায়াবেটিক রোগীদের সকালে খালি পেটে তিন মাসের জন্য এক টেবিল চামচ নিম জুস গ্রহণ করা উচিত ।

দশ নিমের দশটি নিম পাতা চিবিয়ে বা পাউডার খেলে সেটাও সাহায্য করে । এই প্রতিকার স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী । এই প্রতিকার তাদের শরীরে ইনসুলিন উৎপাদনকারী কার্যকলাপকে টুকরো করে দেয় ।

ত্বকের সমস্যায় উপকারী

ত্বকের জন্যও নিম বেশ উপকারী । মুখ থেকে দাগ সরান, বা মুখ উজ্জ্বল করুন । নিম সব জিনিসেরই খুব উপকারি । মুখে নিম মাস্ক লাগালে আকর্ষণীয় ত্বক দিতে পারে । মুখে নিম পাউডার ও গোলাপ জল লাগালে মুখের দাগ দূর হয় ।

এই মাস্ক অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ রয়েছে । এক মুঠো নিম পাতা নিয়ে পাউডার তৈরি করে নিন । এই পাউরুটিতে গোলাপ জল মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন । এবার এটি মুখে ও গলায় লাগিয়ে রাখুন ।

মাথাব্যথা থেকে ত্রাণ পান

মাথাব্যথা একটি রোগ । যে কোনও কারণে যে কোনও সময় মাথাব্যথা হতে পারে । অন্যদিকে, বহু মানুষের মাইগ্রেনের সমস্যা, প্রচণ্ড মাথাব্যথার কারণ । নিম বীজের গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন । মাথাব্যথা গায়েব নিম বীজের গুঁড়ো যদি কপালে হাল্কা ঘষা হয় ।

খুশকির সমস্যা নির্ণয়

দূষিত পরিবেশের কারণে খুশকির সমস্যা আজকাল আরও বেশি সাধারণ হয়ে উঠেছে । সেই সঙ্গে চুলের ক্ষতিও ঘটায় । নিম ব্যবহার করা খুবই উপকারী । নিম গুঁড়োর সঙ্গে অল্প জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন ।

এবার এটি আপনার মাথায় ও চুলে লাগিয়ে রাখুন । ৩০ মিনিট রেখে দিন এবং শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন । খুশকির প্রকোপ পুরোপুরি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত প্রতি দু ‘ দিন অন্তর একবার করে এই চিকিৎসা করুন । এই চিকিৎসাতেও চুলের ক্ষতি রোধ হয় ।

মাথার উকুন মেরে

শিকড় বসাতে গেলে মাথায় র দণ্ড বর্জন করা খুব কঠিন । এই উদ্দেশ্যে নিম পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে । নিম পাউডারের পেস্ট তৈরি করে চুলে লাগিয়ে নিন । এবার এটি শুকিয়ে নিয়ে উষ্ণ পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন । টানা দুই মাস ধরে সপ্তাহে 2-3 বার এই চিকিৎসা করুন । এই কাজ করলেই উকুন শিকড় ধ্বংস হয়ে যাবে ।

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে ত্রাণ

কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রেও নিম উপকারী । কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রে দুই থেকে তিন গ্রাম নিম গুঁড়ো এবং ২-৪টি কালো গোলমরিচ দিয়ে দিনে তিন বার করে নেওয়া উচিত । এসব ব্যবস্থা করে আপনি নিশ্চিতভাবেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন ।

কীভাবে বানাবেন নিম পাউডার

নিম পাউডারটিও খুব সহজে বাজারে পাওয়া যায়, তবে তা বাড়িতে তৈরি করলে ভাল হবে । এটা বানাতে কোনও অসুবিধে নেই । বাড়িতে বানানো খুব সহজ ।

এ জন্য রোদে নিম পাতা দু ‘ তিন দিন শুকিয়ে নিন । তারপর সেটি মিক্সারে মিশিয়ে পাউডার বানিয়ে নিন । সেই সঙ্গে ভাল করে নিম পাউডার বানাতে হবে । কড়া বাক্সে রাখলে আর জল যেতে দেবেন না, তা বছরের পর বছর স্থায়ী হবে ।

নিম স্বাদের তেতো, কিন্তু এখন জেনে নিন খুব ভাল । তখনই এক নিম আর একশো হামস সমান । এতে মারগোসিন, নিমডিডিন, নিমবেস্টিল-সহ বিভিন্ন ধরনের নেক কেমিক্যাল থাকে । নিম অনেক গুণের সম্পদ ।