কলকাতা: বহুচর্চিত রবিনসন স্ট্রিট কেলেঙ্কারির ছায়া দেখা গেল মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দাবাঁধ থানন থানার অন্তর্গত দুর্গানগর বড়িরা মঠ এলাকায় । গত পাঁচদিন ধরে এক বোন তাঁর মৃত ভাইয়ের দেহ আগলে রেখেছিলেন বাড়িতে । বাড়ি থেকে গন্ধ আসার পর পুলিশে খবর দেন লোকজন ।
ঘটনাস্থলেই পুলিশ দেহটি আটক করে পোস্ট মর্টেমের জন্য পাঠায় । পুলিশের মতে, মৃতের নাম বৈদ্যনাথ চট্টোপাধ্যায় (60) । বেশ কিছুদিন ধরেই মানসিক ভাবে অসুস্থ ছিলেন তিনি । সঙ্গে রয়েছেন বাড়িতে তাঁর বোন পূর্ণিমা চট্টোপাধ্যায় । গত দুদিন ধরে তাঁদের বাড়ি থেকে গন্ধ পেয়ে সন্দেহ হয় মানুষের । বৈদ্যনাথ খোঁজ মেলেনি ।
দমদম থানার পুলিশ যখন বাড়িতে উঁকি দেওয়ার চেষ্টা করে, তখন ফার্স্ট লেডি তাঁকে বাধা দেন । কিন্তু পরে পুলিশ একরকম ভিতরে প্রবেশ করে । অন্য তলায় ঘরে বিছানার উপর পড়ে ছিল বৈদ্যনাথ-র দেহ । পুলিশ জানায়, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বৈদ্যনাথ । তাঁর বোন নিজেও মানসিকভাবে অসুস্থ । অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয়েছে বৈদ্যনাথ । মানসিক ভাবে অসুস্থ হওয়ায় ভাইয়ের দেহ বাড়িতে রেখেছিলেন বোন । ফাঙ্ক এলে মানুষ খুঁজে বের করে ।
2015 সালে রবিনসন স্ট্রিটের পারথ ডে নামে এক মানসিক রোগাক্রান্ত ব্যক্তি তাঁর বোন দেবযানী ও দু ‘ টি কুকুরের কঙ্কাল ছ ‘ মাসের জন্য নিজের বাড়িতে রেখেছিলেন । পারথ ডে-তে পরে চিকিৎসা করে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন । তবে পারথ দে ইয়ে পরে মারা যান ।