নয়াদিল্লি: ভারতের শৌখিন মহাকাশ বিজ্ঞানী শাসনামুগা সুব্রমনিয়ন চেন্নাইয়ে তাঁর ‘ ল্যাবরেটরি ‘-তে বসে চন্দ্রযান-২ ল্যান্ডার বিক্রম-এর দেহাবশেষ খোঁজার জন্য নাসা ও ইসরো দু ‘ জনকেই পিছনে ফেলে দিলেন । মার্কিন মহাকাশ সংস্থার মহাকাশযান চাঁদ পরিক্রমা করে পাঠানো ছবির সাহায্যে তিনি এই আবিষ্কার করেছেন ।
বিক্রম ল্যান্ডারের মুন সারফেস-এর অবস্থানের ছবি প্রকাশ করে নাসা স্বীকার করেছে, সেই জায়গা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সুব্রতবাবুর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল । সুব্রতবাবু মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ও অ্যাপ ডেভেলপার । টুইটে তিনি লিখেছেন, চাঁদের পৃষ্ঠে চন্দ্রযান-২-এর বিক্রম ল্যান্ডারের খোঁজে নাসা আমাকে কৃতিত্ব দিয়েছে । খুব কম মানে দিয়ে তিনি এই দলিল দেখিয়েছিলেন । একটি মন্দির শহর মাদুরাই-এর ওই বাসিন্দা জানিয়েছেন, বিক্রম পড়ে যাওয়ার জায়গা খুঁজে বের করার জন্য তিনি দুটি ল্যাপটপ ব্যবহার করেন । এর সাহায্যে তারা আগে ও পরবর্তী উপগ্রহ চিত্রের হদিশ মেলে । তিনি প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত একটি টপ আইটি ফার্মে কাজ করার পর তার ফিরে আসা এবং তারপর সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অফিস যাওয়ার আগে সে তথ্য বিশ্লেষণ করতেন । প্রায় দু ‘ মাস ধরে এমন তথ্য বিশ্লেষণ করেন তিনি ।
তিনি বলেন, নাসা-তে ই-মেল পাঠানোর আগে তিনি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে, তিনি পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ করেছেন । যখন জানতে চাওয়া হয়, কারা তাদের উদ্বুদ্ধ করে তা বিশ্লেষণ করতে । তিনি বলেন, স্কুল শেষ হওয়ার পর থেকে খুব সাবধানে ইসরোর উপগ্রহ উৎক্ষেপণ দেখছি । এই সব লঞ্চ দেখে আমাকে আরও বেশি করে খুঁজতে আগ্রহী করে তুলেছে সুব্রতবাবু । আমার অফিসের সময় (লেনোক্স ইন্ডিয়া টেকনোলজি সেন্টার) ছাড়াও নাসা ও ক্যালিফোর্নিয়া-বেসড স্পিসএক্স কী করছে, তার উপর নজরদারি করতাম, ব্যাখ্যা করেন তিনি । এই সুদ তাঁকে চাঁদে সম্পর্কিত স্যাটেলাইট ডেটার কাজ করতে নেতৃত্ব দেয় । তিনি বলেন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং রকেট সায়েন্সের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এবং এটি রকেট বিজ্ঞানকে বুঝতে সাহায্য করে ।
তার আত্মীয় ও বন্ধুরা হিশান ডাকে । তিনি জানান, যখনই তিনি দুর্ঘটনাস্থল চিহ্নিত করে মেল পাঠান, তখনই তিনি নাসা-কে জবাব দিতে পুরোপুরি আশা করেছিলেন । আমি ভাবলাম তিনি নিজে নিশ্চিত হওয়ার পর সাড়া দেবেন এবং মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টায় আমি তার কাছ থেকে একটি ই-মেইল পেয়েছি । বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর পরিবারের কেউ মহাকাশ বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত নন । তিনি বলেন, “আমাকে প্রশংসা বার্তা পাঠিয়েছিলেন প্রাক্তন ইসরো শীর্ষ বিজ্ঞানী এম অন্নদাদুরাই । তাঁর দফতর তাঁর কৃতিত্বের প্রশংসাও করেছে । মহাকাশ প্রযুক্তিতে যেতে চান কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজের পর নিজের শখ-আহ্লাদ চালিয়ে যেতে চাই ।