ঐশ্বর্যা রাই, সাস রাব্দি দেবীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় ?

Saas-bahu saga at Lalu yadav’s residence; Rabri Devi throws daughter in law Aishwarya Rai out

পটনা। আরজেডি সভাপতি লালু প্রসাদ যাদবের বড় পুত্রিভহু ঐশ্বর্যা রাই অভিযুক্ত সাস ও বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ী দেবীকে আজ মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

আরজেডি প্রেসিডেন্টের বড় ছেলে তথা বিধায়ক তেজপ্রতাপ যাদবের স্ত্রী ঐশ্বর্যা রাইয়ের সঙ্গে স্থানীয় আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। এরপর থেকে বিধায়ক তেথুপ্রতাপ তাঁর মা ১০ সার্কুলার রোডে সরকারি বাসভবনে বসবাস না করলেও ঐশ্বরিয়া এই বাসভবনে বসবাস করছেন।

রাবরি দেবীর সরকারি বাংলো থেকে এ দিন সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমের ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ঐশ্বর্যা মিডিয়া কর্তাদের বলেন, তাঁর বাবা তথা বিধায়ক চন্দ্রিকা রাইয়ের উপর পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএন কলেজ, একটি ভুল পোস্টার লাগানো হয়েছে। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে শাশুড়ি রাবড়ী দেবীর কাছ থেকে জানতে চান, কেন বাবা চন্দ্রিকা রাই-কে তাঁর ব্যক্তিগত বিবাদের মধ্যে টেনে আনা হয়েছিল।

ঐশ্বর্যা বলেন, এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শাশুড়ি রাবড়ী দেবী তাঁর কাছে গিয়ে মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেন। এর পরে নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁদের বাড়ি থেকে ঠেলে ফেলে দেন। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ ছিল একই মোবাইলে। দীর্ঘ দিন ধরে তাদের বাড়িতে নিপীড়ন করা হচ্ছে এবং এমনকি খাবার ও পানীয় দেওয়া হয় না।

ঐশ্বর্যা যখনই বাড়ি থেকে বের হওয়ার খবর পেয়েছিলেন, তখনই তাঁর বাবা চন্দ্রিকা রাই স্ত্রী পুনম রাই-সহ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ী দেবীর সরকারি বাসভবনে পৌঁছন। রাবড়ী দেবীর বিরুদ্ধে মেয়েকে হয়রানি করার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ললিু পরিবার যে ভাবে তাঁর মেয়েকে নির্যাতন করেছে, তার উপযুক্ত জবাব তিনি এখন দেবেন।

ঐশ্বরিয়ার মা অভিযোগ করেন, তার জামাই তেজপ্রতাপ তার শ্রমিকদের মাধ্যমে স্বামী চন্দ্রিকা রাই ও মেয়ে ঐশ্বরিয়ার ওপর আপত্তিকর মন্তব্য করে কলেজে বদইতাভা করেন।

বিষয়টি জানাজানি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মহিলা থানা ও সচিবালয় থানার পুলিশ স্টেশনে গিয়ে তথ্য জোগাড় করে। আজ ঘটনার কথা পুলিশকে জানান ঐশ্বরিয়ার বাবা রাই। মারধর ও বাড়ি থেকে বহিষ্কারের কথাও পুলিশকে জানিয়েছেন ঐশ্বর্যা।

এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, ঐশ্বর্যা রাই-এর মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হবে। আশা করা হচ্ছে, মেডিক্যাল পরীক্ষার পর পুলিশ ললিু পরিবারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।

উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়, এর আগেও ঐশ্বর্যা রাই লালু পরিবারের বিরুদ্ধে তাঁকে হয়রান করার অভিযোগ করেছেন। এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর ঐশ্বর্যা বাড়ি থেকে বেরোন বলে অভিযোগ করেন রাবড়ী দেবী। এমনকী সেই সময় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ঐশ্বরিয়ার বাবা চন্দ্রিকা রাই-এর বাসভবনের বাইরে শোরগোলও আসতে থাকে। পুলিশি হস্তক্ষেপের পর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ঐশ্বর্যা তাঁকে বাড়িতেই রাখতে প্রস্তুত ছিলেন।