নয়াদিল্লি। মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স জিও বৃহস্পতিবার করদাতাদের খরচে ভারতী এয়ারটেল ও ভোডা-আইডিয়ার কোনও বেলআউট প্যাকেজের তীব্র বিরোধিতা করে বলেছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের আড়ালে, দু ‘ টো সংস্থাই ব্ল্যাকমেলিং করছে এবং সরকারের উচিত এই বিষয়ে একেবারেই মাথা নত না করা।
সংস্থার তরফে আজ প্রসাদের কাছে চিঠি লিখে দাবি করা হয়, সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী দুই সংস্থার কাছ থেকে বকেয়া টাকা উদ্ধার করে সরকার। Jio, ইন্ডিয়ান সেলুলার অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের (কোটি) টেলিকম মন্ত্রীকে চিঠি উদ্ধৃত করে কড়াই-কে একটি পুতুল হিসেবে বর্ণনা করেছে এয়ারটেল এবং ভোডা-আইডিয়া।
Jio-র বিরুদ্ধে অভিযোগ, এই দুই সংস্থার সুবিধা পাইয়ে দিতে টেলিমেলন শিল্পের একটি মিথ্যা ছবি পেশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার টেলিকম মন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে এই কড়াই এয়ারটেল ও ভোডা-আইডিয়া ত্রাণ দেওয়ার কথা জানিয়েছে।
টেলিকম মন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে Jio জানিয়েছে, কোয়ের যুক্তি মানতে রাজি নয় সরকার যদি এই দুই কোম্পানিকে সাহায্য না করে, তাহলে দেশের টেলিকম খাত ভেঙে পড়বে। Jio-র অভিযোগ, কোনেস তার নির্দেশ প্রমাণ করার জন্য হুমকি শব্দ ব্যবহার করছে এবং সরকারের এমন হুমকিতে পড়ব না।
আম্বানির সংস্থা বলছে, এয়ারটেল এবং ভোডা আইডিয়া অর্থ সক্ষম সংস্থা। উভয় কোম্পানি দেশ ও অন্যান্য অনেক দেশে অনেক লাভজনক ব্যবসা করে। দেশের ক্ষেত্রেও এই সংস্থাগুলি অনেক টাকা দিয়েছে। এখন সুপ্রিম কোর্ট যখন বকেয়া টাকা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে, তখন তাদের উচিত সেই কথা মেনে বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া। Jio জানান, বকেয়া অর্থ পরিশোধের জন্য তাদের লাভজনক ব্যবসার অংশ বিক্রি করে দুই কোম্পানি সহজেই সরকারি পাওনা পরিশোধ করতে পারে।
টেলিকম মন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে Jio-র অভিযোগ, এই দুই সংস্থাই শুধু সরকারের প্রাপ্য অর্থ পরিশোধের অজুহাত খুঁজে পাচ্ছে না বরং তাদের বিনিয়োগকারীদের আস্থা ভেঙে দিয়েছে। Jio-র প্রশ্ন, সরকার, নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং সুপ্রিম কোর্টের স্থায়ী ভাবে সমন্বয় করা ঘাসের রাজস্ব (এসিআর) বকেয়া থাকা সংস্থাগুলির কাছে এলে সংস্থাগুলি তা শোধ করার আগাম সংস্থান করে না কেন? পক্ষান্তরে, উভয় সংস্থাই তাদের অবস্থান নিয়ে অনড় থাকে এবং নিজেদের মত করে সরকারকে টাকা দিতে থাকে। খারাপ আর্থিক অবস্থায় থাকার দাবি করা এই সংস্থাগুলি আসলে নিজেদের খারাপ অপারেটিং সিদ্ধান্তের শিকার হয়ে পড়েছে।
জিও সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে কড়াই ও এয়ারটেল এবং ভোডা-আইডিয়ার দুর্বল আর্থিক স্বাস্থ্যকে৷ অভিযোগ, এই কোম্পানিগুলি দেশে প্রচুর টাকা তুলেছে কিন্তু নতুন বিনিয়োগ থেকে কান্নাটা কেটে রেখেছে। সেই জন্যই আজ এই সংস্থাগুলিকে পিছিয়ে পড়তে দেখা যায়। এসব কোম্পানির খারাপ বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত সরকারকে ঠেকাবে ন ।