অগ্নি ব্যথার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার-অনেক সময় আমরা আগুন ও ফোস্কা দিয়ে জ্বলে থাকি । পোড়ানোর পর অনেক জ্বালা-যন্ত্রণা হয় এবং তা খুবই বেদনাদায়ক । ঘরোয়া আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার জন্য এই ধরনের ঈর্ষা পাওয়া যায়, যা আমরা এখানে আপনাকে জানাব ।
কারণ এবং উপসর্গ
আগুনে পুড়ে যায় চামড়ায় দাহ । যদি ত্বক খুব বেশি পুড়ে না যায়, ফোসকা খারাপ হয়ে যায়, যখন আরো পোড়া একটি ক্ষত সৃষ্টি করে, যা তীব্র জ্বালা সৃষ্টি করে । ত্বকে ফোসকা পড়লে সেগুলি পুঁজ হয়ে দুর্গন্ধযুক্ত নিঃসরণ হয়ে যায় ।
ঘরোয়া কার্যকরী চিকিৎসা
আগুনের কারণে সৃষ্ট ব্যথা বেশ কিছু ঘরোয়া প্রতিকার এবং রোগীর তেমন কোনো ক্ষতি করে না । কিন্তু পরিস্থিতি গুরুতর হলে বাড়ির প্রতিকার করার বদলে হাসপাতালে যাওয়া ভাল ।
১. আম পাতা: একটি শরীরের অংশ আগুনে পুড়ে গেলে আম পাতা পুড়ে গিয়ে পুড়ে যায় । পোড়া অঙ্গ ও তার ব্যথা অচিরেই সারিয়ে তুলবে ।
২. গাজর ব্যবহার: কাঁচা গাজর বেঁটে এবং আগুন জ্বলন্ত অঙ্গ বা জায়গায় মলম মত তাদের লেপ, দাহ ঘটিয়েছে । এছাড়াও শ্মশানের ফলে চামড়ায় তরল গঠনও বন্ধ হয়ে যায় ।
৩. কলার পাল্প: আগুন দিয়ে পুড়ে গেলে পোড়া কলার ওয়েল ভালো করে চাবুক করে মলটির মতো বানিয়ে ফেলুন । সঙ্গে সঙ্গে একে একে নেমে এসে শ্মশানে ক্যালমিস ।
৪. নারিকেল তেল: আগুনের জ্বলন্ত স্থানে সঙ্গে সঙ্গে লেবু পানি ও নারিকেল তেলের সাথে সমপরিমাণ মিশ্রণ, জ্বালা তৎক্ষণাৎ কমে গিয়ে ফোসকা পড়ে না । দিনে দুবার এই চিকিৎসা করুন ।
৫. বেল পাউডার: আগুনে পুড়ে গেলে আঙ্গুর গুঁড়া নষ্ট হয়ে যায় এবং তা গরম তেলে মিশিয়ে ঠাণ্ডা করে সঙ্গে সঙ্গে বিশ্রাম পেতে ক্ষতস্থানে ঠান্ডা করে নিন । এটি খুবই কার্যকরী একটি রেসিপি । এক সময় সঙ্গে আপনি লোহা হিসাবে অনুমান করবেন ।