প্রাকৃতিক ঔষধ দ্বারা কোষ্ঠকাঠিন্য চিকিত্সা

natural remedy for constipation in bengali
natural remedy for constipation in bengali

কোষ্ঠকাঠিন্য এমন একটি অবস্থা যখন অসুবিধা বা থেমে গেলে বিষ্ঠা হয় । কোষ্ঠকাঠিন্য নিজের মধ্যে কোনও রোগ না হলেও মারাত্মক রোগের লক্ষণ হতে পারে । এখানে এটি অতিক্রম করার জন্য কিছু সহজ ঘরোয়া প্রতিকার আছে ।
কারণে

হঠাৎ করে ডায়েটে পরিবর্তন, কম পানীয় জল, খারাপ খাদ্যাভ্যাস, রোজকার ব্যায়ামের অভাব বা ফিব্রেকম সমৃদ্ধ খাবার কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রধান কারণ ।
লক্ষণগুলো

প্রতিটি ব্যক্তির কোষ্ঠবদ্ধতা উপসর্গের মধ্যে কিছু ভিন্নতা থাকতে পারে । কিন্তু সব লক্ষণের মধ্যে এটা প্রধান যে, পেট ঠিকমতো পরিষ্কার হয় না । কোষ্ঠকাঠিন্যে ভরা মধ্যে মল কঠিন বা অদ্ভুত হয়ে যায় এবং মল করতে অসুবিধা হয় । উপরন্তু পেটে ব্যথা হয় ।
চিকিত্সা

কোষ্ঠকাঠিন্য সঠিক ডায়েট, এক্সারসাইজ এবং আরও কিছু ব্যবস্থা নিয়ে চিকিৎসা করা যায় ।

১. ধানের সঙ্গে ময়দা পাউরুটি ব্যবহার করুন ।

২. প্রতিদিন প্রায় সাত-আট গ্লাস পানি পান করুন ।

৩. গমের সঙ্গে অল্প পরিমাণে চানা ও বার্লি পান করুন । এই কুমারী ময়দার খুব মিহি গুঁড়ো নয় । পাউরুটি বানানোর প্রায় আধ ঘণ্টা আগে ময়দার মণ্ড মাখা হয়ে গেলে ভিজে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঢেকে দিন ।

৪. ফাইবারযুক্ত সবজি যেমন-পালং শাক, মেথি, বাথপাতা, চৌলাই, গাজর ইত্যাদি ব্যবহার করুন ।
সম্ভব হলে স্টিম সবজি রান্না করুন । যদি সোজা ফ্লাশের উপর রান্না করা হয়, তাহলে সবজি কম পানি মেশান এবং নরম হওয়া মাত্রই তা গরম থেকে সরিয়ে ফেলুন । সম্ভব হলে প্রেশার কুকারে সবজি তৈরি করে নিন ।

৫. দুধ, দই ও বাটারমিল্ক বেশি করে ব্যবহার করুন ।

৬. প্রচুর খাবার খান, এটি খুবই অপরিহার্য । এর ফলে খাবারের সঙ্গে পাচক রস ভাল পাওয়া যায় ।

৭. রাতে ঘুমানোর আগে একটি জিনিসপ্তে চার-পাঁচটি মুনসিসিন, দুটি ডুমুর এবং একটি বা দুটি শুকনো তাল সাদেসিকভাবে ধুয়ে নিন । সকালে ঘুম থেকে উঠে ধুয়ে-মুছে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করে জলে ম্যাশ করে পান করুন । এটি শরীরে ক্ষমতা ইনইউজ করবে ।

৮. বীজ ধুয়ে পাঁচ-ছয় মুক্কা দানা গরম পানি দিয়ে ভালো করে দুধ খান বা চিবিয়ে খাওয়ার পর গরম দুধ পান করুন ।

৯. ঘুমানোর আগে মারমালাড চিবিয়ে তারপর গরম দুধ পান করুন । সকালে শৌচ সহজ হবে ।

১০. সকালে বিছানায় ঘুম থেকে ওঠা মাত্রই এক গ্লাস হালকা উষ্ণ পানিতে লেবুর রস ও এক চা চামচ মধু ব্যবহার করুন । এর ফলে পেট দ্রুত পরিষ্কার হয় ।

১১. ১ চা চামচ ত্রিফলা গুঁড়া 200 গ্রাম গরম দুধ বা প্রাক-বিছানা উষ্ণ পানি দিয়ে । এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় । কিন্তু এটি ব্যবহার করা উচিত নয় অন্যথায় অন্ত্র দুর্বল হতে পারে ।

১২. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সারারাত পানিতে 50 গ্রাম আমলকির রান্না করা কোয়া ভিজিয়ে রাখুন । ম্যাশ করে সকালে শাঁস পান করুন । এ ক্ষেত্রেও পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে ।

  1. ধীর, মাখন, দুধ এবং ফল নিয়মিত খাওয়া পেট শুষ্কতা দূর করে । নিয়মিত সয়া সবজি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় ।

১৪. আঙুর ও পেঁপে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভরা বটে ।

১৫. শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রে দুধের সঙ্গে এক চা চামচ ক্যাস্টর অয়েল খেয়ে নিন । কোষ্ঠকাঠিন্য ঘটলে ছোট বাচ্চার জন্ম আনুন । খাবারে এক-দুই চা চামচ সয়া জুস শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্যের অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয় ।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ইসবগল ব্যবহার খুবই পরিচিত । সুবিধা হল, তোষণ শিথিল হওয়ায় তাতে কোনও চাপ পড়ে না । ইসবাগল অনেক শ্রদ্ধা করে খাওয়া যেতে পারে । যেমন, রাতে ঘুমানোর আগে এক বা দেড় চা চামচ হুকের সঙ্গে উপর থেকে গরম দুধ পান করুন । এক বা দেড় চা চামচ গরম দুধে ইবাঙ্গল-এর তুষ ভিজিয়ে রাখুন । রাতে শোবার আগে চিবিয়ে দু-চার হাজার গরম দুধ পান করুন ।

একইভাবে ইবাগল উষ্ণ জলে ভিজিয়ে রেখে খাওয়া যেতে পারে । ডায়রিয়া বা আমাশয় ক্ষেত্রে ইবগল দই বা বাটারমিল্ক ভিজিয়ে রাখতে পারেন । ইবগল বৃদ্ধ মানুষের জন্যও বেশ উপকারী । দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকলে বা বার্ধক্য জনিত কারণে পাচনতন্ত্র খারাপ হয়ে গেলে ঘনঘন কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা অকার্যকর ওষুধ ।