ঘরোয়া প্রতিকার যখন আমাশয় হয়

natural remedies for dysentery in bengali
natural remedies for dysentery in bengali

ডায়রিয়া আমাশয় একটি টেকসই রূপ । একে অমমটিসার বা রক্তাল্পতা বলা হয় । এ ছাড়াও ডায়রিয়া সহ রক্ত থাকে । যদি চিকিৎসা না হয়, তা হলে সেটাও মারাত্মক হতে পারে ।
কারণ

এই রোগের কারণেও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয় । এটি ময়লা এবং সংক্রামিত খাদ্য এবং জল দ্বারা সংক্রামিত হয় ।
লক্ষণগুলো

আমাশয় ডায়রিয়া ও রক্ত দিয়ে আসে । পেটে প্রচণ্ড ব্যথা ও ক্র্যাম্প হয় । বমি ও বাতাসের প্রকোপও দেখা দেয় ।
চিকিত্সা

বেশি বেশি এসেনশিয়াল ফ্লুইড খেলে । স্বাস্থ্যের উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত সলিড খাবার বন্ধ করা উচিত । আমাশয় সাধারণত কোনো নির্দিষ্ট চিকিত্সা ছাড়াই দ্রুত নিরাময় করে কিন্তু রোগের বীর্যগ্রহণের সময় পুনরুদ্ধার করতে সময় লাগতে পারে এবং নিবিড় যত্নের প্রয়োজন হতে পারে । আমাশয় রাজ্যে ডায়রিয়া বন্ধ করার ওষুধ কখনই খাওয়া উচিত নয় । এর ফলে ডায়রিয়া দূর হয়ে পেটের মধ্যে তৈরি হয় ।

১. মৌরি আমাশয় খুব উপকারী । মৌরি ও মিশ্রী সম পরিমাণে নিন । টেভার উপর মোট পরিমাণের অর্ধেক মৌরি ভাজা করে বাকিটা একত্রিত করে মিহি গুঁড়ো করুন । দু ‘ টি কাঁচা মিশিয়ে এক বা 2 000 জল পান করুন । দিনে তিন-চার বার খেলে আমাশয় আরাম দেয় ।

২. দই-এ মিহি করে মেশানো মেথি বীজ ইন্দ্রমানসিক ডায়রিয়া বন্ধ করে দিতে পারে । অতিরিক্ত মূত্রত্যাগের অভিযোগও দূর হয় ।

৩. এক বাটি দইয়ের মধ্যে তিন গ্রাম গুঁড়া মিশিয়ে নিন । গুঁড়ো তৈরি করতে 2:1 অনুপাতে ছোট হারারের এবং পাইপমেন্ট একত্রিত করুন । উষ্ণ পানি দিয়ে খাবার পর এক বা দেড় গ্রামের জন্য গুঁড়া খাওয়া আমাশয় শিথিল করে ।

৪. বেলগিরি ও শুকনো ধনে সমপরিমাণ পরিমাণ নিন । দু ‘ টির সম্মিলিত পরিমাণেও মিশ্র সমান যোগ করুন । দিনে দুবার চার-পাঁচ গ্রাম পাউডার ব্যবহার করুন বিশুদ্ধ পানি দিয়ে । রক্ত বন্ধ হবে আমাশয় ।

৫. আপেলের শাঁস খুব ভাল করে তৈরি করে নিশ্চিত করুন । বীজ ও কঠিন অংশ সরিয়ে ফেলুন । দিনে চার-ছয় বার অল্প পরিমাণ সময় খেলে তীব্র আমাশয়, বিশেষ করে শিশুদের দ্রুত আরাম দেয় । বাষ্প ইনসেরিয়াস আপেল এবং শাঁস খাওয়া এবং ডায়রিয়া বন্ধ ।

৬. কাঁচা বেলগিরি পাল্প শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন । গুড় বা চিনি মিশিয়ে পুরনো আমাশয় উপকার করে ।

৭. কলার খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে ভাল করে নেড়ে নিন । নুন মেশান ।

৮. আমাশয় গ্রামের ব্যবহারও পুণ্যবান ।

৯. শুকনো আমলকি গুঁড়া পানি ও ড্রেন মিশিয়ে পান করুন । লেবুর রস ও মিষ্টিশ্রী মেশান । আমলকি পাতা গুঁড়ো করে চাটনি তৈরি করে নিন । মধুর সঙ্গে এটি খেলে ডায়রিয়া হয় । এই চাটনি দিয়েও ঘোল মেশানো যায় ।

১০. রোগীর পাতলা পোলান্টা দই দিয়ে খাওয়া উচিত । লবণ, পুদিনা ও ভাজা জিরা বীজ মিশ্রিত লবণাক্ত লস্যি আমাশয় থেকেও পূণ্যার্থী । ৫-১০ গ্রাম পরিমাণ মতো বাটারমিল্ক দিয়ে বেরি-র গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে বেরি নিয়ে জল্পনা সেরে যায় । বেরি পাতার ডিসিশন আমাশয় ও ডায়রিয়া থেকেও শিথিল হয় । দিনে দুই-তিন বার ৩০ থেকে 60 গ্রাম নিমপাতা পান করুন ।

১১. শুধু লবণ বা মধু ও লবণ দিয়ে কাঁচা সাম্বি খেলে গ্রীষ্মের সময় যে আমাশয় ও ডায়রিয়া দেখা দেয় ।

১২. অল্প সময়ের পর রক্তাক্ত আমাশয় তাজা ডালিমের রস খেলে আমাশয় শিথিল হয় ।

১৩. কিউকাদার রন্ড-এ এক চা চামচ লেবুর রস ব্যবহার করলে রোগ উপশম হয় ।

১৪. সাজন পড-এর রসে অল্প মধু মিশিয়ে জলে এক গ্লাস নারকেল দিয়ে আমাশয় ও ডায়রিয়া বেড়ে যায় । চোইন থাকলে ব্যবহার করা খুবই উপকারী ।