জ্যোতিষ ভগবান শিব শিলিং বিস্তারিত

জ্যোর্তিলিঙ্গদের গুরুত্ব । বন্ধু ভগবান শিবের বারোটি জ্যোতিষী বিশেষ গুরুত্ব পায় । দক্ষিণের কৈলাস নামে পরিচিত অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা নদীর তীরে অবস্থিত শ্রীমালিকাজুন জ্যোর্তিলিঙ্গ । এর মহিমা ও গুরুত্ব আমাদের শাস্ত্রে বিশদভাবে বর্ণিত আছে ।

এই জ্যোর্তিলিঙ্গটির কিংবদন্তি নিম্নরূপ:

পুরাণ মতে, এক সময়ে ভগবান শঙ্করজির দুই পুত্র শ্রী গণেশ ও শ্রীকরন্তিকায়া বিয়ের জন্য ঝগড়া শুরু করেন । দু ‘ জনেই জানিয়েছেন, আমি প্রথমে বিয়ে করব । তাঁদের লড়াই ও লড়াই দেখে ভগবান শঙ্কর ও মা পার্বতী বলেন, ‘ ‘ যারা প্রথম গোটা পৃথিবীতেই ঘুরে ঘুরতে যায় এবং এখানে ফিরে আসে, তাদের সবার আগে বিয়ে হবে । ‘ ‘ “বাবা-মায়ের কাছ থেকে এই কথা শোনার পর, মিঃ কারটিতিকায়া একটি ময়ূরের উপর তার গাড়ি চড়ে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে করতে তৎক্ষণাৎ সেটিকে স্থাপন করেন । গণেশের জন্য খুব কষ্ট হত । একটি ছিল তার শরীর, অন্যটি ছিল মাউস । কী ভাবে তাঁরা স্বামী করটিতিকাইকে প্রতিযোগিতায় সামিল করতে পারলেন? কিন্তু তাদের শরীর যতটা পুরু ছিল, বুদ্ধিও তার অনুপাতে সূক্ষ্ম ও তীক্ষ্ণ ছিল । তিনি তৎক্ষণাৎ পৃথিবীকে পরিক্রমা করার একটি সহজ উপায় আবিষ্কার করেন এবং সামনে বসে বাবা-মাকে পূজা করার পর তিনি পৃথিবী-প্রস্টিটিউল কাজ সম্পন্ন করেন ।

সময় করটিটিকায় ফিরে এসে গণেশ সিদ্ধি ও প্রজ্ঞা নামে দুই মেয়েকে বিয়ে করে দু ‘ টি ছেলে পেয়েছিল, যথা, খেম ও ‘ বেণি ‘ । এ সব দেখে স্বামী করটিতিকায়ও খুব রেগে গিয়ে মাউন্ট ক্রোচ-এ চলে গেলেন । মাতা পার্বতী সেখানে এসেছিলেন তাঁকে সেলিব্রেট করতে । তার পর শঙ্কর ভগবান সেখানে এসে জ্যোর্তিলিঙ্গ হিসেবে আবির্ভূত হন এবং তারপর থেকে তিনি মল্লিকার্জুন-জ্যোর্তিলিঙ্গ নামে পরিচিত হন । তাঁদের প্রথম পূজিত হন মল্লিকা ফুল । এই কারণেই মল্লিকার্জুন নামছেন । যদি কোনও কারণ থাকে তাহলে ভগবান শ্রী গণেশকে ঋদ্ধি সিদ্ধি-র দাতা বলেও সম্বোধন করা হয় ।