রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম জায়ান্ট বিএসএনএলের বন্ধ হয়ে যাওয়ার গুজব নিয়ে সরকার পরিচ্ছন্ন হয়ে এসেছে । টেলিযোগাযোগ বিভাগের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় তা বন্ধ করার পক্ষপাতী নয় ।
অর্থমন্ত্রক বন্ধ করার পক্ষপাতী নয় বিএসএনএল
2017-18-২০ অর্থবর্ষে বিএসএনএলের ঘাটতি ছিল 7,992 কোটি টাকা এবং 2016-17-এ সংস্থার লোকসান দাঁড়িয়েছিল 4,786 কোটি টাকা ।
গত কয়েকদিন ধরেই রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম জায়ান্ট বিএসএনএল ও এমটিএনএল বন্ধ থাকার খবর এসেছে । এ খবর এখন টেলিযোগাযোগ বিভাগের পক্ষ থেকে শোনা গেছে । শীর্ষ ডট কমের আধিকারিক অংশু প্রকাশ জানিয়েছেন, অর্থ মন্ত্রক বন্ধ করার পক্ষপাতী নয় রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল । অংশু প্রকাশ বলেন, এই তথ্য সম্পূর্ণ ভুল ।
ঘটনা কী?
বস্তুত, গত কয়েক দিন ধরেই খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, অর্থমন্ত্রী টেলিকম জায়ান্ট বিএসএনএল ও এমটিএনএল-কে বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছেন, যা আর্থিক মন্দা মোকাবেলা করছে । রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, টেলি কমিউনিকেশন বিভাগ (ডট) বিএসএনএল ও এমটিএনএল-এ বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের প্রস্তাব দিলেও অর্থমন্ত্রী সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন । একযোগে বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছে বিএসএনএল । সেজন্যই টেলিযোগাযোগ বিভাগকে পরিষ্কার করা হয়েছে । তবে দফতরের শীর্ষ অফিসার অংশু প্রকাশের বক্তব্য, পরিস্থিতি স্পষ্ট করে দিয়েছেন ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে মন্ত্রীদের দল জুলাইয়ে বিএসএনএল ও এমটিএনএল-এর পুনরুজ্জীবনের জন্য প্রস্তাবিত প্যাকেজের অনুমোদন দিয়েছিল । তবে পরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এই প্রস্তাবে 80 বেশি আপত্তির কথা তুলে ধরেন । এই দলে ছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এবং টেলিকম মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ ।
বিএসএনএল যদি বন্ধ করে দিত?
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী, দু ‘ টো পিএসইউ কোম্পানি (বিএসএনএল ও এমটিএনএল) বন্ধ হলে খরচ হবে 95,000 কোটি টাকা । এই যোজনায় কর্মীদের স্বেচ্ছা অবসর প্রকল্পের জন্য 29,000 কোটি টাকা, ৪জি স্পেকট্রাম বাবদ 20,000 কোটি টাকা এবং ৪জি পরিষেবার জন্য অর্থায়ন মূলধন ব্যয়ের জন্য 13,000 কোটি টাকার মধ্যে রয়েছে । সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-এর খবর অনুযায়ী, 2017-18 অর্থবর্ষে বিএসএনএলের ঘাটতি ছিল 7,992 কোটি টাকা । এর আগে 2016-17 সালে কোম্পানিটির লোকসান দাঁড়িয়েছে 4,786 কোটি টাকা । এর মধ্যে মাত্র ১ বছরে 3,206 কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে ।