বদহজম এবং বদহজমের কারণ
খাবার হজম করতে অসুবিধা বা খাবার না হজম করার শর্ত বদহজম বলে । অনেক কারণেই এই রোগ বেশি মশলাদার ও চর্বিজাতীয় পদার্থ হয়ে যায়, ক্ষুধা বেশি খায়, খাওয়ার পর বেশি খেলে আরাম করে । সেই সঙ্গে হার্টের ব্যথার শর্তও তৈরি করে এই রোগ । এসব কারণ ছাড়াও গর্ভাবস্থা এবং স্ট্রেস থেকেও এই রোগের সৃষ্টি হয় । অনেক সময়, পেপটিক আলসার, গলস্টোন ইত্যাদি কারণেও ডিসস্পেসিয়া হয় ।
বদহজম ও বদহজমের লক্ষণ
এই রোগের লক্ষণগুলি খাওয়ার পরপরই দেখা দিতে শুরু করে এবং উপসর্গগুলি কয়েক ঘন্টার জন্য স্থায়ী হয় । এই রোগে ব্যক্তি তীব্র যন্ত্রণায় মৃদু অস্বস্তিতে ভুগতে পারেন । রোগীর বধিরতা ও বমিভাবের অভিযোগ শুরু হয় । খাবারের হোস, বুক জ্বালা, টক দইয়ের অন্যান্য উপসর্গ হল এই রোগ ।
বদহজম ও বদহজমের ক্ষেত্রে চিকিৎসা
১. কমলালেবু: কমলা ফোকের খোসা ছাড়িয়ে কালো নুন ও স্নুথ দিয়ে খাবার থেকে বদহজম দূর করুন । কমলালেবু নিয়মিত খাওয়া অন্ত্রের মধ্যে শরীরের পুষ্টি সৃষ্টি করে, যা পুরানো বদহজম এবং বদহজম এবং মসৃণ হজম দূর করে । কমলালেবুর রস পান করলে বদহজম দূর হয় ।
২. সংরক্ষণ করুন: পরিপাক রোগে ওষুধ হিসেবে কাজ বাঁচান । স্যালাড হিসেবে সেভ করে কেটে, তার উপর এক চিমটি দারুচিনি গুঁড়ো বা মধু খেলে বদহজম রোগীদের উপকার হয় ।
৩. কলা: বাননাপর খাবার খেলে বদহজম দূর হয় ।
৪. জায়ফল: হজমের সমস্যায় জায়ফল ব্যবহার করলে খাবার থেকে বদহজম দূর হয় । বদহজমের ক্ষেত্রে জায়ফল গুঁড়া সেভ জুস বা কলার সঙ্গে নেওয়া উচিত ।
৫. ফালাসা: ফালাসা খেলে বদহজম ও বদহজম দূর হয় । গিয়ে পরিপাকতন্ত্র সঠিক হয়ে যায় ।
৬. লোকট: লোকট একটি হালকা ও হজমের ফল এবং বদহজম দূর করে ।
৭. আম: আমের রসে সামান্য দই মেশান । এক চা চামচ আদার রস মিশিয়ে দিনে তিনবার ব্যবহার করুন । এতে বদহজম দূর হবে ।
৮. আঙুর: আঙুর ভিনিগার পান করলে বদহজম ও বদহজম দূর হয় ।
৯. বেরি: রান্না করা বেরি-র ভিনেগার অল্প পরিমাণে পান করা থেকে দূর হয় ।
১০. মুনক্কা: ১০ চাট্যাংক মুনক্কা ও 4-4 টোলা আন্দানা, মানুষ, মরিচ, এক্সহন, সাদা জিরা বীজ, সিএইচ জিরা ও নৌদার নিন এবং ৫টি টোলা রক লবণ দিয়ে গুঁড়ো করুন । বদহজম দূর হয় তার খাওয়া থেকে । 1-2 চামচ মধু সঙ্গে 5-7 মুনক্কা, তাদের যত্ন নেওয়া উচিত প্রায় 15-20 মিনিট মুনক্কা বীজ গেলা না । সেগুলিকে আলাদা করে সরিয়ে ফেলুন । গরমের মরসুম থাকলে অল্প জল দিয়ে মাতাল করা যায় ।
১১. পেঁপে: টাটকা পেঁপে কাটুন, মরিচ বুড়িকিয়া, এক বা দুই টুকরা লেবু মাখা, ধীরে সুস্থে খান । পেঁপের মধ্যে ‘ পেপসিনো’ নামে একটি পাচক উপাদান রয়েছে যা দ্রুত প্রভাবে বদহজম দূর করে । রান্না করা পেঁপে খেলে বদহজমের সুবিধাও হয় ।
১২. ইমলি: রান্না করা তেঁতুল পাল্প পিত্তথলির অতিরিক্ত ফলে সৃষ্ট বদহজম দূর করে ।
১৩. পেয়ারা: বদহজম হলে পেয়ারা ভালো ওষুধ হিসেবে কাজ করে । এর রোগীদের খাবার পরে 250 গ্রাম পেয়ারা খাওয়া উচিত, যা ব্যাপকভাবে লাভবান হবে । পেয়ারা, শসা, পেঁপে ও টমেটো কেটে স্যালাড বানিয়ে নিন । খাবারের সাথে বা আগে ব্যবহার করুন । বদহজম ও বদহজম থাকবে না ।
১৪. আদা: ফ্রেশ আদার জুস, লাইম জুস ও রক সল্ট দু ‘ বার মিশিয়ে খাওয়ার আগে ও পরে বদহজম দূর করে খাবার দ্রুত রান্না করা হয় । খাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে আদা, মরিচ ও রক সল্ট চাটনি খেতে পারলে বদহজম হবে না ।
১৫. লেবু: এক গ্লাস পানিতে একটি লেবু আলিঙ্গন করে স্বাদমতো লবণ মিশিয়ে একটি জাল তৈরি করুন । এটি পান করলে বদহজম দূর হবে ।