অ্যাসিপিটির জন্য গৃহস্থালীর প্রেসক্রিপশন
আয়ুর্বেদে অম্লতা কোঅ্যাসিগর্জে বর্ণিত হয় । এটি রোগীর খাদ্য বা খাদ্যের অনিয়ম এবং মানসিক চাপের জীবনযাত্রার কারণে সৃষ্ট একটি রোগ । অ্যাসিপিবাইল একটি সাধারণ ব্যাধি, যার মধ্যে রোগীর খাবারের পর টক গাড়ি পায় এবং কখনও কখনো তা বমি করে ।
অম্লতা
অ্যাসিপিলের প্রধান কারণ ভাজা ঝাল-মসলা সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া । এই ধরনের খাদ্যের হজম শুধু বেশি সময় নেয় না বরং অন্ত্রের মধ্যে অবস্থান করে এই রোগকে এসিএমেও রূপান্তরিত করে ।
অম্লতা লক্ষণ
খাবারের পর টক গাড়ি ও টক পানি এসিএকপালে প্রধান লক্ষণ । রোগীর তীব্র পর্যায়েও বমি ও ডায়রিয়া হতে পারে ।
অম্লতা জন্য ঘরোয়া প্রতিকার
গো অম্বলে কি খাবেন না আর কী খাবেন না
১. টেভার্স দিয়ে লবঙ্গ ভাজা করে গুঁড়া করে মধু মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন । এতে অল্প পরিমাণে চেটে আরাম হয় ।
২. কিছুদিন কফি, চা, ওয়াইন, মাংস, তামাক, চকলেট, পেস্ট্রি, মিষ্টি ও ঝাল-স্প্যাগ্লাসে খাবার বন্ধ করে দিন । প্রতিবার যদি তাদের খাবারের কারণে অ্যাসিসপিট-এর সমস্যা হয়, তাহলে খুব অল্প পরিমাণে এগুলো সেবন করলে ভালো হবে ।
৩. যদি অ্যাসিটপিট তীব্রতা থাকে তাহলে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার জন্য সলিড খাবার খাবেন না ।
৪. এনজাইম সমৃদ্ধ তরল পানীয় হজমে জোর দেয় । এতে বমি করাও বন্ধ হয়ে যায় ।
৫. খাবার পর চুষা লবঙ্গ হজম নিরাময় করে ।
৬. হারারের, বাহেরা ও আমলা (ত্রিফলা) অ্যাসিপিসে অত্যন্ত পুণ্যবান । ছোট কালো শক্ত করে ভাজা হয়ে গেলে গুঁড়া করে গুড় মিশিয়ে খাবার পরে ব্যবহার করুন । বাহেরা শাঁস কেটে সেদ্ধ করে মিশ্রণ তৈরি করে নিন । এই মিশ্রণ টক বেলচুস ও ডায়রিয়া এলে উপকারী । আমলকী ব্যবহার করতে থাকুন মারামালড ইত্যাদি ।
৭. খোসা ছাড়ানো এক-দু ‘ টো রসুন টার্নস করে একটা সেঁক মুক্কা গুছিয়ে রাখুন ।
৮. আঙুর ও মৌরি খাওয়া অ্যাসিপিতেও বেশ উপকারী ।
৯. অ্যাসিবাইল রোগীদের রোজ পুরনো চালের খেতের খাবার খাওয়া উচিত ।
১০. ডালিম ও মৌসুমী জুস অ্যাসিপিতেও বেশ উপকারী ।
১১. কমলার রসে ভাজা জিরা ও রক লবণ মিশিয়ে খেলে এসিসিবাইল দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় ।
১২. সাদা জিরা সমান পরিমাণে ধনে বেঁটে এবং মেশানো মিশ্রী বা চিনির উপকারিতা দ্রুত ।
১৩. সারারাত পানিতে 50 গ্রাম মুক্কা ও ২৫ গ্রাম মৌরি মেশান । সকালে সেগুলিকে একই জলে যোগ করে দ্রুত অ্যাসিবাইল শান্ত করতে হয় ।
১৪. রাতে পানিতে অল্প লেবু মেশান । সকালে সেই জলের উপরের অংশ নিলে ফিল্টারিং ও পান, অ্যাসিবাইল সেরে যায় ।