কারণ এবং বিরাম প্রস্রাবের লক্ষণ
বিরতিহীন প্রস্রাব অনেক সময় বার্ধক্য রোগের রোগও হয়ে থাকে । এই রোগের প্রধান কারণ হয় মূত্রনালীতে কোনও বাধা বা পেশীর উপর শরীরের নিয়ন্ত্রণ হ্রাস ।
বিরাম প্রস্রাব জন্য চিকিত্সা
১. শালগাম: প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে শালগাম ও কাঁচা রাখাবার কাটা উচিত । এতে খুব উপকার হবে ।
২. নারিকেল: নারিকেল খেলে ইউরিনারি ডিজিজেস ব্যাপকভাবে লাভবান হবে ।
৩. পাঁচ গ্রাম আঙ্গুর পাতা, পাঁচ গ্রাম সাদা জিরা বীজ এবং পাঁচ গ্রাম সাদা মিশ্রী মিশিয়ে নিন । এইভাবে তিন ঘন্টার ব্যবধানের পর প্রস্তুত চাটনি খান । এতে প্রকাশ্যে প্রস্রাব হবে ।
৪. আমলকি: আমলকি গুঁড়ো করে পেলোর ওপর পেস্ট করে নিন । কয়েক মিনিটের মধ্যে সেখানে অবাধ মূত্রত্যাগ হবে ।
শসা: ফ্রেশ কিন্তু কাঁচা শসা কেটে লবণ দিয়ে কয়েক ফোঁটা লেবু খান, দুই ঘণ্টা পানি পান করবেন না এবং প্রস্রাবের সব প্রতিবন্ধকতা দূর হবে ।
৫. তরমুজ: তরমুজ খাওয়া আপনাকে অবাধে প্রস্রাব করে দেয় । কিন্তু তা খাওয়ার পরেও দু ‘ ঘণ্টা জল পান করবেন না ।
এছাড়া মূত্রনালি, ব্লাডার স্টোন এবং অন্যান্য শারীরিক রোগ আটকানোর কারণে উনাল-এর সমস্যাও সৃষ্টি হয় । রোগী বিভ্রান্ত হয়ে অস্থির হয়ে ওঠে । তীব্র যন্ত্রণায় ভুগতে শুরু করে তাঁর ব্লাডার ও জেন্দরিস ।
অন্যান্য চিকিৎসা
১. লেবু: লেবুর বীজ মিহি করে পিষে নিন এবং নাভিতে ঠান্ডা পানি মেশান । এতে থামে প্রস্রাব খোলে ।
২. কলা: চার চা-চামচ কলার লবণাক্ত জুস নিয়ে দুই চা চামচ ঘি পান করুন । অবিলম্বে বন্ধ প্রস্রাব প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে । গরুর মূত্রের সঙ্গে কলার মূল রস মিশিয়ে খেলে থামে প্রস্রাব খোলে । কলার পাল্প তৈরি করে তা পেলেট দিয়ে লাগালে মূত্রও খোলে । এটি একটি অতি প্রাচীন ও স্বীকৃত রেসিপি ।
৩. ক্যাস্টর: ক্যাস্টর অয়েল ২৫ থেকে 50 গ্রাম গরম জলে মিশিয়ে নিলে 15-20 মিনিটে প্রস্রাব এখনও থামে ।
৪. তরমুজ: তরমুজের ভেতরে পানি পান 250 গ্রাম, ১ মাশা জিরা বীজ এবং ৬ মাশা মিশ্রী প্রস্রাব নিরাময় করে এবং রোগীকে অনেক আরাম দেয় ।
৫. নারকেল: নারকেল ও বার্লি পানি, আখ রস ও কুলথি পানি পানের সঙ্গে মিশিয়ে প্রস্রাব খোলে ।
হলুদ প্রস্রাবের চিকিত্সা
১. মুবেরি, মুবেরি শরবত ও পানের মধ্যে সামান্য চিনি শেভ করুন । এতে প্রস্রাবের হলুদ দূর হবে ।
২. কমলালেবু: প্রস্রাবে জ্বালা হলে নিয়মিত এক গ্লাস কমলার রস পান করুন ।
৩. লেবু: লেবু খপ্পর পান করলে প্রস্রাবের হলুদ দূর হয় ।