কোষ্ঠকাঠিন্য হলে হোম প্রতিকার (চিকিত্সা)

Home remedies for constipation in bengali
Home remedies for constipation in bengali

কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ

মলমূত্র বা অত্যধিক সামান্য অন্ত্র আন্দোলনেই অসুবিধা বলা হয় কোষ্ঠকাঠিন্য । খাদ্যে আকস্মিক পরিবর্তন, ত্রুটিপূর্ণ খাদ্যতালিকাগত শৈলী এবং পানীয় খুব কম পরিমাণে কোষ্ঠকাঠিন্য সৃষ্টি করে । একইভাবে ব্যায়াম না করেও কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়ে, খাবার খাওয়ার পরপরই অনেকেই ঘুমিয়ে পড়েন । এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য আরও বাড়ে । ওপরের সব কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য স্বল্পমেয়াদি । দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্য খাদ্যে ফাইবারযুক্ত পদার্থের অভাবের কারণে হয়ে থাকে ।
কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ

এই রোগে রোগীর মল-মূত্র অনেক কষ্টে থাকে, শৌচ করার পরিমাণও কম হয় । কোষ্ঠকাঠিন্য হলে মল শক্ত ও শক্ত ডেলা আকারে থাকে । অনেক সময় পেটে ব্যথা হয় ।
কোষ্ঠকাঠিন্য হলে চিকিৎসা

১. পেঁপে: পেঁপে পাকস্থলীর রোগের জন্য বিশেষ উপকারী । পেঁপে অন্ত্রের মধ্যে পাচক রসের পরিমাণ বাড়ায় এবং অন্ত্রের মধ্যে আটকা কফ দূর করে । পেঁপে যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে বছরের পুরনো কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় । একইভাবে সকালে পেঁপে খেলে দুধ পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় ।

২. নাশপাতি: নাশপাতি সেবন অ্যাটিটিক্স শক্তি দেয় । কোষ্ঠকাঠিন্য ঘটলে যদি কোনও নাশপাতি খাওয়া যায়, তাহলে অভিযোগ দূর হয় ।

৩. কাঁঠাল: কাঁঠাল স্যুপে আদা, মরিচ ও সামান্য লেবুর রস পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হতে পারে ।

৪. আঙুর: নিয়মিত আঙুর ব্যবহারের ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় স্বাভাবিকভাবেই ।

৫. ডুমুর: যাদের ক্রনিক কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তারা ডুমুর ব্যবহার থেকে দারুণভাবে লাভবান হন । রাতে দু ‘-তিনটি ডুমুর গ্লাস বা সেরামিক পাত্রে ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন । সকালে ডুমুর ভাল করে খেয়ে নিন এবং তারপর এক গ্লাস পানি পান করুন । কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে ।

৬. তরমুজ: কয়েকদিন ধরে অবিরত তরমুজ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হতে পারে । তরমুজ: নিয়মিত তরমুজ খাওয়া কোষ্ঠকাঠিন্য সৃষ্টি করে না । রান্না করা তরমুজ খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় ।

৭. খেজুর: খেজুরের আঁশ পাওয়া ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে । এর ভোজনের অন্ত্র শক্তি দেয় । কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বিভিন্ন ধরনের খেজুর ব্যবহার করা যেতে পারে; সকালে দু ‘ টো খেজুর জলে ভিজিয়ে রাতে খেয়ে নিন । সকাল-সন্ধ্যায় নিয়মিত 4-5 ভিজিয়ে খেজুর খেয়ে গরম জল পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় । জলে খেজুর পরিষ্কার করে প্রয়োজনমতো ভিজিয়ে রাখুন । সকালে তা ভাল করে ম্যাশ করে শরবত হিসেবে ব্যবহার করুন । কয়েকদিন এই পানীয়টি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হতে পারে । কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে খেজুর ব্যবহারের একটি উপায় উষ্ণ দুধে এটি খাওয়া ।

৯. টাচ: এটি খেজুরের মতো ব্যবহার করুন ।

১০. কলা: 2-3 কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হতে পারে কিন্তু রাতে ঘুমানোর আগে কলা খাবেন না ।

১১. বেল: আঙুরলতার পাকা শাঁস মল-এর জন্য খুবই উপকারি বলে মনে করা হয় । দু ‘ মাস ধরে বেল পাল্প নিয়মিত ব্যবহার করলে পেটে জমা হওয়া মল খুব সহজে বছরের পর বছর পরিষ্কার করে দেয় । এর ভোজনের ক্ষেত্রেও অন্ত্র শক্তি দেয় ।

১২. পেয়ারা: পেয়ারা খাওয়া আগুলো সতেজতার সাথে পূরণ করে । কোষ্ঠকাঠিন্য হলে তা খাওয়ার আগে খাওয়া উচিত । কারণ খাওয়ার পর তা কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে যায় । কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের ব্রেকফাস্টের জন্যও পেয়ারা খাওয়া উচিত । ক্রনিক কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীদের সকাল ও সন্ধ্যায় নিয়মিত পেয়ারা খাওয়া উচিত । এর খাওয়া হজম ক্ষমতার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য আরও বাড়িয়ে দেয় । পেয়ারা পাতার নরম পাতা ফুটন্ত করে পান করলে ক্রনিক কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় । 250 গ্রাম পেয়ারা খেয়ে, উপর থেকে গরম দুধ পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের অপসারণ বাড়ে ।

১৩. আমলকি: রাতে পানি বা দুধ দিয়ে এক চা চামচ আমলকি গ্রহণ করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হতে পারে । আমলকির রসে অল্প লেবু পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য সেরে যায় ।

১৪. তাল: ডুমুর, মুনক্কা ও তাল পরিষ্কার করে রাতের বেলা পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খাওয়া এবং পরে এক বা দুই গ্লাস পানি পান করুন । এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় ।

১৫. লেবু: রাতে ঘুমানোর সময় এক গ্লাস উষ্ণ পানিতে একটি পাতিলেবুর রস মিশিয়ে পান করুন এবং সকালে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে । – লেবুর রস ও চিনি প্রতি ১৫ গ্রাম জলে এক গ্লাস জল মিশিয়ে রাতে পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় ।

  1. বাঁচান: ক্ষুধার্ত পেট সংরক্ষণ খাওয়া কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে । খেয়াল রাখবেন, খোসা দিয়ে সেভ করে খান । খাওয়ার পর সেভের কোষ্ঠকাঠিন্য হয় ।

১৭. কমলা: সকালের নাশতা থেকে কমলার রস পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হতে পারে ।

১৮. মুনক্কা: কোষ্ঠকাঠিন্য হলে ১০ মুক্কাকে গরম দুধে ফুটন্ত দিয়ে উপকার করা হয় । যাদের প্রায়ই ক্রনিক কোষ্ঠকাঠিন্য হয় তাদের কিছু মুনক্কা উষ্ণ জল দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত এবং তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী একটি কাঁচের পাত্রে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন । সকালে সেগুলি খেয়ে নিন এবং পরে মুক্কা যে জল খান তা পান করুন । এতে খুব শীঘ্রই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে । কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে অনেকে আবার কার্বলার ডুমুর দিয়ে ভিজিয়ে খেতে পারেন ।

১৯. লিচু: যেসব ব্যক্তি প্রায়ই কোষ্ঠকাঠিন্য করে, তাদের লিচু মৌসুমে লিচু ব্যবহার করা উচিত । সেই সঙ্গে ক্রনিক কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ।

২০. ইসবাগল: কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ইসবাগল ব্যবহার বেশ প্রচলিত কারণ এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এর ব্যবহার কোনো দুর্বলতা বা কোনো বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করে না । কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে গরম দুধের সঙ্গে নেওয়া উচিত । ইবাগল বীজের ব্যবহারও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার দারুণ এক রেসিপি । দু ‘ চা চামচ ইবাগল বীজ জলে ভিজিয়ে রাখুন । গরম দুধ দিয়ে নেড়ে নিন । সকালে সব কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে ।

২১. জায়ফল: কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য জায়ফল ব্যবহার করলে বদহজম হয় ।