প্রয়াগরাজ তীর্থরাজ প্রয়াগরাজ-এ, অপবিত্র পাণি গঙ্গা, শ্যামল যমুনা ও শেষ সালেলা স্বর্ণময়ী-তে বয়ে আসা সরস্বতীর সুবিশাল ফাইলে 2020-মাঘ সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় হাইটেক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মাঘ মেলা সুপারিন্টেনডেন্ট অফ পুলিশ পূজা যাদব জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ দেখেই মেলায় তাদের কমান্ডোদের নিয়ে এক ইউনিট অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) মোতায়েন করা হবে। নিরাপত্তা খতিয়ে দেখে গোটা মেলা এলাকা ড্রোনের সঙ্গে 174 সিসিটিভি ক্যামেরার পরিধি থাকবে। প্রথম বার মাঘ মেলায় ২০টি ট্রেন এবং আপ 112-এর ২৫টি বাইক পরিচালিত হয়েছে যাতে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে স্পটে পৌঁছতে পারে।
এই মেলা তিনটি জোন ও ছয়টি সেক্টরে বিভক্ত। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ দেখেই মাঘ মেলার গোয়েন্দা ইউনিট দারাগঞ্জ থেকে নৈনিতালা পর্যন্ত বসবাসকারী বহিরাগতদের যাচাই করে দেখছে। যেমন কুম্ভ মেলা-2019, এ বারও অত্যাধুনিক যন্ত্রাংশের সাহায্যে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সুপারিনটেন্ডেন্ট অফ পুলিশ জানিয়েছে, ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু 43 দিন ধরে চলা মাঘ মেলা বসানো হয়েছে 2000 বিঘা এলাকায় । মেলা এলাকায় থাকবে 3000 পুলিশকর্মী ও ৯ কোম্পানি পিএসি সহ তিন অতিরিক্ত সুপারিন্টেনডেন্ট অফ পুলিশ এবং ১৩ জন ডেপুটি সুপারিন্টেনডেন্ট অফ পুলিশ। ১৩টি থানা ও 38 পুলিশ পোস্ট ও ১৩টি দমকল কেন্দ্র গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি, গোটা মেলা এলাকায় স্থানীয় ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (লেউস) গোয়েন্দারা সক্রিয় হয়েছেন। তিনি জানান, প্রত্যন্ত থেকে আসা পর্যটক, ভক্ত ও স্নাতকদের সঙ্গে তাঁদের চিকিৎসার জন্য মাঘ মেলায় আসা পুলিশকর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
স্নানের জন্য নির্ধারিত সীমার বাইরে যেতে দেওয়া হবে না ভক্তকে। জল পুলিশের সঙ্গে থাকবে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিপিএফ) এবং স্টেট ডিজাস্টার রিলিফ ফোর্স (এসডিআরএফ)-এর প্রতিটি একটি করে সংস্থা। লাইফ জ্যাকেট ছাড়া হলে তাদের নৌকায় বসতে না দেওয়ার জন্য নাবিকদের সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।