কলকাতা: গভর্নর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর জগদীপ ধানহার বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ রচনার ক্ষেত্রে শিক্ষা ও শিক্ষকদের বড় ভূমিকা রয়েছে । ছাত্র-ছাত্রীদের মন রূপায়ণ করার অদ্ভুত ক্ষমতা রয়েছে এই শিক্ষকের । জীবনের শেষ পর্যন্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছে শিক্ষকের অবদান স্মরণীয় । শিক্ষার বিকাশের জন্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের একসঙ্গে কাজ করা উচিত । তখনই একাডেমিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিবেশ সুস্থ থাকতে পারে ।
মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত ‘ ভারতীয় উচ্চতর শিক্ষা: স্কিল গ্যাপ ব্রিজবন্ধন ‘-এ সেমিনার করে রাজ্যপাল বলেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে আমার কোনও বিরোধ বা লড়াই নেই ।
রাজ্যের মানুষের সেবা করতে তিনি এখানে এসেছেন । তাঁরা চান, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি আরও ভাল কাজ করুক । যে পদ্ধতিতে কাজ করা উচিত, সে ভাবে কাজ করা থেকে রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুমতি ও অব্যাহতি দেওয়া উচিত । শিক্ষা ফোরামে জনাব ধনহার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসেবে তাকে অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সাক্ষী হতে হয় ।
তিনি যদি কোনো বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেন, তাহলে তিনি সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়ে যান । যদি এমন কোনও বিষয় থাকে যা কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় সমাধান করা যায়, তা হলে আমাদের চেষ্টা করা উচিত । চ্যান্সেলর বিগ বস বা রাজ্য সরকারের কি না, তা এখানে ভাবার দরকার নেই । এই ভাবনা থেকেই সংঘর্ষ তৈরি হয় ।
রাজ্যপাল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কার্যকারিতা ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি, উভয়ের ভূমিকাই খুব ছোট । এমন পরিস্থিতিতে আমাদের একে অপরকে সহযোগিতা করতে হবে । খুব শিগগির পঞ্চাম গভর্নরদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে । রাজ্য সরকারের তরফে একটি চিঠি লেখা হয়েছে । অনেক ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে খবরের শিরোনামে থাকা মিস্টার ধানহার কোনও সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাব দেননি । কিন্তু মঞ্চ থেকে অবতরণের পর মুখে ব্যান্ডেজ বেঁধে ঘর ছেড়ে হাত জোড় করেন তিনি ।
এই কর্মসূচিতে ভারতের উচ্চশিক্ষার বিষয়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষাবিদ ও বিশেষজ্ঞ উপস্থিত ছিলেন । যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অধ্যাপক ডঃ চিরঞ্জিত্ ভট্টাচার্য বলেন, উচ্চশিক্ষার মান বাড়াতে হলে একে আউট বেসড এডুকেশন অ্যান্ড ইন্টারডান্সপার্টারি আবেদন নিয়ে কাজ করতে হয় ।
সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ডঃ জে ফেলিক্স রাজ এবং আইআইএম, ক্যালকাটা-র ডিরেক্টর অধ্যাপক আশানজা শেঠ বেশ কয়েকটি ইনপুট শেয়ার করেছেন । আইআইটি খড়্গপুরের ডিন ডাঃ প্রশান্ত কুমার দাস বলেন, তরুণদের জন্য শিক্ষা এমন হওয়া উচিত যে তারা যেন দেশের দায়িত্বশীল নাগরিক হয় ।
প্রথম সেশনে শিক্ষার উন্নয়নে বেশ কিছু মতামত শেয়ার করেছেন জেডি বিড়লা ইনস্টিটিউটের পরিচালক, সীমা সপ্তরু, প্রিন্সিপাল, হেরিটেজ স্কুলের অধ্যক্ষ অধ্যাপক জে এন মুখোপাধ্যায় এবং লা মার্টিনিয়ার ফর বয়েজ স্কুলের প্রিন্সিপাল জন রফি । প্রথম অধিবেশনের আয়োজন করেছিলেন ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটির ডিরেক্টর জেনারেল অধ্যাপক ডঃ সুমন কুমার মুখার্জি । কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক দীপঙ্কর দে বলেন, কার্যকর সংলাপের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষায় দক্ষতাও অপরিহার্য ।
স্বাগত ভাষণে এমসিসিআই সভাপতি বিশাল ঝাঝরিয়া বলেন, ভারতের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বের অনেক মহান আলেম ও নোবেল পুরস্কার তৈরি করেছে, যারা তাদের মাঠে কাজ করছে । আজকের এই আবহে স্নাতক স্তরের ছাত্রছাত্রীদের জন্য কর্মসংস্থান মুখী শিক্ষার প্রসার প্রয়োজন ।