তারপর মুখোমুখি মুখোমুখি হওয়া রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী

governor and chief minister again face to face in bengal
governor and chief minister again face to face in bengal

কলকাতা: সংবিধান দিবসে রাজ্যপাল জগদীপ ধানহার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে সংঘাত ও সংঘর্ষ প্রকাশ্যে এল মঙ্গলবার । বিধানসভা ও রাজভবন দু ‘ টিতে আলাদাভাবে সংবিধান দিবস পালন করা হয় । সংবিধান দিবস উপলক্ষে বিধানসভা ভোটে আয়োজিত বিশেষ অধিবেশন চলাকালীন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে প্রথম বার সভাস্থলে পৌঁছন রাজ্যপাল ।

মুখ্যমন্ত্রীও বৈঠক করেছেন, কিন্তু দু ‘ জনের মধ্যে কোনও কথা হয়নি । দুজনে একে অপরের থেকে দূরে থাকতেন । বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস সদস্যদের অনুপস্থিতিতে রাজ্যপাল সংবিধান দিবসে বিবৃতি দেওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেস সদস্যরা কক্ষ থেকে বেরিয়ে গিয়ে রাজ্যপালকে ‘ জয় বাংলা ‘ বলে মন্তব্য করেছেন । তাঁর ভাষণে রাজ্যপাল স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের পদে গুরুত্ব সহকারে বোঝাপড়া হয়েছে । পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রোষ দেখা যাচ্ছে । এটা বিষ্ময়কর ।

তিনি বলেন, একমাস আগে তিনি সংবিধান দিবসে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন । আমন্ত্রিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীও । কাশ্মীর থেকে 370 ধারা অপসারণের কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের ভূয়সী প্রশংসা করে রাজ্যপাল বলেন, এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দূরদর্শিতার মাধ্যমেই । ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আদর্শ একটি দেশ, একটি আইন ও সংবিধান বাস্তবায়িত হয়েছিল ।

দেশের স্বার্থে গৃহীত পদক্ষেপে যোগ দেওয়ার জন্য তিনি আইনপ্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানান । রাজ্যপালের ভাষণ শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সংবিধান মানুষের কাছে বিষয়, কোনও দেহ নয় । ভারতীয় সংবিধান দেশকে পথ দেখিয়েছে । বাংলাকে পথ দেখিয়েছে দেশ ।

তিনি বলেন, আজ সংবিধান দিবসে বিশেষ অধিবেশনে রাজ্যপাল বাংলা নিয়ে কম কথা বলেছেন এবং কাশ্মীর নিয়ে কম কথা বলেছেন । তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলে তাঁরও সঙ্গে কথা হয় । প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলেও গভর্নর হিসেবে মনোনীত । মুখ্যমন্ত্রীর পদ তো আছেই । বক্তার পদ সভাপতির পদ, উপ-রাষ্ট্রপতির পদ এবং সব পদে নিজেদের মর্যাদা থাকলেও রাজ্যে যা হচ্ছে, তা গণতন্ত্রের পক্ষে ভাল নয় ।

রাজ্যে দূষণের চেয়ে মানসিক দূষণ বেশি । রাজ্যপালের বক্তব্য নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ ‘ আমি জানি কে তাঁকে পাঠিয়েছিল এবং কেন পাঠিয়েছে । আমি সব জানি । তিনি বলেন, হেলিকপ্টার নামার দাবি জানালেও যেদিন হেলিকপ্টার চাওয়া হয়েছিল, সেদিন কেন্দ্রীয় দল এসে হেলিকপ্টার রাজ্য সরকারের নয়, পিপিপি মডেলে । জরুরি অবস্থায় রাজ্য সরকার তা ব্যবহার করে ।

মিস ব্যানার্জি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কয়েকজন গভর্নরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, পোস্টটি ‘ অত্যন্ত অপব্যবহার ‘ হচ্ছে । বললেন, ‘ ‘ আমার রাজ্যে রাজ্যপালের অফিসের অপব্যবহার হচ্ছে । একজন ভুলে গেলে চলবে না যে, সরকার নির্বাচিত হওয়ার সময় গভর্নরের পদ মনোনীত হয় । আমরা কারও রাহমো-করম-এ নেই ।