গাল ব্লাডার সিন্টু ছোট পাথর পাওয়া গল ব্লাডারে যা ২০ মিমি পর্যন্ত হতে পারে আকারে, যাকে বলে গলস্টোন ।
গলস্টোন কারণে গল ব্লাডারের প্রধান কাজ হল হজম প্রক্রিয়া সম্পাদন করতে পিত্তথলি জমা করা । কিন্তু পিত্তথলিতে উপস্থিত কোলেস্টেরল ও পিগমেন্ট অনেক সময় শক্ত আকার নেয় এবং অ্যাকুইটিসের রূপ নেয় । কেন এমনটা হয়? সঠিক কারণ জানা না গেলেও বিশেষজ্ঞদের অনুমান, যে সব ব্যক্তি প্রচুর পরিমাণে সমৃদ্ধ খাবার খেয়ে থাকেন, তাদের রক্তে কোলেস্টেরলের উপাদান বেড়ে যাওয়ার কারণে এই রোগ শুরু হয় ।
গলস্টোন এর লক্ষণ
অ্যাকুইটিস সব সময় কষ্ট অনুভব করে না । সাধারণত ফ্যাটি এবং রিচ খাওয়ার পরেই অ্যাসর্সিটিস এর লক্ষণগুলি দেখা যায় । পেটের উপরের অংশে মৃদু ব্যথা, ফ্ল্যাটুলেন্স, বায়ুরোষ বা কখনো তীব্র ব্যথা ও বমিভাব লক্ষণ দেখা দেয় ।
গলস্টোন চিকিত্সা
গলস্টোন ঘরোয়া চিকিৎসার (ঘারেলু ইলিজ) চিকিৎসা করে কিছু এড়ানো ও বাড়ির তৈরি জিনিস দিয়ে চিকিৎসা করা যায় । আপনি যদি গলস্টোন রোগে আক্রান্ত হন, আপনি হলেন-
১. ফ্যাটি সমৃদ্ধ খাবার, দুধ ইত্যাদি খাবেন না ।
২. খাদ্যতালিকায় বেশি করে শাকসবজি ও ফলমূল সেবন করুন ।
৩. কোলেস্টেরল কনটেন্ট কমাতে রসুন ও লাইম জুস ব্যবহার করুন ।
৪. চাটনি, গাজর ও শশার রস খেলে তা খুব ভালো প্রাকৃতিক প্রতিকার । এসব রসের ব্যবহার শুধু গলস্টোন দূর করে না বরং কিডনি পাথরও দূর করে এবং শরীর থেকে বেরিয়ে আসে ।
৫. আঙুর খাওয়া পুণ্যও বটে ।
৬. ডালিম সাইট্রাস ও মিষ্টি বীজ এবং গুঁড়া প্রস্তুত করে নিন । চানা স্যুপ দিয়ে দিনে দু ‘ বার এক চা চামচ দিলে অ্যাকুইটিস গলে গিয়ে শরীর থেকে বেরিয়ে আসে ।