নতুন বছরে মুদ্রাস্ফীতি কমলেও বাঁচানো যাবে না

জয়পুর আজ বছরের শেষ দিন। আগামিকাল থেকে শুরু হবে নতুন বছর 2020। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধি দেশে রয়ে যাচ্ছে, কিন্তু কিছু পণ্যে দাম আরও বেড়ে যাচ্ছে। আমরা যদি 2019 কথা বলি, এ বছরটা অর্থনৈতিকভাবে ভালো বলা যাবে না। সারা বছরই মুদ্রাস্ফীতির সমস্যায় ভুগছিলেন দেশের মানুষ। এখন নতুন বছরে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন সম্পর্কিত অনেক কিছুই ব্যয়বহুল হতে চলেছে। এর মধ্যে রয়েছে সাইকেল থেকে বিমা। নতুন বছরে মারুতি-সহ অধিকাংশ অটো সংস্থাই গাড়ি বা বাইকের দাম বাড়িয়েছে।

অর্থাৎ নতুন বছরে গাড়ি বা বাইক কেনার কথা চিন্তা করলে আগের চেয়ে এখন বেশি দাম দিতে হবে । এক রকম নতুন বছরে পার্লে ও আইটিসি-র মতো এফএমসিজি সংস্থাগুলি তাদের পণ্যের দাম বাড়িয়ে বা প্যাকেটের মাপ বদলে দিতে পারে।

এই আইটেমগুলি ব্যয়বহুল হতে পারে
নতুন বছরে ফ্রিজ ও এসি-র দাম আরও বাড়তে চলেছে। আসলে 2020 সালে নতুন শক্তি সমতলকরণ নিয়ম বাস্তবায়িত হতে চলেছে। এ অনুযায়ী ইলেকট্রনিক নির্মাতাদের ফাইভ স্টার ফ্রিজ বা এসি কুলিং করার জন্য প্রথাগত ফোম বদলে ভ্যাকুয়াম প্যানেল ব্যবহার করতে হবে। অন্য দিকে, জীবনবিমা সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে এমন একটি প্রতিষ্ঠান আইআরডিএ-র নির্দেশ অনুযায়ী নতুন বছরে জীবনবিমা পলিশি নিয়ম বদল করা হবে। এই পরিবর্তনগুলি শুধুমাত্র লিঙ্কড, নন-লিঙ্কড লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিশি হবে।

নতুন বছরে সাধারণ মানুষকে পেট্রোল-ডিজেলের ‘ প্রিমিয়াম ‘ দিতে হতে পারে । ঘটনা হল, তেল বিপণন সংস্থাগুলি গাড়ি জ্বালানির দাম বাড়ানোর জন্য ‘ প্রিমিয়াম স্কিম ‘-কে সমর্থনের জন্য পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানিয়েছে । সরকারও এই দাবি করছে বলে মনে করা হচ্ছে।

সরকার প্রস্তাব গ্রহণ করলে আগামী ৫ বছর পেট্রোল ও ডিজেলের খুচরো মূল্যের উপর যথাক্রমে 80 পয়সা এবং লিটার প্রতি 1.50 টাকা প্রিমিয়াম দিতে হবে ক্রেতাদের। আসুন আমরা বলি, তেল কোম্পানিগুলি প্রতিদিন কেটে বা পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ায়।

ট্রেনের ক্ষেত্রেও খরচ হতে পারে
নতুন বছরে ট্রেনে যাত্রা 2020 খরচ হতে পারে। রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ভিকে যাদব ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রচলিত পরিস্থিতি অনুযায়ী রেল বোর্ড যাত্রী ও মালবাহী ভাড়া যৌক্তিকীকরণের দিকে যাচ্ছে। যেখানে ভাড়া কম, সেখানে তা বাড়ানো হবে এবং যেখানে ভাড়া বেশি, সেখানে তা কমে যাবে।

তিনি বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে যাত্রী ভাড়া বাড়েনি, অথচ রেলের খরচ বাড়ছে । অর্থাৎ, নতুন বছরকে মুদ্রাস্ফীতি থেকেও দেশের মানুষকে স্বস্তি দেওয়া যাচ্ছে না। সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক মন্দার দাপট আরও কিছু দিন চলতে পারে।