এমনকী বৈজ্ঞানিক যুগে পড়াশোনা চলছে ‘ ভূতে ‘ র

বনগাঁর বর্তমানে আমাদের দেশ বৈজ্ঞানিক যুগের আদর্শের ওপর ভিত্তি করে একমাত্র বিশ্ব নয়। ‘ ভূতে ‘ র উপর যদি পড়াশোনা করতে হয়, তা হলে কেমন অনুভূতি হবে ? একদিকে আমরা টেকনিক্যাল বয়স নিয়ে কথা বলি আর অন্য দিকে ভূতের উপর গবেষণা করি। হ্যাঁ, বনগাঁর হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন 2020 জানুয়ারি থেকে ঘোস্টবিদ্যা নিয়ে ডিপ্লোমা হবে। বজলু এখন ‘ ভূত বিদ্যা কোর্স ‘ পরিচালনার জন্য ছাত্রদের প্রস্তুত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ‘ ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস ‘, কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল কেমিস্ট্রি, আয়ুর্বেদ ফ্যাকাল্টির বিভাগে এখন ভূতের তালিম নেওয়া হবে।

জানুয়ারি থেকে ভূতের গবেষণায় ভর্তি শুরু হবে। প্রতি বছর দু ‘ টি ব্যাচে পড়াশোনা হবে যেখানে ছাত্ররা 10 10-এর ব্যাচে পড়াশোনা করে। এই কোর্সের জন্য 50000 টাকা ফি রাখা হয়েছে । অ্যানি স্ট্রিম মেডিকেল গ্র্যাজুয়েট আছে যে ছাত্র B.Sc বরাবর এমবিবিএস অন্তর্ভুক্তি. নার্সিং ডিগ্রি ভর্তির জন্য এই কোর্সের জন্য ভর্তি করানো হবে।

এই সার্টিফিকেট কোর্সটি হবে ৬ মাস

‘ ভূত বিদ্যা কোর্স ‘ বলতে আর শুনতে একটু অদ্ভুদ মনে হলেও কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে যোগ দিতে হচ্ছে। আয়ুর্বেদ অনুষঙ্গেও থাকবে ভূত বিদ্যা অর্থাৎ বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণা। ছ ‘ মাসের সার্টিফিকেট কোর্স শুরু হবে নতুন বছরের জানুয়ারি মাস থেকে। প্রত্যন্ত গ্রামে সাধারণত মানুষ সাইকোসোমম্যাটিক, অর্থাৎ মানসিক অসুখকে ভূতের প্রভাব বলে অনুমান করে।

এই কুসংস্কারকে দূর করতে বজলু-এ অক্টা আয়ুর্বেদের আটটি শাখার একটি করে হোম মেডিসিন অর্থাৎ সার্টিফিকেট কোর্স শুরু হবে। যে ছাত্ররা এখান থেকে শংসাপত্র পেয়েছে, তারা সমাজে চর্চা করবে এবং বিজ্ঞানের সঙ্গে প্রাচীন চিকিৎসা ব্যবস্থাকে যুক্ত করে এই ধরনের রোগীদের চিকিৎসা করে, ভূত, গ্রহ ইত্যাদি সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা দূর করার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মনের কথা।

ভূতের পড়াশোনা নিয়ে বব্বরের যুক্তি

বনগাঁয় হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় ভূত নিয়ে পড়াশোনা নিয়ে তর্কাতর্কি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, ভৌতিক বিজ্ঞান আশটাকরা আয়ুর্বেদের অঙ্গ। অষ্টভুজা আয়ুর্বেদ আটটি ব্রোচেস আছে যা মহর্ষি চার্নক তাঁর বইয়ে লিখেছেন। এই ৮টি পাঠের মধ্যে দিয়ে আমাদের ৫টি রেগুলেটরি কাউন্সিল সেন্ট্রাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ান মেডিসিন ৫-এর উপরে নিয়ে গিয়ে ১৫ হাজার করে দিয়েছে। তিনি এলোপাতাড়ি বিভাগকে ১৫ হাজার কপি করলেও মৌলিক ৮টি বিভাগের তিনজনকে একই ভাবে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ভূত বিজ্ঞান মানে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে রোগ পরীক্ষার জন্য দশম টেস্টটি এমন একটি প্রক্রিয়া, যার পর চিকিৎসক রোগীকে চিহ্নিত করেন, কিন্তু যখন কোনও রোগ থাকে, তখন তাকে ঘোস্তাবিদ্যা পরিয়ে দেন মহর্ষি চার্নক। বেদ-এ আছে যে, তিন জনেরই থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে।