দেওয়ান হাউজিং ফিন্যান্স কর্প লিমিটেডের আস্তানা থেকে অভিযান চালিয়েছে ইডি । আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ ইকবাল মির্চির এই মামলা অর্থ পাচার সংক্রান্ত ।
ডিএইচএফএল-কে উত্ত্যক্ত করে রিয়েল এস্টেট সংস্থা 2,186 কোটি টাকা, দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ ইকবাল মির্চির কাছে টাকা ট্রান্সফার
ঋণের বোঝা নিয়ন্ত্রণে দেওয়ান হাউজিং ফিনান্স কোম্পানি দেওয়ান হাউজিং ফিন্যান্স কর্প লিমিটেডের (ডিএইচএফএল) আস্তানা থেকে অভিযান চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) । মুম্বইয়ের ডিএইচএফএল-এর বিভিন্ন লোকেশনে এই অভিযান চালানো হয় ।
ডিএইচএফএল-এ চার্জ কী?
অভিযোগ, ডিএইচএফএল-এর সানব্লাঙ্কস রিয়েল এস্টেট সংস্থার সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র রয়েছে । এ অনুযায়ী ডিএইচএফএল রিয়েল এস্টেট কোম্পানিকে 2,186 কোটি টাকা দিয়েছিল । আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ ইকবাল মির্চির কাছে এই ঋণ স্থানান্তর করা হয় । এ ক্ষেত্রে সানলিংক রিয়েল এস্টেট নিয়েও তদন্ত চলছে । তবে, নথি ও অন্যান্য প্রমাণের ভিত্তিতে তথ্যপ্রমাণ খুঁজছে ইডি ।
ইডি-র তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, মিরচি, রাবিয়া মানশান, মরিয়ম লজ এবং সি ভিউ-এর সঙ্গে যুক্ত তিনটি সম্পত্তির জন্য সানমিট ডিএইচএফএল থেকে 2,186 কোটি টাকা ধার নিয়েছিলেন । ইডি-র একটি নথি অনুযায়ী, “অভিযুক্ত (রঞ্জিত বিন্দ্রা) দালাল হিসেবে এই তিন বিশিষ্টকে নিয়ে লন্ডনে ইকবাল মির্চির সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেন । ব্রোকারের এই কথোপকথন ছিল সানমিট রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের পক্ষ থেকে । “
খুন, খুনের চেষ্টা, চাঁদাবাজি ও মাদক পাচার-সহ কয়েক ডজন মামলায় চেয়েছিলেন মেমন ইকবাল ওরফে ইকবাল মির্চি । 1993 মুম্বই ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণে সে-ও অভিযুক্ত ছিল না । 2013 সালে ইকবাল মারা যান ।
জুন ত্রৈমাসিকে হারতে হল কোম্পানিকে ।
ইডি-র বলিষ্ঠতা এমন সময়ে উঠেছে যখন সম্প্রতি ডিএইচএফএল চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকের শেষ জুনের ফলাফল ঘোষণা করেছে । জুন ত্রৈমাসিকে সংস্থার লোকসান 242.48 কোটি টাকা । এর ফলে আগের আর্থিক বছরের এপ্রিল-জুন মেয়াদে নিট মুনাফা 431.71 কোটি টাকা । সমীক্ষা চলাকালীন সংস্থার মোট রাজস্ব 2,399.84 কোটি টাকা কমেছে । আগের অর্থবর্ষের একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল 3,154.25 কোটি টাকা ।
গত অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধের পর থেকে তীব্র আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ডিএইচএফএল । 2019 ফেব্রুয়ারি থেকে ধারাবাহিকভাবে নেমে আসছে কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং ।