বিশ্বের বৃহত্তম তেল সংস্থার দুটি প্লান্টে ড্রোন হামলা চালিয়েছে সৌদি আরব । তখন প্রচণ্ড আগুন লেগেছে । ঘটনার একটি ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, হামলা এলাকা থেকে আগুন ও ধোঁয়া বাড়ছে । এ পর্যন্ত হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি ।
বরং সৌদি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে বলেছে, তেল কোম্পানি সৌদি আরামকোর দুটি তেলচারা শনিবার ভোরে ড্রোনের মাধ্যমে হামলা চালায় । এই উভয় তেলগাছ আবকাক ও খুরমত অঞ্চলে অবস্থিত । হামলায় প্রায় ১০টি ড্রোন পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ।
সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, ‘ অ্যারামকো ‘ র শিল্প নিরাপত্তা দল আবেক ও খুরমত প্লান্টে ড্রোন হামলায় সৃষ্ট আগুনের সঙ্গে সমঝোতা শুরু করে এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে ।
সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় তেল কোম্পানিতে ড্রোন হামলা, ব্যাপক অগ্নিকাণ্ড
এই হামলায় কতজন মানুষ আহত হয়েছেন এবং কীভাবে এর মোকাবিলা করা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয় । প্ল্যান্ট ফায়ার-এর একটি পোস্ট ফায়ার ভিডিও অবশ্যই ভাইরাল হলেও শুধু ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে । ড্রোন হামলার পর উভয় প্লান্টে আগুনের ঘটনা ঘটেছে ।
সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় তেল কোম্পানিতে ড্রোন হামলা, ব্যাপক অগ্নিকাণ্ড
হামলার পর এর চুক্তি নিয়ে সৌদি তেল কোম্পানি ও কিছু দেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে । আরামকো হলো সৌদি আরবের জাতীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি এবং রাজস্বের ক্ষেত্রে বিশ্বের বৃহত্তম তেল কোম্পানি ।
গত কয়েক মাসে হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী সৌদি আরবে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা নিয়ে বেশ কিছু লক্ষ্যবস্তুকে আক্রমণ করেছে । গত মাসে তেল সংস্থা আরামকোর ন্যাচারাল গ্যাস সেন্টারও আক্রান্ত হয় । হামলা চালানো হয় হুথি আউটফিটে ।
সৌদি আরবের তেল সংস্থা আরামকো অতীতেও সন্ত্রাসবাদীদের নিশানা করেছে । 2006 সালে আল-কায়েদা যে কোম্পানিতে থাওয়ারটেড ছিল, সেখানে আত্মঘাতী হামলার চেষ্টা করে ।