দীপাবলির এই ১০টি ব্যবস্থা আপনার ভাগ্যকে উজ্জ্বল করবে

Diwali Poojan 2019 Special vidhi in bengali
Diwali Poojan 2019 Special vidhi in bengali

দিওয়ালিতে নেওয়া হবে বিশেষ ব্যবস্থা:

১. ধনতেরাস: ‘ স্কন্দা পুরাণ ‘-এ এসে যে অকাল বোধন হয়, তা মৃত্যুর বাইরে চলে যায় । ধনতারগ্যয় ধন, শান্তি ও অন্তঃপ্রেমের বাইরে লক্ষ্মী আরাধনা । ঈশ্বরের প্রাপ্তি-এ যে ধনসম্পদ, নারায়ণের শিথিলতার কাজে আসে, কোনও ব্যক্তিকে দুর্ভিক্ষের দিকে নিয়ে যায়, দুর্ভিক্ষের মানুষটির কাছে তা টাকা-পয়সা, তা সে গরুর টাকা হোক, গাইজাহান, বুদ্ধিবৃত্তির বা জনগণের যোগাযোগের অর্থ ।

২. দীপাবলির দিন সারারাত যে দগ্ধ ঘি দেওয়া হয় তা সূর্যোদয় পর্যন্ত শুভ বলে বিবেচিত হয় ।

৩. দীপাবলির দিন রুপোর বাটিতে কর্পূর জ্বালালে, পরিবারের তিন রকম তাপমাত্রার থেকে তা রক্ষা পেত ।
৪. পেপ্ডাল গাছের নিচে প্রতিটি আমভাসায়া (ও একই সঙ্গে দিওয়ালি) পোড়ানোর ফলে পিতা ও দেবতার আনন্দ হয় এবং ভালো আত্মা বাড়িতে মাকে নিয়ে যায় ।
নতুন বছরে (দীপাবলির পরের দিন) গরুর খুর মাটি থেকে বা তুলসীজির মাটি থেকে তিলক, সবেতেই শান্তি ও প্রশান্তি স্থান পাবে ।
দীপাবলির সন্ধ্যায় অশোক গাছের নীচে ঘি বাতি জ্বালালে তা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয় ।
৭ নরকা চতুর্দশী: কালী চৌরাস, কালকলীত্রী রাতে প্রার্থীদের তপস্যা ও সম্মোহিত করার সুযোগ । এই রাতে জাগলিং এবং জপ করতে সাহায্য করুন পরমসত্ত্বাকে ক্ষমতা গ্রহণ করতে ।
৮. দীপাবলির সকালে তেল দিয়ে মাসাজ করে স্নান সেরে নিন । নারক চতুর্দশী (কালী চৌধুরাস)-এর দিনে সূর্যোদয়ের আগে উঠে স্নান সেরে তেল-ম্যাসাজ করে নিয়ে যাওয়ার আইন রয়েছে । সনৎকুমার সংহিতা এবং ধর্মেন্দু-র কাজ অনুযায়ী, তা নারকীয় অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা করে ।

৯. দীপাবলির দিন ডান ও বাম দিকে ছোট গাদা গম দিয়ে বাড়ির মূল দরজায় হালকা দু ‘ টি প্রদীপ জ্বালান । সম্ভব হলে তারা সারারাত জ্বালিয়ে রাখে, এর ফলে আপনার বাড়িতে সুখের ধন বৃদ্ধি পাবে ।
১০. অশোকের বৃক্ষ ও নিম পাতার একটি প্যাথলজিক্যাল শক্তি রয়েছে । নিম, আম, অশোক ইত্যাদির টোনা (ব্যান্ডআনোয়ার) জুটি প্রবেশ করে চলে যায় একজন মার্শাল ।

দিওয়ালিতে ৪টি কাজ করতে হয়:

1 1 ঘর থেকে আবর্জনা অপসারণ করা হয়; যারা বিষাদ, উদ্বেগ, ভয়, বিষাদ, ঘৃণা, এমন হীনম্মন্যতা তৈরি করে – নিম্নভাব, নিম্নভাবের আলোক চিন্তা ।
২ দ্বিতীয়ত, নতুন কোনও জিনিস আনতে গেলে শান্তি, স্নেহ, মঙ্গল ও সুর তৈরি করুন ।
৩ তৃতীয়ত, প্রদীপ জ্বালানো হয়, অর্থাৎ জ্ঞানের আলোকে যা-ই করুন না কেন । আপনি কাজ করতে এসেছেন, রাগ, উদ্বেগ, ভয় এসেছে, কিন্তু যখন এসেছেন, তখন আপনার আত্মআলোকে দেখুন, তা না হলে আলো জাগ্রত হবে । আপনি কিছুক্ষণ পরিস্থিতি সঙ্গে সঙ্গে পেতে পারেন, কিন্তু পরিস্থিতি আপনাকে আটকে রাখে না, আকৃষ্ট করে না ।
৪চতুর্থ কাজ, মিষ্টি, খাওয়া ও খাওয়াদাওয়া, অর্থাৎ আমাদের খুশি থাকা এবং সুখ ভাগ করা উচিত । টুপি চিবিয়ে খাওয়ার বদলে খেতের-খাবার খাওয়ানোর কথা ভাবলেই মনের মধ্যে মাধুর্য থাকবে ।