সাংসদ: বিজেপি গদগদ, শিবরাজের লক্ষ্য কংগ্রেসকে নিয়ে দিগ্বিজয় সিংহের ভাইয়ের বক্তব্য

Digvijay singh brother laxman singh disputed statement
Digvijay singh brother laxman singh disputed statement

কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংয়ের ভাই তথা দলের বিধায়ক লক্ষ্মণ সিং রাহুল গান্ধীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন । তিনি বলেছিলেন, ১০ দিনে কৃষকদের ঋণ মকুব করার বক্তব্যের জন্য রাহুল গান্ধীর ক্ষমা চাওয়া উচিত ।

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ঘামানভোপাল থেকে কংগ্রেস হয়ে বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞাকে একহাত নিয়েছেন ।

মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংহের ভাই তথা কংগ্রেস বিধায়ক লক্ষ্মণ সিংহের বক্তব্য, রাহুল গাঁধী বিরোধীদের বিজেপি-তে সঞ্জীইভানি দিয়েছেন । প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান থেকে ভোপালের সাংসদ সাধ্বী পরাজ্যসভা সিং ঠাকুর ও অন্যান্য বিজেপি নেতা-নেত্রীদের নিয়ে কংগ্রেস গর্জে উঠেছে ।

লক্ষ্মণ সিংয়ের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শিবরাজ সিং চৌহান বলেন, আমরা আগেই বলে ছিলাম, কংগ্রেস মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে । ১০ দিনের মধ্যে ঋণ মকুবের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, আজ ১০ মাস হয়ে গেল ঋণ মাফ হয়নি । কৃষকরা বিচলিত, পুরো ব্যবস্থাটাই বিপর্যস্ত । রাহুলজি, কমল নাথজি, আপনি ধ্বংস করে মধ্যপ্রদেশের কৃষককে ধ্বংস করে তাঁকে কোথাও ছেড়ে গেলেন না ।

হামলার সুযোগ পায় বিজেপি ।

অন্য দিকে, ভোপাল থেকে সাংসদ সাধ্বী পরাজ্যসভা ঠাকুরও লক্ষ্মণ সিংহের বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘ ‘ কংগ্রেসের আমলেও যাদের আত্মা আছে, কারণ আত্মা কখনও মিথ্যা বলে না এবং যাদের আত্মা আছে তারা সত্যের কথা বলবে, যাই ঘটুক না কেন । ‘ ‘ সময় এসে গেছে, সবাই তাদের পাপের কথা বলবে এবং যারা শুদ্ধ আত্মা তারা কথা বলবে এবং তাদের সবার মুখ থেকে সত্য বেরিয়ে আসবে ।

বিজেপি মুখপাত্র রজতাভ আগরওয়াল বলেন, ‘ মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকারের ভিত মিথ্যে এবং মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকারের খুব একটা আশা নেই ৷ ‘ তিনি বলেন, সরকারি কোষাগার ফাঁকা হওয়ায় সরকার প্রতিনিয়ত ঋণ নিয়ে ঘি পান করছে ৷ । কিন্তু, একের পর এক, লাভজনক প্রতিশ্রুতি তৈরি করে মানুষকে ঠকানো হচ্ছে, তা খোলসা করেছেন লক্ষ্মণ সিংহ ।

কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংয়ের ভাই তথা দলের বিধায়ক লক্ষ্মণ সিং রাহুল গান্ধীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন । তিনি বলেছিলেন, ১০ দিনে কৃষকদের ঋণ মকুব করার বক্তব্যের জন্য রাহুল গান্ধীর ক্ষমা চাওয়া উচিত । ক্ষমা চাওয়ার মধ্যে কোনও ভুল নেই, রাজ্যে বড় আর্থিক সঙ্কট রয়েছে ।