জন্মদিন: এখন এত কিছু বদলেছে ‘ দামিনী ‘ অভিনেতা মীনাক্ষী শেষাদ্রি, এটা চিহ্নিত করা কঠিন

Damini Actress Meenakshi look change can't be understand
Damini Actress Meenakshi look change can't be understand

বলিউডের সুন্দরী অভিনেতা মীনাক্ষী শেষাদ্রি আজ জন্মদিন পালন করেছেন । মাত্র ১৮ বছর বয়সেই সে মুভিটিতে এসে সুপারহিট হয়ে যায় । ১৫ বছর ধরে সিলভার স্ক্রিনে চমকে দিচ্ছিল এই ‘ দামিনী ‘ র ফ্ল্যাশগুলো । স্বামী ও সন্তানদের সঙ্গে একটি পাঠে থাকেন এই চলচ্চিত্র অভিনেত্রী । মীনাক্ষী-র লুক-এও অনেক পরিবর্তন এসেছে । এক নজরে তাদের চিহ্নিত করাও কঠিন হতে পারে । তাঁর নৃত্য ছিল তাঁর অভিনয়ের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী দিক, যা প্রতিটি ছবিতেই বেরিয়ে এসেছিল । বলিউডের সবচেয়ে সুন্দর ধ্রুপদী নৃত্যরত এওরটেশন-এর মধ্যে গণ্য হয় তারা ।

১৭-র মীনাক্ষী দেশের কনিষ্ঠতম মিস ইন্ডিয়া নির্বাচিত হন । সেই সময় তাঁর নাম ছিল শশীকলা সেহাদ্রি । তিনি দেখেছেন অনেক আপ ও ডাউন নিজেকে ইন্ডাস্ট্রিতে রাখতে । এখানে তার জীবনের ১০টি বিষয় তুলে ধরা হলো…

১. একটি সংবাদপত্রে তাঁর ছবি দেখে মনোজ কুমার ঠিক করেছিলেন, তাঁর ছবি ‘ চিত্রশিল্পী বাবু ‘ র নায়িকারা সেখানে থাকবেন এবং মীনাক্ষী ছবির যাত্রা শুরু করেছিলেন স্ক্রিন টেস্ট ছাড়াই । সেখানে তাঁর নামে শুধু সামান্য বটগাছটি ছিল বলে আগেই ইন্ডাস্ট্রিতে উপস্থিত ছিলেন শশীকলা নামের ওই অভিনেত্রী । পরে নাম জড়ায় মীনাক্ষী শেষাদ্রি-র ।

২. ‘ চিত্রশিল্পী বাবু ‘ ফ্লপড খারাপভাবে এবং মীনাক্ষী শেষাদ্রী-র হিন্দি সিনেমা বন্ধ হয়ে যায় । সব মিলিয়ে বলিউড ছেড়ে মন দিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু একই সঙ্গে শোভন সুভাষ ঘাই তাঁর ছবি ‘ হিরো ‘ র জন্য নায়িকার খোঁজ করছিলেন । তাঁর খোঁজ করতেই মীনাক্ষী এসে শুয়ে পড়লেন । কিন্তু তাঁর যাত্রা বন্ধ করতে চেয়েছিলেন বলেই মীনাক্ষী সেলিব্রেট করা সহজ ছিল না ।

৩. সুভাষ ঘাই-এর বড় মিনিট পর মীনাক্ষী মানন ও জ্যাকি শ্রফের পোসেট ‘ হিরো ‘ ছবিতে দেখা যায় তাঁকে । 1983-এ এসে সেই ছবিই প্রমাণ করল ব্লকবাস্টার । মীনাক্ষী শেষাদ্রী রাতারাতি তারকা হয়ে ওঠেন । সাফল্যের মাপকাঠিতে এমন কিছু ছিল, 32 বছর আগে ছবিটি আয় করেছে ১৩ কোটি রুপি । সেই সময় শুধু অমিতাভ বচ্চনের ছবিই এত আয় করতে পারে ।

৪. মীনাক্ষী শেষাদ্রী ও অমিতাভ বচ্চনের আসার বিষয়টিও পর্দায় বেশ ভালো লেগেছে । দু ‘ জনে একসঙ্গে কাজ করেন শঙ্খশাহ, ‘ গঙ্গা যমুনা সরস্বতী ‘, ‘ ঝড় ‘ ও ‘ নিঃসঙ্গ ‘ । আশির দশকে শ্রীদেবীর স্টারডমের হিট এই একাকী নায়িকারই হয়ে ওঠেন মীনাক্ষী ।

৫. স্টারডমের সেই যুগে মীনাক্ষী একজন পরিচালকের বিদায়ের ভয় পেতেন । 1990 সালে মীনাক্ষী অভিনীত ‘ আহত ‘ ছবির পরিচালক রাজকুমার সন্তোষী তাঁর নায়িকার প্রেমে পড়েছিলেন । রাজকুমার সন্তোষী বেশ কিছু ছবিতে হিরোইন হিসেবে মীনাক্ষী সই করেছেন বলে জানা গিয়েছে । সন্তোষবাবু একদিন প্রেম প্রকাশ করলে মীনাক্ষী ছবি নিবেদন করার রহস্য খোলা থাকল । যদিও মীনাক্ষী সন্তোষী ম্যাশ না করে তাঁর ছবিতে কাজ চালিয়ে যান ।

৬. মীনাক্ষী শেষাদ্রী দামিনী, মেরী জাং, অবিশ্বাসের, বাড়ির পরিবার, অপরাধ, প্রাণঘাতী ও প্রবেশপথে প্রশংসিত হয়েছিল বহু ছবিতে তাঁদের শক্তিশালী অভিনয় । বলা হয়, 1996 ছবি ‘ প্রাণঘাতী ‘-র সময় তাঁকে প্রথম বার ভালবেসে ফেলেছেন তিনি । বলা হয়, ফিল্মি পার্টিতে এক বন্ধু মীনাক্ষী পরিচয় দিয়েছিলেন কারও কাছে । অচেনা সেরা হয়ে উঠলেন মীনাক্ষী । 1996 নাগাদ মীনাক্ষী বলিউডে গিয়ে বুঝেছিলাম ।

৭. মীনাক্ষী, যিনি আসলে নিজেকে অন্য নায়িকার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা বলে বর্ণনা করেন, তিনি একটি সত্যকে আড়াল করার চেষ্টা করছিলেন । সেটাই সত্যি হল মীনাক্ষী-র বিয়ে । মীনাক্ষী জানান, 1995 সালে মার্কিন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার হরিশ মহীন্দ্রার সঙ্গে গোপনে বিয়ে হয় তাঁর । তার পরিবারও তা জানতে পারেনি ।

৮. বিয়ের পরেও মীনাক্ষী ফিল্মে কাজ করতে থাকলেন, কিন্তু লিমআপের রিপোর্টেও বিরক্ত । বিয়ের খবর সবার জানা হওয়ার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসতি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন । মীনাক্ষী মুম্বই ছেড়ে টেক্সাসে চলে গেলেও চলচ্চিত্র জগতের দিকে কখনও নজর দেননি । তাঁর শেষ ছবি ছিল ‘ দো রহো ‘ যা তাঁর শেষ ছবি ছিল এবং মুক্তি পায়নি ।

৯. ধানবাদ (ঝাড়খণ্ড)-এর সিনাদ্রি-তে একটি তামিল পরিবারে জন্মানো মীনাক্ষী শেষাদ্রি, পালি-পঠিত, মুম্বইয়ের মুম্বই এবং তারপর বিয়ে করে আমেরিকায় চলে যান । কিন্তু বিদেশে বসবাস করা সত্ত্বেও নাচের প্রতি তাঁর আবেগ অক্ষুণ্ণ থাকে । তিনি টেক্সাসের একটি ডান্স ট্রেনিং স্কুল খুলেছেন ।

১০. সম্প্রতি তাঁর কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় যার পর তিনি লাইমলাইটে চলে আসেন । তবে তাঁর চেহারা অনেকটাই বদলেছে এবং বয়সের প্রভাব দেখা যাচ্ছে তাঁর মুখে ।