প্রবাল রত্ন পরলে কী কী উপকার মেলে

Coral gem stone sepcial benefits in bengali
Coral gem stone sepcial benefits in bengali

ইংরেজি ভাষায় এর নাম প্রবাল । এই হল মঙ্গলের রত্ন । এটি সাগরে অরণ্য হিসেবে পাওয়া যায় । লতা-র মতো হয়ে গেলে প্রাচীন সময়েও লতামণি বলা হত । প্রমাণ আছে, কয়েকশ বছর আগে ফরাসিরা প্রবাল আহরণের কাজ শুরু করেছিল । এরপর আঠারো শতকে এটি আহরণ করে ইতালিতে বাণিজ্য হিসেবেও বিক্রি করা হয় ।

প্রবাল রত্ন প্রাকৃতিক সহজলভ্যতা
মুক্তোর মতো তা সমুদ্রে নিজেও পাওয়া যায় । স্বাভাবিক ভাবে তা যত বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে তার চাহিদাও তত দ্রুত বাড়ছে ।
বরং বিশেষ ধরনের প্রাণীদের দ্বারা সমুদ্রে প্রবাল উৎপন্ন হয় । এই প্রাণীগুলো তাদের থাকার জন্য নিজেদের লাল রঙের লাসা পদার্থগুলো সরিয়ে প্রবাল বৃহৎ উপনিবেশ তৈরি করে । একেই ইংরেজিতে বলা হয় ‘ কোরাল রিফ ‘ ।
এখান থেকে তারা লম্বা ডালপালা হিসেবে পায় এবং তারপর সেটিকে ছোট আকারের করে কেটে রত্ন হিসেবে পরা হয় । এটি স্বাভাবিকভাবেই লাল, ভেন্দোরি এবং গৈরিক রঙে পাওয়া যায় ।
বিজ্ঞান ও প্রবাল রত্ন
প্রবাল অন্যান্য রত্নের মতো রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে তৈরি হয় না, এটা অরণ্যস্বামী । তাই বন বিজ্ঞানে পড়াশোনা হয় । জল থেকে বেরিয়ে আসার পর বাতাসের সংস্পর্শে তা হার্ডস করে । এর ঘনত্ব প্রায় 2.65 এবং কঠোরতা 3.5 থেকে 4.
কৃত্রিম প্রবাল
খুব সুন্দর রত্ন, তাই আজকাল খুব দ্রুত ফ্যাশন জুয়েলারি হিসেবেও ব্যবহার করা হয় । সেমি-প্রিসিয়াস টোন থাকায় অন্যান্য লাল পাথর গহনার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয় । বেশি মুনাফার জন্য কিছু মানুষ এমন প্রবাল-সদৃশ পাথর প্রবাল হিসেবে বিক্রি করে ।
প্রবাল রত্ন বৈশিষ্ট্য

এটি একটি চকচকে রত্ন এবং খুবই মসৃণ । উচ্চ সম্পদের কারণে গড় ওজন আরও বেশি । মঙ্গলের রত্ন যখন হালকা হয়, তখন ভেডোরি রঙের আভা দেখা দেয় ।
• ইয়োতিশ ও প্রবাল রত্ন উপকারিতা

জন্মকুণ্ডলীতে মঙ্গল নিষ্ঠুর, হীন বা ফলপ্রসূ হলে তার খারাপ ফল এড়ানোর জন্য প্রবাল ধারণ করে । • ইয়োতিশ-এ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রবাল যদি শুদ্ধ ও ভাল জায়গা হয়, তাহলে ধরে রাখা মন বেজায় খুশি । শিশু প্রবাল হলে তার পেটে ব্যথা ও খরা (অপুষ্টি) রোগ হয় না । জন্মের সময় যদি রবি ১৫ নভেম্বর থেকে ১৪ই ডিসেম্বরের মধ্যে মেষ বা জন্মছকে থাকে, তাহলে এই ধরনের মানুষকে প্রবাল আত্মসাৎ করতে হবে । কুণ্ডলী অবস্থায় নিম্নলিখিত অবস্থা থাকলে প্রবাল আত্মসাৎ করার পরামর্শ দেওয়া হয় ।

যদি মঙ্গলের কুণ্ডলী রাহু বা শনিদেবের সঙ্গে কোথাও অবস্থিত হয় তাহলে প্রবাল পরা খুবই উপকারী ।
মঙ্গল যদি প্রথম অর্থে হয় তাহলেও প্রবাল আত্মসাৎ করা খুবই উপকারী ।
মঙ্গল যদি কুণ্ডলী পাকিয়ে তৃতীয় অর্থে থাকে, তা হলে ভাইবোনের সঙ্গে একটা চিহ্ন তৈরি করে । প্রবাল আত্মসাৎ করা উপকারী এবং ভাইবোনের মধ্যে ভালবাসা আছে ।
চতুর্থ অর্থে মঙ্গলের সম্পদ স্ত্রী-র স্বাস্থ্য । এই পরিস্থিতিতে প্রবাল ধারণ করে স্বামীদের সুস্থ রাখে ।
মঙ্গল সপ্তম ও দোডেকশের মধ্যে বসে অশুভ ফ্যাক্টর । এটা জীবন সঙ্গীকে বাড়িয়ে দেয় তাদের সঙ্গে লড়াই করে । এই পরিস্থিতিতে প্রবাল পরা অনেক উপকার দেয় ।
জন্মকুণ্ডলীতে ধনেশ মঙ্গল যদি নবম অর্থে হয়, সেই অর্থে কোয়ার্শ মঙ্গল হলে বা পঞ্চম অর্থে মঙ্গলের স্বামীজী দ্বাদশ অর্থে, প্রবাল পরিধান করা খুবই উপকারী ।
কুণ্ডলী পাকিয়ে নবম ইন্দ্রিয়-এর মালিক যদি চতুর্থ স্থানে থাকে বা দশম ইন্দ্রিয় মালিক পঞ্চম ও ষষ্ঠ অর্থে থাকে, তা হলে প্রবাল পরা ভাল ।
কুণ্ডলী পাকিয়ে কোথাও বসে মঙ্গল যদি সপ্তম, দশম ও দশম বোধের দিকে তাকিয়ে থাকে, তা হলে প্রবাল আত্মসাৎ করা উপকারী ।
মেষ বা ব্রিটানমো লগ্নের মঙ্গল যদি ষষ্ঠ অর্থে হয়, দশম অর্থে পঞ্চেশ মঙ্গল, সপ্তম অর্থে ধনেশ মঙ্গল, কোয়ার্মার্স নবম অর্থে, স্থানে নবশ মঙ্গল, দোদেশের মধ্যে সপ্তেশ মঙ্গল, দ্বাদশ অর্থে দশেশ মঙ্গল বা চতুর্থ অর্থে দশম মঙ্গল, তখন প্রবাল আত্মসাৎ করা খুবই উপকারী ।
ষষ্ঠ, অষ্টম ও দ্বাদশ অর্থে মঙ্গল অবস্থান করলে প্রবাল ধারণ করা উপকারী ।
মঙ্গল সূর্যের উপর পড়লেও প্রবাল পরলে উপকার পাওয়া যায় ।
যদি মঙ্গল কুণ্ডলী পাকিয়ে চন্দ্রের সঙ্গে থাকে, তবে প্রবাল ধারণ করলে অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হয় ।
জন্মকুণ্ডলীতে মঙ্গল ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় ও অষ্টম ইন্দ্রিয়-এর মালিকের সঙ্গে বসে বা এই গ্রহগুলি মঙ্গলে থাকলে প্রবাল আত্মসাৎ করা উপকারী ।
মঙ্গল যদি কুণ্ডলী পাকিয়ে থাকে, প্রথম অর্থে চাঁদগা, চাঁদগা পরা এড়ানো যায় ।
মঙ্গল জন্মকুণ্ডলীতে শুভ অভিব্যক্তির মালিক হলেও শত্রু গ্রহ বা অশুভ গ্রহ নিয়ে বসে থাকলে তার সুপ্রভাবের ক্ষমতা দিতে চাঁদগা ধারণ করা উচিত ।

প্রবাল ব্যবহার
প্রবাল একটি সোনার আংটিতে অধিষ্ঠিত । যদি অর্থনৈতিক কারণে সোনার আংটি কেনা সম্ভব না হয়, তা হলে রুপোর বা তামার আংটিতে সামান্য সোনা মিশিয়ে ধরে রাখা যায় । প্রবাল ন্যূনতম ওজন ৬ রত্ন হওয়া উচিত ।