অসম: ক্যাব নিয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত, সব ট্রেন বাতিল

Citizenship Amendment Bill protest in Assam

গুয়াহাটি নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলের (ক্যাব) বিরুদ্ধে আসামে বিক্ষোভ ও সহিংসতার কারণে বেশ কিছু এলাকায় কারফিউ ও প্রবিকতা আদেশ জারি রয়েছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও জনগণের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। রাজধানী গুয়াহাটি সহ কয়েকটি এলাকার পরিস্থিতি উত্তেজনাকর হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এসব এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ চলছে।

গত দু ‘ দিন ধরে রাজধানী গুয়াহাটিতে কারফিউ-এর মাঝে সংবেদনশীল এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনকে সাহায্য করার জন্য সেনা কর্মীরাও মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার টানা তৃতীয় দিনের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবাও বিঘ্নিত হয়।

ক্যাবের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক আন্দোলনের কারণে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল গুয়াহাটি-ডিব্রুগড়ের মধ্যে চলাচল করা সব ট্রেন বাতিল করে দিয়েছে। সব ইন্টারসিটি ট্রেন, বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেন এবং বেশ কিছু স্বল্প দূরত্বের ট্রেনও বাতিল করা হয়েছে।

গুয়াহাটিতে হিংসাত্মক বিক্ষোভের সময় পুলিশের গুলিতেই তিন ব্যক্তি নিহত হন। এর প্রতিবাদে আন্দোলনকারীরা বেশ কিছু রাস্তা অবরোধ করেন। গত কাল সন্ধ্যা পর্যন্ত পূর্ব অসমের তিনসুকিয়া ও ডিব্রুগড় জেলায় অন্তর্ঘাত ও হিংসার ঘটনা ঘটেছিল।

আজ সকাল থেকে গোটা রাজ্যেই পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ থেকেছে। এ পর্যন্ত কোথাও থেকে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। গুয়াহাটিতে সহিংস বিক্ষোভ, অন্তর্ঘাত ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর ১১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে কারফিউ জারি করা হয়েছে। কারফিউ সত্ত্বেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে শুক্রবার সকালে লোকজন বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। বেশ কিছু দোকান ও পেট্রোল পাম্প খোলা ইডি খোলা ছিল যেখানে মানুষের লম্বা লাইন ছিল।

শুক্রবার সকালে কোনো কোনো স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে লোকজন রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করলেও এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গেছে।
অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (এআইইউ) ক্রমাগত সিএবি-র বিরোধিতা করছে এবং শুক্রবার সকাল থেকে চাবরি ময়দানে ১০ ঘণ্টার গণঅনশন শুরু করেছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকেও সমর্থন পাচ্ছে এআসু। কারফিউ লঙ্ঘন করে গতকাল লাটাহিল ময়দানে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করেছিল আসু।

ডিব্রুগড়ে শুক্রবার এক বেলা থেকে পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয় যাতে মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ফেরাতে পারে। রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত তেজপুর ও ঢেকিজুলির থানা এলাকাতেও কারফিউ শিথিল করা হয়।

স্থানীয় প্রশাসনকে সাহায্য করতে হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকায় সেনা জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়। সেনা জওয়ানরাও কিছু কিছু এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা উন্নয়নে নিয়োজিত।

সংসদের উভয় কক্ষেই পাশ হওয়া ক্যাব বিল অনুযায়ী, ৩১ শে ডিসেম্বর 2014-এর আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে হিন্দু, পারসি, শিখ, জৈন, বৈদ্যা ও খ্রিস্টান সমাজের মানুষদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের বিধান রয়েছে এবং এর বিরুদ্ধে উত্তর-পূর্বের প্রতিবাদে সরব হয়। রাজ্যের, বিশেষত অসম ও ত্রিপুরার মানুষ পারফর্ম করছেন।