বাইপোলার ডিসঅর্ডার কি?

Bipolar Disorder And Treatment in Bengali
Bipolar Disorder And Treatment in Bengali

বাইপোলার ডিসঅর্ডারের সিমটাস

অনেক সময় কিছু ছেলেমেয়ে হাসিখুশি ও সুখী জীবনযাপন করছে । তবে কোনও না কোনও সময় একটা অদ্ভুত পরিবর্তন স্পষ্ট হয়-যেন তারা সামান্যতম বা কখনও হতাশায় হারিয়ে যাওয়ার দিকে নারাজ । কোনও কিছুতে ঠিকমতো সাড়া না দিয়ে একই পদে নিজের মুখ ঝুলিয়ে যে কোনও সময় হেসে ফেলেন । এ ধরনের উদ্বেগ তাদের বাবা-মাকে অনেক বেশি টানে । কিন্তু এ ধরনের শিশুদের যদি মনোচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়, তবে তদন্তের পর তাদের অবস্থা নির্ণীত হতে পারে । মনোবিদরা ওই অসুস্থ শিশুদের পাশাপাশি অভিভাবকদের কাছ থেকে কিছু তথ্য খোঁজেন এবং এমন পরিস্থিতিতে বাইপোলার ডিজঅর্ডারের অবস্থা বেশি হয় । যার ফলে ঘটে যায় খুব অদ্ভুত ।

আসুন জেনে নেওয়া যাক, বাইপোলার ডিজঅর্ডার কী
বাইপোলার ডিজঅর্ডার

এই রোগে রোগী সুখ-সমৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে অক্ষম । সুখ এত ইনেক্সপ্লিকাবলি কষ্টে থাকবে, তাহলেই ডুবে যাবে দুর্ভোগের সাগরে । এটি একধরনের অসূয়া যার মধ্যে রোগী অস্বাভাবিকভাবে আচরণ করে । তার একাগ্রতা একেবারে শেষ । তিনি কখনও মনে করেন, তিনি যদি কোনও অনুমান করেন তাহলে ডিপ্রেশন হয় । ঘুম থেকে সরে যায়, কারণ মস্তিষ্ক কাজ করা শুরু করে । চিন্তার গতি দ্রুততর হয় । এনার্জি লেভেল কখনও এত বেশি হয় যে তা দূর করার সঠিক উপায় থাকে না ।

তাই রাগের পাশাপাশি সে কখনো বিপদজনক কাজ করে না, তাই কখনোই রোদ্দুরের সাথে যোগ দেয় না । কারও সঙ্গে গুলিয়ে উঠতে, ধৈর্য দিতে । সব সময় বিভ্রান্তির মধ্যে থাকে, শেখানঝাল মাল্টিটাস্কিংয়ের পরিকল্পনা করার সময় চিন্তামগ্ন থাকে । কখনও অতিআত্মবিশ্বাসের অভিনয়, কখনও আবার হতাশা, গভীর হীন অনুভূতি । এই ধরনের অস্বাভাবিক আচরণ নিজেকে সমস্যার পাশাপাশি পারিবারিক জীবনেও রাখে । তখনই ডিভোর্সের কারণে রোগী আত্মহত্যা করেন । যে অনেক সময় এমনকি সফল

কেন বাইপোলার ডিজঅর্ডার হয়

আজকের জীবনযাত্রা এই রোগকে এক বিরাট মাত্রায় দায়ী করতে পারে । ঋষিকে দুর্বল করা, খাদ্যে ভেজাল, দূষণের সঙ্গে আধুনিক জীবনের শ্বাসরোধ করা, হতাশার একমাত্র উপায় মস্তিষ্ককে স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়া । শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালে অস্বস্তি, ক্রোধ, জ্বালাতন, খিটখিটে মেজাজ, একই ভাবে তারা উঠে আসে । তবে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে অনেক সময় জিনগত কারণেও এই রোগ হতে পারে । এর আরেকটি কারণ হল জৈবরাসায়নিক, এটি মস্তিষ্কে নিউরোট্রান্সমিটারের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে, যার ফলে একজন ব্যক্তির মস্তিষ্ক বিরক্ত হয় । অনেক সময় জীবনে গভীর আঘাত সহ্য করতে না পারার কারণে, মেয়ে ও মহিলাদের মধ্যে নেশা এবং হরমোনের ভারসাম্যতার কারণেও বাইপোলার ডিজঅর্ডার হতে থাকে ।
বাইপোলার ব্যাধি চিকিত্সা
এই রোগের কোনও চিকিৎসা নেই, এই ধারণা তৈরি করা ভুল । এটি মানসিক এবং এটি মানসিকভাবে চিকিত্সা করা ভাল । এলোপাতাড়ি গুরুতর মামলায় সাহায্য করা যায় । যাই হোক, সবার অনুকূলে থাকা কিছু জিনিস বিশেষ নজর দিতে হয়-যেমন সব সময়ে বাড়িতে সুরেলা পরিবেশ, পারস্পরিক বিশ্বাস, খোলামেলা, ইতিবাচক চিন্তা, ছোট জিনিসে সুখ খোঁজার শিল্প । আপনার বাড়িতে বা আপনার আশেপাশের কেউ এই ধরনের রোগ থাকলে, তাদের পরামর্শ বা মনোচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান । কে তা যাচাই করতে পারবে এবং বুঝিয়ে দেবে কী চিকিৎসা করলে চিকিৎসা করা ভাল ।