‘ ভারত বনধ ‘-এর পক্ষে ও বিরোধিতায় অবতরণ করলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিকরা

bharat-bandh-veteran-politician-in-favor-and-opposition-on-strike

নয়াদিল্লি। সরকার ও বিজেপি আজ বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়নকে ‘ ভারত বনধ ‘ বলে অভিহিত করলেও কংগ্রেস তা সমর্থন করলেও তৃণমূল কংগ্রেস এই ধর্মঘটের নিন্দা করেছে এবং একে ‘ সস্তা জনপ্রিয়তা ‘ সংগ্রহের চেষ্টা বলে অভিহিত করেছে।

‘ ভারত বনধ ‘ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী তথা প্রবীণ বিজেপি নেতা প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, পিসাস-এ ডিসইনভেস্টমেন্ট-এর বিরুদ্ধে ট্রেড ইউনিয়নগুলির নিয়মিত প্রক্রিয়া যা বছরে একবার বা দু ‘ বার ঘটে।

প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ভারত বনধ সমর্থন করার সময় বলেন, মোদী সরকারের নীতিই হল সাধারণ মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে এবং দেশের ২৫ কোটি টাকারও বেশি কর্মী ধর্মঘটে সামিল হচ্ছেন।

টুইটে তিনি বলেন, মোদী সরকার সরকারি খাতের সংস্থাগুলিকে দুর্বল করছে এবং পুঁজিবাদী বন্ধুদের কাছে বিক্রি করছে। দেশের ২৫ কোটি শ্রমিক আজ ‘ ভারত বনধ ‘ করে সরকারের নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। আমি তাঁকে প্রণাম জানাই।

তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাম সমর্থকদের ধর্মঘট ইতিমধ্যেই জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। বনধ ও ধর্মঘটের মাধ্যমে বাম সমর্থকরা সস্তা জনপ্রিয়তা সংগ্রহ করে বাসে বোমা নিক্ষেপ করতে চায়। এ ভাবে ‘ রাজনৈতিক মৃত্যু ‘ জনপ্রিয়তা লাভ করার চেয়ে ভাল।

মিজ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সিপিআই (এম)-এর কোনও মতাদর্শ নেই। রেল লাইনে বোমা ফেলার ‘ বর্বরতা ‘। আন্দোলনের নামে যাত্রীদের মারধর ও পাথর নিক্ষেপ করা হচ্ছে। এই আন্দোলন ‘ দাদাগিরি ‘ নয়। আমি এর নিন্দা করছি।