মাইগ্রেনের ব্যথার ঘরোয়া প্রতিকার

ayurvedic treatment for migraine in bengali
ayurvedic treatment for migraine in bengali

মাইগ্রেনের ব্যথা গার্হস্থ্য চিকিত্সা – ঐতিহ্যগতভাবে মাথাব্যথা একতরফা, প্রচন্ড এবং তীব্র তীব্রতা মধ্যপন্থী । সাধারণত তা ধীরে আসে এবং শারীরিক কার্যকলাপের সঙ্গে বাড়ে । এই ব্যথা পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের জন্য বেশি । অনেক সময় মাইগ্রেন বা বৈষম্যতার ব্যথা কোনও বিশেষ সময়ে শুরু হয়, অন্তত দু ‘ ঘণ্টা বা দু ‘ দিন পর নিজেকে শেষ করে দেয় ।

মাইগ্রেনের কারণ
রোগের কারণ সম্পর্কে বিশেষ কিছু বলা যাবে না । কিন্তু কিছু বিশেষজ্ঞের অভিমত, এই ব্যথা মাথার রক্তের নালী শিরায় বিশেষ ধরনের জ্বালা দিয়ে শুরু হয় । এই রোগটিও জেনেটিক হতে পারে । সাইট্রাস ফল, চকলেট, পনির এবং অ্যালকোহল ইত্যাদি পান করলে বহু মানুষের যন্ত্রণা আরও বাড়ে । ঋতুস্রাব শুরু হলে অনেক সময়ে মহিলারাও ব্যথা সৃষ্টি করেন ।
মাইগ্রেনের লক্ষণ
মাথার একটা অংশে এই ব্যথা হয় । এই ব্যথা চোখ, বমিভাব এবং বমি ইত্যাদির দুর্বলতাও সম্পর্কিত । অনেক সময় রোগী মাথা পেতে শুরু করে । ফাইন্টার ছায়া পেতে শুরু করে চোখ, কান ও গালের চারপাশে তীব্র ব্যথা । চোখ থেকে জল বেরিয়ে আসে । নাক বন্ধ হয়ে যায় । কিছু ব্যক্তি অর্ধ মাথাব্যথা থেকেও অন্ধ হতে পারে । কিন্তু এমন সম্ভাবনা খুব কম মানুষের মধ্যে থাকে ।

মাইগ্রেনের চিকিত্সা

১. মাইগ্রেন রোগীর অন্ধকার নিয়ে ঘরে আরামে শুয়ে থাকা উচিত । যখন বেশি কষ্ট হয়, তখন অ্যাসপিরিন নেওয়া ইত্যাদি যন্ত্রণা শিথিল হয় ।

২. সকালে স্বদেশি ঘি হালকা আঁচে গরম করুন । যখন অলেনেবল অবস্থা, রোগীর সামান্য এবং দুই, চার বা চার ফোঁটা ক্লিন মেডিকএইড তুলো তার নাকের মধ্যে উন্নীত. রোগী বিশ্রাম পাবেন । এই কয়েক দিন করলেই এই রোগ চিরতরে দূর হয়ে যায় ।

৩. মাথার যে অংশে ব্যথা আছে তার প্রথমে ওই দিকের নাকের মধ্যে ঘি ড্রপ দিয়ে ক্ষরণ করা উচিত । গরম সরষের তেলও পাশে নাকের ডগায় রেখে বা ফুলে উঠলে ব্যথা থেকে মুক্ত হয় । পাঁচ-সাত দিন অন্তর ওই ব্যক্তি রোগমুক্ত হয়ে ওঠে ।

৪. বেঁটে রসুন মিহি করে মাথার পাশে ব্যথা প্রয়োগ করে ব্যথা দূর করে । দীর্ঘস্থায়ী রসুন ত্বকে ফোসকা সৃষ্টি করতে পারে । অতএব, লেভ নেওয়ার সময় সতর্ক থাকুন । পরিস্কার করার পর বোররোলিন বা মাখন ইত্যাদি প্রয়োগ করা উচিত ।

৫. রাতে ঘুমানোর সময় পায়ের তলপেটে মালিশ, বিশেষ করে মাঝের অংশে হঠাৎ মাথাব্যথা নিরাময় করে ।

৬. বেঁটে লবঙ্গ বা পুদিনা একটি ব্যথিত মন্দির মাথাব্যথা থেকে উপকার করে ।

৭. ঠান্ডা লাগার কারণে যদি মাথা, কপাল বা মন্দিরে ব্যথা হয়, তাহলে জায়ফল বেঁটে ও অ্যাপ্লাই করার জন্য উপকারী ।

  1. ছায়ায় শুকনো তুলসী পাতা মাগিং দ্বারা রোগীর দ্বারা মাথা ব্যথা এছাড়াও মাথাব্যথা শিথিল.

৯. মাথাব্যথা বা মাইগ্রেনের ব্যথায় মানুষ অনেক সময় মাথায় ব্যান্ডেজ বেঁধে দেয় । ব্যান্ডেজ বাঁধার আগে যদি মাথার হালকা ম্যাসাজ করা হয়, তা হলে অনেক শান্তি ।

১০. অনেক রোগীর মাথাব্যথা সূর্যের সঙ্গে ওঠানামা করে । সূর্যোদয়ের আগে গরম দুধে জলেবি খাওয়ানো হলে এ ধরনের রোগীরা লাভবান হন । সূর্যোদয়ের আগে দই, ভাত ও মিশ্রী দিয়ে অনেক রোগীকে খাওয়াতেও মাথাব্যথা নিরাময় হয় ।

১১. মাথাব্যথা রোগীরা নিয়মিত সকালে দেশী ঘি-তে মরিচ ও মিষ্টিশ্রী খান এবং লাভবান হন ।

১২. মধু অর্ধমাথাতেও উপকারী । হঠাৎ মাথাব্যথা হলে বমি হওয়ার ক্ষেত্রে মুখ পরিষ্কার করে দু ‘ চা চামচ মধু দিয়ে চেটে খেলে উপকার পাওয়া যায় ।

১৩. তুলসি পাতার গুঁড়া দিয়ে মধু মিশিয়ে সকাল-সন্ধ্যায় ব্যবহার করুন ।

১৪. শিম পাতা হালকা গরম করে মাথার অংশ ব্যথা উপশমে প্রয়োগ করলে উপকার পাওয়া যায় ।

১৫. কয়লা বা জিটির উপর সেলেরি রোস্ট করা বা পাউডার হিসেবে নিতে কার্যকর করার কথাও বলা হয়েছে ।

১৬. গুঁড়ো লবঙ্গ সামান্য লবণ যোগ করে দুধে একটি পেস্ট তৈরি করলে মাথাব্যথা শিথিল হয় ।

১৭. আদার রস অনেক ধরনের যন্ত্রনা এনে দেওয়ার ক্ষেত্রেও বেশ উপকারী । আদার রস মলম হিসেবে লাগালে বা মৌরি পাউডার লাগালে মাথাব্যথা থেকে জল উপকার হয় ।