ইনফোসিসের বিরুদ্ধে করা আরও একটি গোপনীয় অভিযোগ, সংস্থার সিইও-র বিরুদ্ধে সঙ্ঘাতের অভিযোগ ।

another confidential complaint was made against infosys
another confidential complaint was made against infosys

বেঙ্গালুরু: ইনফোসিসের একটি আইটি সেক্টরের সংস্থা আবার বিতর্কের মুখে । এখন আর একটি গোপনীয় চিঠি সামনে এসেছে, যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে সংস্থার চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) সলিল পারেখ তাঁর বিরুদ্ধে ঝামেলা পাকানোর অভিযোগ করেছেন ।

মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে সংস্থার ভিতরে থাকা এক দল কর্মী শীর্ষ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ইনফোসিসের অনুপযুক্ত আচরণের অভিযোগ তোলেন, যা নিয়ে তদন্ত চলছে । তাতে বলা হয়েছে, এই সব আধিকারিকরা সংস্থার স্বল্পমেয়াদি আর্থিক রিপোর্ট মসৃন করার জন্য খরচ কমানোর অন্যায্য কাজ করেন ।

সর্বশেষ মামলায় তথ্য দিয়ে নিজেকে কোম্পানির অর্থ বিভাগের কর্মচারী বলে উল্লেখ করেন । চিঠিতে বলা হয়েছে, এই অভিযোগটি ‘ সর্বসম্মতিক্রমে ‘ তৈরি করা হচ্ছে । যে চিঠিতে চিহ্নিত করা হয়নি, সেই মামলাটি ‘ বিস্ফোরক ‘ এবং তিনি শঙ্কিত যে, পরিচয় খুললে তাঁর বিরুদ্ধে ‘ প্রতিশোধ ‘ নেওয়া হতে পারে । এই তথ্য পত্রের কোনও তারিখ নেই ।

তাতে বলা হয়েছে, ‘ আমার সংস্থার এথিক্স সিস্টেমকে দুর্বল করে দিচ্ছে এমন কিছু তথ্য আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই । সংস্থার একজন কর্মচারী ও শেয়ারহোল্ডার হিসেবে আমার মনে হয়, সংস্থার বর্তমান সিইও সলিল পারেখ যে ব্যাঘাত ঘটিয়ে থাকেন, তার প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করাই আমার কর্তব্য । আশা করি আপনি ইনফোসিসের সঠিক চেতনায় আপনার দায়বদ্ধতা ডিসচার্জ করবেন এবং কর্মী ও শেয়ারহোল্ডারদের পক্ষে পদক্ষেপ নেবেন । সংস্থার কর্মী ও শেয়ারহোল্ডাররা আপনাকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ড বিশাল সিক্কা চলে যাওয়ার পর সংস্থার নতুন সিইও-র সন্ধানে সংকুচিত হয়ে যাওয়া সংস্থা স্পষ্টভাবে জানিয়েছিল, পোস্টটি বেঙ্গালুরুর জন্য হবে । পারেখ এক বছর আট মাস কোম্পানিতে থাকলেও এখনও তিনি মুম্বই থেকে কাজ করছেন । নতুন সিইও-র নাম বাছাই এবং তা সিলেক্ট করার সময় যে মূল শর্তটি রাখা হয়েছিল, তা লঙ্ঘন ।

অভিযোগ জানানো হয়েছে সংস্থার চেয়ারম্যান, ইনফোসিসের পরিচালন পর্ষদের স্বাধীন ডিরেক্টর এবং নিয়োগ ও বেতন কমিটির (এনআরসি) সঙ্গে । অভিযোগে বলা হয়েছে, কারা সংস্থার পরিচালন পর্ষদকে বেঙ্গালুরু যেতে বাধা দিচ্ছে? চিঠিতে বলা হয়েছে, সিইও এখনও বেঙ্গালুরু থেকে কাজ পরিচালনা করছেন না । মাসে অন্তত দু ‘ বার বেঙ্গালুরু থেকে মুম্বই যায় সে । এ জন্য তাদের এয়ারভাড়া ও স্থানীয় পরিবহনের জন্য ২২ লাখ টাকা খরচ হয় ।

চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রতি মাসে চারটি বিজনেস ক্যাটাগরির টিকিট । একসঙ্গে মুম্বইয়ের বাড়ি থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত ‘ ড্রপ ‘ এবং বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর থেকে ‘ পিক ‘ । ফিরতি ট্রিপের সময়ও এমনটা হয় । সিইও-কে বেঙ্গালুরু পাঠানো না হলে সব খরচ সিইও-র বেতনের থেকে উদ্ধার করা উচিত । গত মাসে একটি গোপনীয় দল নিজেকে ওই সংস্থার কর্মী বলে উল্লেখ করে দাবি করে, পারেখ এবং সংস্থার চিফ ফিনান্স অফিসার নীলাঞ্জন রায় কোম্পানির আয় ও মুনাফা বাড়ানোর জন্য ঠিকভাবে করে দেখাচ্ছেন । আপাতত বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে সংস্থা ।

সংস্থার বোর্ড ও প্রতিষ্ঠাতাকে বিপথে চালিত করতে পারেখ বেঙ্গালুরুতে ভুল করে বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন বলে অভিযোগ । চিঠিতে বলা হয়েছে, পারেখ বেঙ্গালুরু ট্রাভেল রেকর্ডের দিকে তাকালেই জানা যাবে, তিনি খুব আরামে মুম্বই গিয়ে 1:30 মিনিটে অফিসে পৌঁছে যান । তার পরে দুপুরে অফিসে থাকে এবং পরের দিন রাত ২টো নাগাদ মুম্বই চলে যায় । চিঠিতে বলা হয়েছে, এই কোম্পানিতে সিইও-র কাজের প্রতি এই ধরনের চিকিৎসা ডেট টু ডেট-এর সবচেয়ে খারাপ উদাহরণ ।