রিলায়েন্স জিও বাজারে আসার পর থেকেই টেলিকম সংস্থাগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা বেশ শক্ত হয়ে উঠেছে । সব কোম্পানিই গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে সবচেয়ে কম চার্জে উন্নততর পরিষেবা দিতে একাধিক স্কিম দিচ্ছে ।
আর এই প্রতিযোগিতাটি তাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করেছে । চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের ফলাফলের পর মোট প্রায় 74,000 কোটি টাকা হারিয়েছে ভোডাফোন-আইডিয়া ও ভারতী এয়ারটেল । ভোডাফোন আইডিয়ার 50921.9 কোটি টাকার সবচেয়ে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হলেও ভারতী এয়ারটেল প্রথমবার 23045 কোটি টাকার ক্ষতি করেছে । রিলায়েন্স জিও-র সিঙ্গল নিট মুনাফা 681 কোটি টাকা ।
কোনো কোম্পানি কার্যক্রম বন্ধ করতে চায় না: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী বলেন, টেলিকম কোম্পানিগুলোর আর্থিক স্বাস্থ্য নিয়ে চাপ দেওয়ার পর কোনো ব্যাংক থেকে তাদের ঋণ কিস্তির টাকা পরিশোধ না করার পর এ ধরনের কোনো তথ্য তার সামনে আসেনি । অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই না কোনো কোম্পানি তার কার্যক্রম বন্ধ করুক । আমরা চাই যে কোনও কোম্পানি এগিয়ে যেতে ।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকায় সমস্যা বেড়েছে ।
এসিআর বিতর্ক সংক্রান্ত 92,000 কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সরকারকে চার্জ করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট । কোম্পানিকেও জরিমানা ও সুদ দিতে হবে । এর মধ্যে এয়ারটেলের 21,682 কোটি টাকা, ভোডাফোনের উপর 19823 কোটি, আইডিয়ার উপর 8485 কোটি, 16,456 কোটি উপর আরকম এবং Jio-তে ১৩ কোটি টাকার দায়বদ্ধতা রয়েছে ।
বন্ধ হলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে 70 কোটি গ্রাহক
ত্রৈমাসিক লোকসানের পর ভোডাফোন আইডিয়া ও ভারতী এয়ারটেল বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে । কয়েক লক্ষ গ্রাহকের অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারেন । ট্রাই-এর ১৯ অক্টোবরের তথ্য অনুযায়ী ভোডাফোন আইডিয়ার 37.5 কোটি গ্রাহক রয়েছে । এয়ারটেলের রয়েছে 32.79 কোটি গ্রাহক । Jio-তে রয়েছে 34.8 কোটি গ্রাহক ।
আমাদের অসুবিধে হচ্ছে সরকার বুঝতে: ভোডাফোন
ভোডাফোন আইডিয়া সিইও রবিন্দর আচমকা বলেন, সংস্থা আত্মবিশ্বাসী যে, সরকার টেলিকম খাতকে ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনতে চায় এবং অন্তত তিনটি বেসরকারি ও একটি সরকারি কোম্পানিকে বাজারে থাকতে চায় । চলতি সঙ্কট থেকে এই অঞ্চলকে জামিন দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্র । তিনি বলেন, টেলিকম সংস্থাগুলির ‘ বিপুল চাপ ‘ বোঝে সরকার ।